চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ১৪ মে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ হলরুমে তারুণ্যনির্ভর উন্নত, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন ও জবাবদিহীতা মূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিমিত্তে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এহসান মুরাদ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- তরুণরাই দেশের মূল্যবান সম্পদ। তোমরা যারা সামনে বসে আছ, তারাই ৭-৮ বছর পরে নেতৃত্ব স্থানে চলে আসবে। শিক্ষা এবং জ্ঞান অর্জন ছাড়া কিছুই করা সম্ভব নয়। শিক্ষার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে হবে। এখন থেকে তোমাদের সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর উপাধ্যক্ষ ড. প্রফেসর মোহাম্মদ শামীমুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল সার্কেল এ,এস,পি তপন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিস ডা: মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা অধিদপ্তর উপপরিচালক আঃ কাইয়ূম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপপরিচালক মোঃ আমির আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রায় ও সমন্বয়ক সিয়াম। তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের স্বাগত বক্তৃতার মাধ্যমে তারুণ্যনির্ভর উন্নত, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন ও জবাবদিহীতামূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিমিত্তে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভার উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। উক্ত আলোচনা সভায় প্রায় সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহযোগিতায় আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মজুদ ও বিক্রয় করায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২ টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং দোকানগুলো থেকে মোট ২৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করে। একইসাথে প্রায় ৫০ টি দোকানে পলিথিন মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধে প্রচারনা চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শহীদুল আলম জীবন, রাশেদুল ইসলাম, নাসিম সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন হিমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, নাহিদ হক নাজমুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল।
এসময় জেলা, সদর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে হত্যা করে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে চলা সেই যুবককে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ্ প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার আনিস (২৪) চান্দিনার শালিখা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন। অপরজন শাকিল মিয়া (২৪) গৌরিপুর এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা দেন ঘাতক আনিস, শাকিলসহ অন্যান্যরা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে আনিস ও শাকিলের অবস্থান শনাক্ত করা হলে ওইদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আনিস ও শাকিল জানান, মাদকের টাকা নিয়ে মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় আরও কয়েকজন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে আনিস ও শাকিলকে আদালতে তোলা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দির ওলানাপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিউদ্দিন নামের এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মহিউদ্দিনের ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে এক হাতে চাপাতি অন্য হাতে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিহত মহিউদ্দিন ওলানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এ কর্মচারী নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর বিরাসারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কাজী খায়রুল আলম, মো. নুরুজ্জামান, আব্দুল আলিম, কাজী নুরুল আমিন আকাশ ও আতাউর রহমান রিপন মিয়া।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস ফিল্ডস-এর কিছু কর্মকর্তা ২০২১ সালে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানিতে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিস্ফোরক মামলার আসামিদের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ও প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
তারা আরো বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা উপেক্ষা করাসহ যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে কর্মকর্তারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এ নিয়োগ বাতিল করে নতুনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, জিএম ও এডমিন মাহমুদুন নবী মিলনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, মাদক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিম, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হক (৩২) এবং মাদক ব্যবসায়ী মোঃ হাসান মিয়া (৪৫)।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাতে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিমকে শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম কান্দিপাড়ার কাউছার মিয়ার ছেলে। একই রাতে গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হককে গ্রেফতার করা হয়। সে সদর উপজেলার ররিশল গ্রামের শেখ আহাম্মদের ছেলে। এ ছাড়া ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী হাসান মিয়াকে পৌর এলাকার সবুজবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হাসান মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়ার মোঃ মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।