মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি খাস জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত এবং লাইসেন্সবিহীন তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ ১৮ মে রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের বড় বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন। দুটি বরফকল মালিক ও এক মুদি দোকানীকে মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বড় বাজারে সরকারি খাস জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়ে সরকারি ৫ শতক জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকায় এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বরফ তৈরির দায়ে লিটন মিয়াকে ১০ হাজার টাকা এবং আনিস মিয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, আখাউড়া পৌরসভার উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. ফয়ছেল আহমেদ খান প্রমুখ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে সরকারি খাস খতিয়ানের ৫ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন দুটি বরফকল এবং একটি মুদি দোকানীকে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সুমন মিয়া (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নুরপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দীন জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর আখাউড়া থানায় দায়ের হওয়া নাশকতা মামলায় তিনি এজাহার নামীয় আসামি। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভঙ্গা আম পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আজ ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩০০ কেজি আম পাঠানো হয়। ৬০টি কার্টনে করে ৩০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কার্গোওয়ার্ল্ড লজিস্টিকস নামে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার উপহার হস্তান্তর করা হয় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনের প্রতিনিধির কাছে। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সকল প্রকার ফি ও আদায়যোগ্য কর মওকুফ করে আমগুলো ছাড়করণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, প্রবীন সাংবাদিক মোঃ ইউসুফ সারোয়ার (৭৩) আর নেই। আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টায় পৌরশহরের রাধানগরস্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না নিল্লাহে… রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস, কিডনি রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে, এক ছেলেসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
দীর্ঘ ৪ দশকের সাংবাদিকতা জীবনে ইউসুফ সারোয়ার দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক রূপসী বাংলা (কুমিল্লা) পত্রিকায় আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া মাসিক আখাউড়া সংবাদ এর সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে, সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইউসুফ সারোয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের আখাউড়া অফিসের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে কয়েক বছর আগে চাকুরী থেকে অবসরে যান।
এদিকে সাংবাদিক ইউসুফ সারোয়ারের মৃত্যুতে আখাউড়ার সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিনের সহকর্মী, সাংবাদিক নেতাকে হারিয়ে শোকাভিভূত হয়ে পড়েছেন সাংবাদিকরা।
সকালে তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তাকে শেষ বারের মতো দেখতে বাড়িতে ছুটে যান আত্মীয় স্বজন, বন্ধু- শুভাকাক্সক্ষী, রাজনৈতিক সহকর্মী ও সাংবাদিক সমাজ। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত্যু সংবাদ পোষ্ট করে শোক প্রকাশ করেন।
আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম বলেন, আমার সাংবাদিকতা জীবনের দীর্ঘদিনের একজন অভিভাবককে হারালাম। আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি নিহতের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতবাসী করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমিসেবা, স্মার্ট নাগরিক এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ৮ জুন শনিবার থেকে ভূমি সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে সকালে আখাউড়া উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আখাউড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এস. এম. রাহাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, একাডেমি সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, আখাউড়া উওর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা, ভূমি সেবা নিয়ে বিভিন্ন দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। নামজারি জমা খারিজসহ বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করা হয়। ভূমি সেবা সহজীকারণ ও স্বচ্ছতার আহবান জানান। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে আইন কানুন সম্পর্কে জানার আহবান জানানো হয়। ভূমির কাগজপত্র সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করার আহবান জানানো হয়। ঘরে বসে সরকারের সেবা গ্রহণের আহবান জানানো হয়। সঠিকভাবে ভূমি সেবা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারি শীপন মিয়া।
আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত উপজেলর সকল ভূমি অফিসে ভূমি উন্নয়ন কর, খাজনা পরিশোধ, নামজারিসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আকাঙ্ক্ষিত রেলপথ প্রকল্প যা বাংলাদেশের আখাউড়াকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় দুইপাড়ের বাসিন্দারা উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছেন সীমান্তের দিকে। শনিবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক বা ট্রায়াল ট্রেন চালাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রায়াল রানের ট্রেনটি এখন পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অপেক্ষা করছে।
শনিবার দুপুরে নতুন এ রেলপথ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনের নিশ্চিতপুর স্টেশনে যাবে একটি মালবাহী কন্টেইনার ট্রায়াল ট্রেন।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া সম্প্রতি রেলপথ প্রকল্প পরিদর্শনে আসলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্ট মো. নুরুন্নবী জানান, ঢাকার তেজগাঁও স্টেশন থেকে ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি ১১টি কোচ নিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছলে ট্রায়াল রান ট্রেনের কোচগুলোতে হলুদ ও বডিতে কালো রংয়ের কাজ করানো হয়েছে।
তিনি জানান, পরীক্ষামূলক বা ট্রায়াল রানের ট্রেনটি এখন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মের ৮ নম্বর লাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ট্রায়াল রানের ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গেছে, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধনের দিনক্ষণকে সামনে রেখে রেলপথ মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা ঘুরে গেছেন। শনিবার দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. ইয়াছিন। প্রতিনিধি দলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মাসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যে এ পথে একাধিকবার পরীক্ষামূলক গ্যাঙ্কার বা পরিদর্শন কার চলাচলও করেছে। প্রকল্পের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্যাঙ্কার বা পরিদর্শন কারে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ঘুরে দেখেছেন।
জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া-আগরতলা সড়কপথের পর এবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগে উন্মোচিত হবে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন দ্বার। রেলপথটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দেড় বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, দুই দেশের এ রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। পুরো অংশেই বসানো হয়েছে রেললাইন। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং শেষপর্যায়ের কাজ চলছে বলে ওই প্রকল্প পরিচালকের দাবি। তবে এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবন এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাজ।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।