অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান জোরদার এবং পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযান শুরু করায় হতাশা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। ২০ মে মঙ্গলবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ মন্তব্য করেন। গাজায় রকেট ও বোমা হামলার মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বেসামরিক প্রাণহানিও বেড়েছে।
আজ ২১ মে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
জাখারোভা বলেন, গত তিন দিনে গাজার বিভিন্ন অংশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সামাজিক অবকাঠামোতে চালানো হামলায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ, যা অনিবার্যভাবে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ও নতুন ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনছে। গাজা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান কেবল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথে সম্ভব।
তিনি বলেন, এর জন্য পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে এবং গাজা উপত্যকার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করতে হবে। পাশাপাশি, ফিলিস্তিন সমস্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনি ভিত্তিতে একটি ন্যায্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
জাখারোভা জানান, এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে রাশিয়া তার অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষ করে জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩,৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী নিক্কি হ্যালেকে পরাজিত করে এই জয়ের ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লাভের দৌড়ে আরো এগিয়ে গেলেন। আগামী নভেম্বরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথেই তার দ্বিতীয় লড়াই হবে বলে মনে হচ্ছে।
জয়ের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দিত করে সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর ৫২ বছর বয়স্কা হ্যালে বলেন যে তিনি এখনি সরে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আজ রাতে জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি এটি অর্জন করেছেন, আমি তা স্বীকার করছি।’
তিনি বলেন, তবে লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আরো কয়েকটি রাজ্যের ভোট বাকি আছে। তিনি আশা করছেন, সাউথ ক্যারোলিনায় তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্প ৫৪.৬ ভাগ ভোট পান। আর হ্যালে পেয়েছেন ৪৩.৯ ভাগ ভোট।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প আট দিন আগে আইওয়া রাজ্যেও জয়ী হয়েছিলেন।
ট্রাম্প ২০২২ সালে ঘোষণা করেন যে তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য আবারো রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাইবেন। তিনি এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাচ্ছেন। উল্লেখ্য, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন, তবে তিনি রেকর্ড গড়বেন। এর আগে কেউ বিরতি দিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। সূত্র : সিএনএন, আল জাজিরা এবং অন্যান্য।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে নতুন করে ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। পাশাপাশি অন্তত নয়টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হারেৎজ সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি উঁচু ভবনে আঘাত হানায় ভবনটির নিচের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল আবিবের শহরতলীর রামাত গানেও নয়টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
ইরান দেড় শতাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে বলেও জানান সংবাদপত্রটি। এদিকে কিছুক্ষণ আগে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে) জেরুজালেমের আকাশে ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন ঢেউ ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে আসছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েল রাষ্ট্রের দিকে আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আইডিএফ এর আগে নতুন করে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল এবং বলেছিল যে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হামলায় হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। নৃশংস এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান।
অনলাইন ডেস্ক :
তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় তাহলে তাদেরও (ইসরায়েলের) পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালানো হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আহমেদ হাগতালাব এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের (ইরানের) হাত ট্রিগারেই রয়েছে। যদি ইসরায়েল তাদের কোনো স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা চালায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালানো হবে। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পারমাণবিক অবকাঠামো কোথায় আছে সেটি তারা বেশ ভালোভাবে জানেন।
এই কমান্ডার আরো জানিয়েছেন, ইসরায়েল তাদের অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাওয়ায় তারা তাদের পারমাণবিক যে নীতি রয়েছে সেটি পরিবর্তন করার ব্যাপারেও তারা ভাববেন।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার বদলা হিসেবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে ১৭০টি ড্রোন, ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
এই ঘটনার পর ইসরায়েল ইরানে হামলার পায়তারা করছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা জোহার পাল্টি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইরান যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সেটির বদলা নিতে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলার চিন্তা-ভাবনা করছে তারা। তার এমন বক্তব্যের পরই পাল্টা হুমকি দিয়েছে তেহরান।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করেন দেশটির প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ২০০০ সালে তিনি এক ডিক্রির মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা তৈরি নিষিদ্ধ করেন। তবে ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দামন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন- পশ্চিমাদের চাপে পড়ে ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে হতে পারে।
এদিকে ইরানের সেনাপ্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দোলরহিম মৌসাভি বলেছেন, ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। এই জবাব এমন হবে যে তাদের অনুতাপ করতে হবে। সূত্র : স্কাই নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে আবার সুর চড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। এর আগেই হামাসকে নিশ্চিহ্ণ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হামাসকে নিজের শপথগ্রহণের তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প।
তিনি জানান, ২০ জানুয়ারির মধ্যে হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তবে পশ্চিম এশিয়ায় ‘ধ্বংসলীলা’ চলবে।
স্থানীয় সময় ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে জিম্মিদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরেই ট্রাম্প হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার মধ্যে যদি তারা (হামাসের হাতে জিম্মি আমেরিকার নাগগিক) ফিরে না আসেন, তবে পশ্চিম এশিয়ায় ধ্বংসলীলা চলবে। যা হামাসের জন্য তো বটেই, কারও জন্যই ভালো হবে না।
অর্থাৎ, হামাসের সাথে সম্মুখসমরে নামতে পারে আমেরিকার সেনাবাহিনী। বিভিন্ন দিক থেকে হামাসকে আক্রমণ করা হতে পারে- এমন ইঙ্গিত দিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি শহরে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এই হামলার জেরে নিহত হয়েছিল প্রায় ১২০০ জন। ২৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে গাজায় ধরে এনে জিম্মি করেছিল হামাস। শুধু ইসরায়েলি নাগরিক নন, হামাসের হাতে জিম্মি অনেক আমেরিকার বাসিন্দাও।
এদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিকে যুদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকে।
ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকার বাসিন্দাদের বন্দি করে ঠিক কাজ করেনি হামাস। জো বাইডেনের জমানায় হামাসের কবল থেকে আমেরিকার বাসিন্দাদের মুক্তির জন্য কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁকে বসে হামাস। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় রাজি হয়নি ইসরায়েলও। ফলে আলোচনা ব্যর্থ হয়।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে আমেরিকা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে সব রকম সাহায্য করে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ মাস কেটে গেলেও যুদ্ধ থামেনি এখনও।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচার করার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে গাঁজা আনার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।
তবে, এ মৃত্যুদণ্ড যেন কার্যকর করা নয় সেজন্য তার পরিবার, মানবাধিকার কর্মী এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তাঙ্গারাজুর পরিবার জানিয়েছে আজ ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, গাঁজা পাচারের সঙ্গে তাঙ্গারাজুর সম্পৃক্ততা খুবই কম ছিল এবং তিনি যথাযথ আইনি অধিকার পাননি। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাঙ্গারাজুর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তিনি কখনো ওই মাদক স্পর্শ করেননি এবং তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়াও যায়নি। তবে আদালতের বিচারক জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে তাঙ্গারাজু এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফোন কলের ইতিহাস ঘেটে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
মাদক নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে কঠোর আইন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। দেশটির দাবি, মাদককে ঠেকাতে এমন আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গত বছর মাদক বিষয়ক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হেরোইন পাচার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও, দেশটির প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উল্টো গাঁজার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিবেশী মালয়েশিয়া মাত্র এক সপ্তাহ আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই বাতিল করে দেয়।