চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর “দেশের প্রান্তিক পেশাজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পেইজ) আওতায় অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ মে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরীন। প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মো: আবদুল কাইয়ুম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম । উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকেশ পালের সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতেই মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রায়পুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: নুরুল মাহমুদ ভূইয়া,সরাইল উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: মনির হোসেন ভূঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির, বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহীন, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইঁয়া, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, বিআরডিবির চেয়ারম্যান আমিরুল হোসেন চকদার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক সবুজ, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, এনজিও প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবু সাইদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নানাবিধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকারভোগীরা যাতে সহজে সুবিধা পেতে পারে সে লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান। আলোচনায় উঠে আসে-প্রকল্পের লক্ষ্য, বাস্তবায়ন কৌশল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্পের ভূমিকা। অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান এবং ক্ষুদ্রঋণ সুবিধার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উক্ত সেমিনারে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী প্রতিনিধি,সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ ৩৫ জন অংশগ্রহণ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ ১৮ নভেম্বর সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার দিকে কুয়েতে প্রইভেটকার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
নিহত আবু বাক্কার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া সরিষাপুর গ্রামের আনসার বাড়ির মো. শেখ কবির আনসারীর ছেলে। আবু বাক্কার তিন সন্তানের বাবা।
আবু বাক্কারের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ কুয়েতে প্রবাসে জীবনযাপন করছেন শেখ আবু বাক্কার আনসারী। কুয়েতে তিনি প্রাইভেটকারে রাইড শেয়ারিং করতেন। ঘটনার দিন রাইড শেয়ারিং করতে গিয়ে তার প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের প্রতিবেশী নিয়ামুল ভূইয়া জানান, শেখ আবু বাক্কার আনসারী দীর্ঘদিন যাবৎ কুয়েত প্রবাসে থাকেন। আজ রাতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার পরিবার লাশ আনার জন্য যোগাযোগ করছেন।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ নেতা আল কাউছার।
কর্মী সভায় উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন করার লক্ষ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কর্মী সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সাবেক দুই এমপিসহ ১১৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহা আলম পাঠান বাদী হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার আবেদন করেন।
আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশে দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, সাবেক এমপি একে একরামুজ্জামান সুখন, বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক নাজির মিয়া, তার স্ত্রী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুমা আক্তার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান, গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক, ভলাকুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া, গুনিয়াউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া, ফান্দাউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান, পূর্বভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া, চাতলপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, চাপরতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনসুর আলী ভূঁইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আখি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম পাল প্রমুখ।
মামলায় আরো ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে করে স্প্রিন্টারের কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারাত্মক জখম হয়। আসামিরা দোকানপাট, বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলা নথিভুক্ত করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে শিশু হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭) সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ রনি মিয়া (৭)। ঘটনার তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহের খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন এর সাথে রিফাত ও লিটনের সম্পৃক্ততার কথা তুললে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। এ ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে তারা। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করে আবার উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার সাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল মিয়া। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলার বাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনাটা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৯০টি অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা হিসেবে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি এসব ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. সোহাগ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো. লতিফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নির্মল চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৯০টি পরিবারের মধ্যে নগদ ৬ লাখ টাকা ও ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। এসময় সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।