চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ২১ মে বুধবার আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া “তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ” বিষয়ক আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফে মোহাম্মদ ছড়া।
প্রধান অতিথির রাফে মোহাম্মদ ছড়া বক্তব্যে বলেন-জীবনের একেকটা পর্যায়ে একেকটা কাজ সম্পাদিত হয়। কোন কাজ কখন করা উচিত তা আমাদের জানতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। “Time is more valuable than money”. তাই সময়কে যথাযত গুরুত্ব দিতে হবে। তোমরা এখন তরুণ, তাই তোমাদের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে সর্ব ক্ষেত্রে। যারা আমাদের শিক্ষক, যারা আমাদের গুরুজন তাদের কাছ থেকে সব সময় পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কারণ তারাই আমাদের সব সময় ভাল চায়। তোমরা তোমাদের পিতা-মাতার কথা মান্য করতে হবে।।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমীন, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজ, আশুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.এইচ.এম শাহরিয়ার রসুল, আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মশিউর রহমান।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রায় সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈষমহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব ও এসডিজি বিষয়ক সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেয়া সকল রিকসার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা রিকসা শ্রমিক ইউনিয়ন (চট্ট-২৫৩০)। পাশাপাশি প্রকৃত রিকসা শ্রমিকদের মাঝে এই লাইসেন্স প্রদানের আহবান জানানো হয়।
আজ ৩ নভেম্বর রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সভাপতি রফিক ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তারিকুর রউফ, সংগঠনের উপদেষ্টা সাচ্চু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ মিয়া, সহ সম্পাদক রমজান মিয়া অর্থ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক রিকসার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। সিন্ডিকেট করে পছন্দের ও দলীয় ব্যক্তিদের নামে-বেনামে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রকৃত রিকসা শ্রমিকরা লাইসেন্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সব লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত রিকসা শ্রমিকদের মাঝে লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অন্যথায় পৌরসভা ঘেরাও সহ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। সকাল ৯ টায় তিনি বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুমসহ কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় একটি রেষ্টেুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য সাবেক জেলা আমীর অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা নায়েবে আমীর কাজী ইয়াকুব আলী, জেলা সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অনিবার্য গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। জামায়াতের উপর যারপরনাই নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি।
এ পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। আগামীকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আগমন উপলক্ষে দলের কর্মী, সমর্থক ও সহযোগিদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত সংবাদ-কর্মী অংশ নেয়।
এদিকে মঙ্গলবারের কর্ম সম্মেলনের সমর্থনে আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে জেলার সবকটি উপজেলায় আমীরে জামায়াতকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
শুরুর মাত্র ৩৮ দিনের মাথায় গ্যাস সংকটে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বছরের বেশির ভাগ সময় গ্যাস না পেয়ে উৎপাদন বন্ধ থাকায় দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে প্রিলড ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী কারখানাটি। এর আগে, গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ শুরু করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এরপর সব ধাপ অতিক্রম করে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সার উৎপাদন শুরু হয়।
আশুগঞ্জ সার কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ১১০০ টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম আশুগঞ্জ সার কারখানা। তবে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। গ্যাস সংযোগ পেলেও চাপ কম থাকায় পুরোদমে ইউরিয়া উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ফলে রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এ বি মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, গ্যাস ছাড়া সার উৎপাদন করা যায় না। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ উৎপাদন চালু হবে, স্পষ্ট করে তা বলা যাচ্ছে না।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাক প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি সিদ্ধান্তে আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, সেটি সরকারি সিদ্ধান্ত। হয়তো চলতি মৌসুমে কারখানাটিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবোনা। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ করা। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা এই দ্বায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়।
তিনি আজ ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে জেলা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ও ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহগীর আলমের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান আরো বলেন, আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। আমরা ২০২২ সালে সবাইকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ গ্রহন করার জন্য আহবান জানিয়েছি। সেখানে তাদের সাথে আমরা সংলাপ করেছি। কেউ কেউ আমাদের আহবানে সাড়া দেয়নি। এরপরও আমরা তাদেরকে আবারো আহবান জানিয়েছি। সর্বশেষ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সচিবের স্বাক্ষরে কোন এক দলের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন। চায়ের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহনের দ্বায়িত্ব তাদের। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলি আমাদের নিবন্ধিত আছে তাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে কি হবে উনারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবেন। এটা নিয়ে কমিশনের কোনো ভাবনা নেই। আমরা চাই ভোটার কেন্দ্রে আসুক কমিশনের ভাবনা হলো ভোটার নিয়ে। ভোটার উপস্থিতি যদি ভোট কেন্দ্রে বেশী হয় তাহলে আমরা বলবো অবশ্যই নিবার্চন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। আমাদের যতটুকু দ্বায়িত্ব ততটুকই করবো তবুও আমরা আশাবাদী সবদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
আমাদের সাংবিধানিক দায়বদ্ধকতা নির্বাচন করা। রাজনৈতিকদল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা এই দ্বায়িত্ব আমাদের না। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে আরো বলেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলি সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবোনা আমাদের ম্যান্ডেটও না সেটা। আমরা নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করবো, আমরা দেখবো লেভেল প্লেইন ফিল্ড নির্বাচন বলতে যা বুঝাই তাই করার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন বিষয়ে বলেন দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই আমরা এই নির্বাচনকে সাধারণ নির্বাচনের মতই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল যথাসময়ে ঘোষণা হবে। তফসিলের আগে এই উপ-নির্বাচনটি হওয়ার কারণে সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য কমিশনের জন্য এটি পরীক্ষার সম্মুখীন হওয়ার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সিরাজুন মুত্তাকিনদের মতো দ্বায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা মনে করবেন এটি একটি পবিত্র দ্বায়িত্ব। দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছেও একদিন জবাবদিহিতা করতে হবে। আপনারা সুষ্ঠুভাবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন সাদাকে সাদা-ই বলবেন কালোকে কালোই বলবেন। আপনারা মনে করবেন এটি একটি পবিত্র দ্বায়িত্ব। দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছেও একদিন জবাবদিহিতা করতে হবে এবং জণগণের কাছেও একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জামাল নাছের শিক্ষার্থী (ছাত্রছাত্রী) দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এক শ্রেণির কোচিং নির্ভর শিক্ষক নিজেদের স্বার্থে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই কারিকুলাম তোমাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। যাতে তোমরা বিশ্বের যোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারো। তাই তোমাদেরকে সকল বিভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকতে হবে। লেখাপড়া খেলাধুলার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বিশ্বের যোগ্য মানুষ হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালের পর আর মোবাইল আর মোবাইল ফোন থাকবে না। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তখন ৩০ সেকেন্ডে পৃথিবীর যেকোন স্থানে চলে যাওয়া যাবে। তোমাদেরকে তখন অত্যাশ্চর্য বিশ্বে বসবাস করতে হবে। রোগ নিরূপন করতে তখন ডাক্তার লাগবে না। যন্ত্র রোগ নিরূপন করবে। রোবট প্রায় সবকিছু করবে। সেজন্য বিশ্বের উপযোগী যোগ্য নাগরিক হয়ে গেেড় উঠতে তোমরা ছাত্রছাত্রীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, যারা আমাদেরকে এদেশ এনে দিয়েছেন তাদেরকে এবং মা বাবাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। নৈতিকতা অর্জন করতে হবে।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন চিনাইর গ্রামে অবস্থিত চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এবং আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান চত্বরে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) গভর্ণিং বডি ও আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মাউশি’র (গ্রেড-১) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মহাবিদ্যালয় (কলেজ) পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারি ও বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, উপাধ্যক্ষ এ.কে.এম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন, আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন।
মহাবিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় শিল্পীরা মন মুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
পালাক্রমে অনুষ্ঠান উপাস্থাপনা করেন সহকারি অধ্যাপক মহিবুর রহিম, প্রভাষক স্বর্ণা আক্তার, প্রভাষক মোঃ শাহিন মিয়া, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক পংকজ মধু ও সিনিয়র সহকারি শিক্ষক রোখসানা বেগম।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।