হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
কমিউনিটির সুপরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট দম্পতি মাকসুদা আহমেদ ও মামুন রহমান তাদের নাতনী রাহমী আহমেদ এর প্রথম জন্মদিন গত ১৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ব্রংকসের গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শাহনূর জন্মদিনে শুরুতেই আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান মাকসুদা আহমেদ ও মামুন রহমান। মিউজিক এর তালে তালে ছোট শিশুরা নৃত্যপরিবেশন করে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, কমিউনিটির অথিতিরা উপস্থিত ছিলেন। নৈশভোজ ও কেক কাটার মাধ্যমে মধ্য রাতে জন্মদিন পালনের সমাপ্তি ঘটে। ছবিতে বাথেকে মামুন রহমান, সিনিয়ার সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, ফ্রাংকলিন খোকন আরমান, আয়েশা আক্তার রুবি, মাসুদা ইয়াসমিন রুমা, রাহমী আহমেদ, মাকসুদা আহমেদ, সাঈদা ডায়ানা এনজ্ঞেলিকা এবং সাঈদা সুস্মিতা।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গানে গানে বাংলা পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নেয় অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতি দল। চৈত্র সংক্রান্তি ১৪৩১ এবং বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপন করে দলের সক্রিয় দশ জন সদস্য।
পহেলা বৈশাখ শুধুই বাঙালির। এই দিনে সে তার অস্তিত্বের জানান দেয় প্রাণে প্রাণে, উৎসবে। বিশ্বকে বলে দেয়-আমি বাংলাদেশি, আমি বাঙালি; আমার আছে গর্বের ইতিহাস। সংকল্প জানায় এক নতুন আগামীর; অতীত বেদনাকে ভুলে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাওয়ার। এ জাতির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ। বিগত বছরের জরাকে দূরে ঠেলে আজ বাংলাভাষীদের স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন আলোয় অবগাহনের দিন, আনন্দে মেতে উঠারও দিন।
নতুন বছরে শুভেচ্ছা বাণী এবং মঙ্গল কামনার সাথে, ’এসো হে বৈশাখ-‘ গানটির কোরাস পরিবেশন করে অমিয়া মতিন, শাফিনাজ আমিন, মাহবুবা কান্তা, মাফরুহা আলম, শ্রাবন্তী কাজী, নাইয়ারা কেয়াসী, তনিমা আলী, তনিমা তাবাসসুম, সূচনা চৌধুরী ও দিলশাদ রহমান। অপরাহ্নের এ আয়োজনে ভোজে ছিল বাঙ্গালীর চিরাচরিত ভর্তা-ব্যঞ্জন এবং পিঠা-পুলি-পায়েস- মুড়ি-মুড়কি। ষোলো আনা বাঙ্গালীয়ানায় প্রবাসের রবিবারটি সাদা-লাল এবং নকশী সাজে জমে উঠেছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায় ইংরেজি ভাষাভাষি এক ব্যক্তির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তুমুল বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায় ‘আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।’ এখানে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করায় তিনি এমনটি বলেছেন।
শুধু এতটুকুই নয় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কথা জিজ্ঞেস করায় মেজাজ হারান টিউলিপ।
এসময় সেই ব্যক্তিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক হোন, ওসব ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।
এদিকে ঢাকায় পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আদালত।
মূলত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রকাশ পেতে থাকে তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির চিত্র।
এদিকে, লন্ডনে নিজের বাড়ির বাইরে বাংলাদেশে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ বলেন, তিনি “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের শিকার।”
অন্যদিকে, শুধু এই এক অভিযোগই নয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে আরো বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই ভাগ্নির বিরুদ্ধে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা মহিলা সম্পাদক আইরিন পারভীন এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি গানিউর রহমানের তনয়া ডাঃ রুকসানা রহমানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রয়াত ড. খন্দকার মনসুর এবং মেরী মনসুর এর তনয় ড. কাবিড মনসুর এর বিবাহ উত্তর সংবর্ধনা ২৯ ডিসেম্বর রবিবার নিউইর্য়ক এর লং আইল্যান্ডের একটি অভিজাত পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ও কলাকুশলী সহ প্রায় দুই শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা বিশ্বময় গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না,”সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে নিয়ে সিলেট প্রদেশ ঘোষণার দাবিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ উডেহাম কমিউনিটি সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ নুরুল ইসলাম।
সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং রিজিওনাল সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ও কমিউনিটি সংগঠক কদর উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রেট্রন, কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, ও কমিউনিটি সংগঠক হাবিবুর রহমান রানা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খান জামাল নুরুল ইসলাম ,আজিজুল আম্বিয়া, সৈয়দ সায়েম করিম, আজম আলী, আব্দুল বাছিত রফি, আব্দুর রহিম রনজু,আব্দুল মুকিত, খালেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সেরওয়ান আলী, হালিমুল ইসলাম, শাহ আজিজ সাজু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী,তানভীর হোসেন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বদরুল হক মনসুর, কামরুল আই রাসেল, আমজাদ হোসেন, ও কবির আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন -১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছিল ।পাকিস্তান আমলে ও বাংলাদেশ আমলে সিলেট বিভাগের তেমন কোন উন্নতি হয়নি ।সিলেট বিভাগ সব সময় বৈষম্যের শিকার ।সিলেটের খনিজ সম্পদ, চা বাগান, রাবার বাগান সহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও সিলেটের সমস্যার এখনও কোন সমাধান হয় নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি দূর্যোগময় মুহুর্তে সিলেটবাসীর অবদান ইতিহাসের অন্তর্গত ।
সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে চারটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করলেও সিলেট বিভাগকে প্রদেশ করার কোন প্রস্তাব করেনি। এটা আরেকটি বৈষম্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না,চট্টগ্রামের সাথে সিলেটকে যুক্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন আমরা সিলেট বিভাগ নিয়ে জালালাবাদ প্রদেশ চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে বাংলাদেশকে যদি কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতেই হয় তাহলে বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে যুক্তিযুক্ত। চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করা হবে অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বৃহত্তর সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থা ও লে-আউট আলাদা একথা সরকারের বুঝা উচিৎ, সিলেট থেকে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় বরং যাওয়া যাবে দ্রুত। তাই চট্টগ্রামের সাথে সিলেট কানেক্ট করে প্রদেশ করলে সিলেট হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত, এরকম হটকারি, অবাস্তব এবং অযৌক্তিক সীদ্ধান্ত কোনো অবস্থাতেই বিশ্বময় বসবাসকারী গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন ১৯৭১ এর মহাণ মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে তথা রাজনৈতিক, সামাজিক,ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা – দীক্ষা, জ্ঞান – গরিমা,সাংস্কৃতিক ইতিহাস ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এমনকি প্রবাসের মাটিতে ক্যাটারিং সেক্টর ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিশ্বময় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণে ব্যাপক ভুমিকা রাখা সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে গ্রেটার সিলেটবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।
পাকিস্তান আমল থেকেই দেশে বিদেশে সিলেট প্রদেশ গঠণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। তাই অবিলম্বে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবি জানানো হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী এলাকা সিলেটের খনিজ তেল, গ্যাস, পাথর, চা শিল্প, পর্যটন ও দেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগই আসে প্রবাসী সিলেটবাসীর মাধ্যমে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সরকার যদি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে তাহলে সিলেটের নাম আসবে সবার আগে।কারণ সিলেটের মানুষের এই দাবি দীর্ঘদিনের।
সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের ক্যাম্পেইনে দেশে বিদেশে সিলেট বাসীকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন। অনেক সিলেটের জনগণ এবং প্রবাসীরী সংবাদ সংস্থা বলেছেন, ছোট আয়তনের বাংলাদেশে যেখানে বিভাগের ই কোন প্রকার প্রয়োজন নেই, সেখানে প্রদেশ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। তারা আরো বলেছেন, প্রদেশ কেন হবে? মাতাবারী বিভাগই বাতিল করে শুধু জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন, পৌর সভা এবং সিটি করপোরেশন এই পাঁচ ভাগে লোকাল সরকার থাকার কথা জানিয়েছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বাংলাদেশ ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েতে রবিবার ,১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস স্পেশাল মার্শাল হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডে যোগ দেন। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি, পাশাপাশি স্পেশাল মার্শাল হিসেবে পুরো প্যারেডের নেতৃত্ব দেন। প্যারেড উদ্বোধনকালে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করায় বাংলাদেশ সোসাইটি ও এর নেতাদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি এই পুরো আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এ ছাড়া ছিল হিউম্যানিটি এম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস। প্যারেডে ফ্লোট লাইনআপে ছিল ফুল ট্রাক, পিকআপ ট্রাক ও এক্সোটিক কার। প্যারেডে অংশ নেওয়া নারীদের অনেকেই পরেন বাঙালি পোশাক শাড়ি আর পুরুষেরা পাঞ্জাবি। নারীদের অনেকেই সাজেন বাহারি সাজে, মাথায় ছিল ফুল, অনেকে মাথায় বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে পট্টি বাঁধেন, পতাকা হাতে ছিল অনেকেরই। খুবই বড় পতাকা ছিল তিন থেকে চারটি। মাঝারি ও বড় পতাকাও নিয়ে আসেন অনেকেই। প্যারেডে অংশগ্রহণকারীরা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান গান, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ট্রাকে বাজতে থাকে বাংলাদেশের গান, বৈশাখের গান। সব মিলিয়ে কিছু সময়ের জন্য জ্যাকসন হাইটসে তৈরি হয় বাংলাদেশের পুরো পরিবেশ।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ স্ট্রিট থেকে ৮৭ স্ট্রিট পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ৬৯ স্ট্রিটের মঞ্চে আয়োজকেরা বক্তৃতা করেন। প্যারেড শেষে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সব জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, বাজে তাকদুম তাকদুম বাজে, আজ এলরে এল বৈশাখ। বাংলাদেশ ডে প্যারেড করতে পেরে অংশগ্রহণকারীরা অনেক খুশি। আয়োজকেরাও এ ধরনের অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারায় খুশি ও সন্তুষ্ট।
প্যারেডের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশের শিল্পী নওশীন, রিচি সোলায়মান, এহসান মিলন, নাদিয়া লিখন, জায়েদ খান, প্রতীক হাসান, নোভা, দেবাশীষ বিশ্বাসসহ প্রবাসের অনেক খ্যাতনামা শিল্পী। প্যারেডে ৬৫টির বেশি সংগঠন অংশ নেয়। এ ছাড়া প্যারেডে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিসের স্টাফদের একাংশ মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশারের নেতৃত্বে অংশ নেন। তারা বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানান। ছিল নিউইয়র্ক সিটির অশ্বারোহী বাহিনীর সদস্য, পুলিশের গাড়ি, এনওয়াইপিডির ব্যান্ড দল, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাপা, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ফায়ার, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন, নিউইয়র্ক সিটির পোস্ট অফিসে কর্মরত সংগঠনসহ নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা। প্যারেডে আরও অংশ নেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেনিফার রাজকুমার,জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। তারা সবাই বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিউনিটির প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ প্যারেডে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও আঞ্চলিক সংগঠন, বিভিন্ন জেলা ও কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন অংশ নেয়। এতে মুলধারার দ্যা ক্লিনটন ডেমোক্রেটিক ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার মানিক,সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,সদস্য ফাহাদ সোলাইমান ও সদস্য সিমন মানিকসহ অনেকেই অংশ নিয়েছে । অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিভিন্ন দিক থেকে প্যারেডে অংশ নেওয়া মানুষেরা প্যারেড শুরুর মঞ্চে আসেন। সাড়ে ১২টার দিকে র্যালি শুরু হয়। শেষ হয় দুইটার দিকে। ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ থেকে প্যারেড শুরু হয় আর শেষ হয় ৮৭ স্ট্রিটে। প্রথমে প্যারেড করে সবাই ৮৭ স্ট্রিটে পৌঁছান। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে বিকেল পর্যন্ত। প্যারেড শুরুর আগে ৬৯ স্ট্রিটকে সমাবেশস্থল ধরা হয়। সেখানে সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত হতে থাকেন। বাজানো হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন গান। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র এরিক অ্যাডামস, মেয়র অফিসের প্রধান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তা মীর বাশার, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, গ্র্যান্ড মার্শাল শাহ নেওয়াজ, রানো নেওয়াজ, ফাহাদ সোলায়মান, আজিমুর রহমান বুরহান, জন লু, স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ড, ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন, কমিটেড হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমদ, মুশরাত শাহীন অনুভা, নুরুল আজিম, শাহ জে চৌধুরী, শাহজাদী পারভিন সারাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সোসাইটির সূত্র জানায়, প্যারেডে অংশ নেয় ৬৫টিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আতাউর রহমান সেলিম, চিফ অ্যাডভাইজর গিয়াস আহমেদ, কনভেনর মোহাম্মদ আলী, মেম্বার সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এফইএমডি রকি, চিফ ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর জে মোল্লা সানি, চিফ কো-অর্ডিনেটর আহসান হাবিব, চিফ ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, প্যারেডের কো-চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, কাজী আজম, নুরুল আজিম, হারুন ভুঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, শাহ শহীদুল হক, তরিকুল ইসলাম বাদল, কো-কনভেনর শাকিল মিয়া, শাহ জে. চৌধুরী, তারেক হোসেন খান, নুর আমিন ও আখতার হোসেন।
এদিকে মেয়র এরিক অ্যাডামস প্যারেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমি এখানে আসতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। এ ধরনের আয়োজন করার জন্য আমি আয়োজকদেরকে ধনবাদ জানাচ্ছি। মেয়রকে স্পেশাল মার্শালের উত্তরীয় পরিয়ে দেন গিয়াস আহমেদ।
প্যারেডে আরও অংশ নেয় বাংলাদেশ সোসাইটি, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, এস্টোরিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি, প্রবাসী নরসিংদী জেলা অ্যাসোসিয়েশন, পোস্টাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, প্রবাসী মতলব জেলা অ্যাসোসিয়শন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি, সেফ, এ্যাম্পাওয়ারমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন ও প্যারেডকে সফল করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মেয়র এরিক অ্যাডামস, মীর বাশারসহ সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ৬৫টি সংগঠনের নেতারা এসেছেন, তাদেরকে অভিনন্দন। বাংলাদেশ সোসাইটি একটি মাদার সংগঠন। এই সংগঠনকে সবার সহায়তা করা উচিত ।