মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া :
পুরুষশূণ্য বাড়িতে পানি পানের অজুহাতে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বেঁধে স্বর্ণালঙ্কার লুটের চেষ্টা করে এক যুবক-যুবতী। আজ ২৩ মে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার নারায়ণপুরে জয়নাল মিয়ার বাড়িতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। পালানোর সময় এক যুবক ও এক যুবতীকে আটক করে স্থানীয়রা। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কলেজপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
আটককৃতরা হলেন জেলার কসবার চন্ডিদার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম সানি (২৪) এবং তার স্ত্রী পরিচয়দানকারী সুমাইয়া আক্তার একই উপজেলার চকচন্দ্রপুর গ্রামের নাসির মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, জুমার নামাজের সময় জয়নাল মিয়ার পুরুষ সদস্যরা মসজিদে চলে যায়। এসময় এক তরুনী পানি পান করার অজুহাতে জয়নাল মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করেন। তখন গৃহবধু একাই ঘরে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক যুবক ঘরে প্রবেশ করে। ওই যুবক ও যুবতী মিলে দড়ি দিয়ে গৃহবধূকে বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দেন। এরপর তারা ঘরের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালানোর চেষ্টা করেন। গৃহবধূ কোনোভাবে নিজেকে মুক্ত করে রাস্তায় বের হয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে দুই যুবক-যুবতীকে ধরে ফেলেন এবং পরে তাদের আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক জয়নাল মিয়া বলেন, জুমার নামাজে সবাই মসজিদে ছিলাম। এই সুযোগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাদের আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শীতের সকালের কোয়াশা তখনও কাটেনি। পুব আকাশে সূর্য উঁকি দিচ্ছে একটু একটু করে। এরই মাঝে নদীর পাড়ে অস্থায়ী চুলা করে বড় বড় ডেকচি পেতে শিন্নি রান্নার আয়োজন শুরু হয়। বাবুর্চির সহকারিরা চাল ধুয়ে প্রস্তুত করছে। আর বাচুর্চি চুলায় আগুন ধরানোর চেষ্টা করছে। পাশে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন আয়োজকদের দুজন। সময় বাড়ার সাথে সাথে নদীর পাড়ে মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। সবার চোখে মুখে প্রশান্তি ও আনন্দ উচ্ছাস। আনন্দ চিত্তে সবাই যোগ দিচ্ছেন শিন্নি রান্নায়। যে যেভাবে পারছেন সহযোগিতা করছেন। আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর গ্রামবাসীর শতবছরের ঐতিহ্যবাহী গাঁওয়ালা শিন্নি উৎসবে এমন আয়োজন দেখা যায়। কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের রওয়াজার পশ্চিমে নদীর পাড়ে এ আয়োজন করা হয়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, রোগব্যাধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় দীর্ঘ দিন ধরে খড়মপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে শিন্নি উৎসব করা হয়। রান্না করা শিন্নি গরীব দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং গ্রামের বাড়ি বাড়ি নেওয়া হয়। ছেলে-বুড়ো সবাই মনো বাসনায় সেই মিষ্টি খায়। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে চাল, দুধ, গুড়, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহ করে শিন্নি রান্না করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ২১০ কেজি চালের শিন্নি রান্না করা হয়েছে।
শনিবার সকালে এ উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ পাঠ করা হয়। দোয়া পরিচালনা করে খড়মপুর মাজার মসজিদের খতীব মাওঃ লুৎফুর রহান খান খাদেম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খড়মপুর মাজার কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর কাজী লিটন খাদেম, মাজার কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোবাশে^র খাদেম শিরু, মাজার কমিটির সদস্য আবুল হাসান খান খাদেম, রুস্তম কামরান খাদেম, মোজাম্মেল হক খাদেম, রুজভেল্ট খাদেম, সাকির খাদেম, সাবেক সদস্য সামছুর রহমান খাদেম, শাহ আলম খাদেম, জুটন খাদেম, সফিক খাদেম প্রমুখ।
আয়োজক কাজী লিটন খাদেম বলেন, চাল, গুড়, দুধ, নারিকেল, মধুসহ ১৭টি পদ দিয়ে ২১ ডেকচিতে ২১০ কেজি চালের শিন্নি রান্না করা হয়েছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা, সমৃদ্ধি এবং রোগব্যাধি থেকে মুক্তির আশায় আল্লাহর রহমত কামনায় শিন্নি করা হয়ে থাকে।
আখাউড়ায় প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী ও মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকা থেকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-৬০) সদস্যরা এই ভারতীয় পণ্য ও মদ জব্দ করে। এদিন দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকায় সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৬০) টহল দলের অভিযানের সময় ৬৪৮ পিস ভারতীয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ডিসপ্লে, দুই লাখ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ট্যাবলেট, ২৪টি হুইস্কি মদের বোতল এবং ২৪টি বিয়ারের বোতল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি তিন লাখ টাকা।
এ সময় বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ৩০ জুন রোববার বিকালে জেলার সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখতে পেয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেন এবং বিষয়টি ভিডিও কলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে দেখালে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পেয়ে রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত করেন। পরে বিকালে সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। রিপোর্টে বড় কোন অব্যস্থাপনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে স্টোর না থাকায় নিলামযোগ্য মালামালগুলো হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়েছিল। এজন্য দেখতে খারাপ লাগছিল। শিগগিরই এগুলো নিলাম দেওয়া হবে। ওই দিন হাসপালের রোগীদের খাবার দেওয়ায় বিলম্ব এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনায় মুরাদ মিয়া (২৮) নামে এক চোর গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে রেল পুলিশের অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো: এরশাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী একটি কন্টেইনার ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে চুরির সময় ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজন ট্রেন ড্রাইভার, ট্রেনের গার্ড ও গ্রেফতারকৃত মুরাদ মিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মুরাদ মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজ ১২ এপ্রিল শনিবার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বাকী চোরদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি ও যুবদল। দুপুরে আখাউড়া উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা আখাউড়া স্থলবন্দর, কর্ণেল বাজার, ইটনা, আইরল, হাওড়া বেড়ি বাঁধ এবং বিকেলে কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বানবাসি মানুষের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সফিকুল ইসলাম, এড. গোলাম সারওয়ার খোকন, এড. আনিসুল ইসলাম মঞ্জু, এ.বি.এম. মমিনুল হক, জেলা বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আলী আজম, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ভিপি জহিরুল ইসলাম লিটন, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুল বারী প্রমুখ।
জেলা বিএনপি ও যুবদলের ২ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, তেল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ প্রদান করা হয়।
নেতৃবৃন্দ জানান, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আখাউড়া ও কসবায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি।