অনলাইন ডেস্ক :
শেষ ম্যাচে কোমোকে ২-০ ব্যবধানে হারালেও ১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকার আক্ষেপে-ই পুড়তে হলো ইন্টার মিলানকে। গতকাল ২৩ মে শুক্রবার রাতে অপর ম্যাচে ক্যালিয়ারির বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে সিরি আ শিরোপা নিজেদের করে নিলো নাপোলি। গত তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো সিরি আ চ্যাম্পিয়ন নাপোলি। শিরোপা নিশ্চিতের ম্যাচে নাপোলির হয়ে গোল দুইটি করেন স্কট ম্যাকটনিমে ও রোমেলু লুকাকু।
সিরি আ’র শিরোপা নির্ধারণ হলো একেবারে শেষদিকে গিয়ে। ৩৭ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল নাপোলি। সমান ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট ছিল ইন্টারের। শেষ ম্যাচে নাপোলি কোনোভাবে পয়েন্ট হারালেই সুযোগ পেয়ে যেত ইন্টার। তবে তাদের সে সুযোগ দেয়নি ম্যাকটনিমে-লুকাকুরা।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে দলকে লিড এনে দেন ম্যাকটনিমে। মাতেও পলিতানোসের ক্রস গোলবার থেকে ছয় গজ দূরত্বে পেয়ে দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে জাল খুঁজে নিয়ে সমর্থকদের উল্লাসে মাতান স্কটিশ মিডফিল্ডার। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন বেলজিয়ান তারকা লুকাকু। ডিফেন্ডার আমির রহমানির লম্বা পাস মাঝমাঠ থেকে দখলে নিয়ে ক্যালিয়ারির ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়ান।
শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে জয় তুলে নেয় নাপোলি। জিতে নেয় নিজেদের চতুর্থ লিগ শিরোপা। গত তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো সিরি আ’য় চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেলো দলটি।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ ৩ জুন সোমবার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ ট্রফি ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ এই টুর্ণামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই সহজে জিতেছে। ফাইনালও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। নেপাল সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। আজ ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই নেপাল বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি।
এদিন শুরুতে ১-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেপাল পরক্ষণে ১-১ স্কোর করে লড়াইয়ের আভাস দেয়। ধারাবাহিকতায় ২-১ স্কোরে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশটি। তবে স্বাগতিকরা বেশিক্ষণ তাদের রাজত্ব করতে দেয়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট নিতে থাকে। একপর্যায়ে ১৬-২ স্কোরে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।
প্রথমার্ধে ২৪-১০ পয়েন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে। এই সময়ে একবার অলআউট করে লোনাও পায় মিজান-আল আমিনরা। স্বাগতিকদের পয়েন্ট নেওয়ার অভিযানে নেপালও কম যায়নি। গ্রুপ পর্বের চেয়ে আজ পয়েন্ট বেশি পেলেও বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি।
বিরতির পর এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করার সময় স্কোর দাঁড়ায় ২৯-১১ তে। শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ একবার অলআউট হয়। ৪৩-২৮ পয়েন্টে নেপাল পিছিয়ে থাকে। ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস বলে দিচ্ছিল, ট্রফি জেতা কতটা সার্থক হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই মানুষের অপেক্ষা। সময়ের সঙ্গে দুপুর গড়াতে সেই অপেক্ষা রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয়। হাজার হাজার মানুষ বরণ করে নেয় প্রিয় দল রংপুর রাইডার্সকে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে আসেন দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানা, অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, স্টিভেন টেইলর, খুশদিল শাহ, সাইফ হাসান। এছাড়াও আসেন হেড কোচ মিকি আর্থার, কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল, টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিমসহ টিম ম্যানেজমেন্ট।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) শিরোপা জেতা দলটি শুরুতেই জার্সি উপহার দেয় হাজারো ভক্তদের মাঝে। রংপুরবাসীও সাদরে গ্রহণ করে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের। মাঠে প্রবেশের পর মঞ্চে আসেন রাইডার্সরা। একে একে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন সব ক্রিকেটার ও কোচ।
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। দোয়া করবেন যেন বিপিএল ট্রফিটা নিয়ে আসতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ।’
টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম জানান, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশের ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে। রংপুর রাইডার্স এই মাঠে এসে বিপিএলের অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে সুযোগ থাকলে। আমরা ট্রফি নিয়ে আবার রংপুরে আসব।’
হেড কোচ মিকি আর্থার জানান, ‘আসসালামু আলাইকুম। যদিও আমি অনেক বেশি বাংলা জানি না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি অবাক।’
এসময় দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিপিএল ট্রফিও। মাঠে ছিল বিপিএল ২০২৫ এর মাসকটা ‘ডানা ৩৬’। এছাড়া রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ কনসার্ট। চলতি বিপিএলে শুরুর ৮ ম্যাচের সবকটায় জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ এক নাম্বারে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের এ সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পুরো জাতি তাদের অর্জনে গর্বিত।
খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, জয়ের পর অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতিকে একত্রিত করতে খেলাধুলার শক্তির কথা খেলোয়াড়দের স্মরণ করিয়ে দেন। সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে একজন উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ড. ইউনূসকে তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড় এখানে আসতে পেরে খুশি। এটি সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
শান্ত বলেন, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের কঠোর পরিশ্রম পাকিস্তানে তাদের সাফল্যের জন্য মুখ্য ছিল। এ কঠিন সময়ে সাফল্য আনার জন্য খেলোয়াড়দের স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতেও জয় পেয়েছে টাইগাররা। এতে ৩-০ তে এগিয়ে থেকে সিরিজ জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
আজ ৭ মে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের জুটিতে প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান আসে বাংলাদেশের। কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে লিটন দাস রীতিমতো পাগলামি শুরু করেন। ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়েও সেটি ঠিকঠাক করতে পারেননি। টানা তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। ১৫ বল খেলে ২ চারে কেবল ১২ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর উইকেটে এসে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান। দু’জনের ২৬ বলে ৩১ রানের জুটিতে আশা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যায় ফারাজ আকরামের বলে। মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ২২ বলে ২১ রান করে ফেরেন তানজিদ।
এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে দলকে টেনে নেন জাকের আলী অনিক। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও আস্তে আস্তে হাত খোলেন জাকের ও হৃদয়। ৩৪ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান তাওহীদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্কুপ করে চার হাঁকান হৃদয়। কিন্তু পরের বলেই তার ইয়র্কারে হয়ে যান বোল্ড। ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়।
হৃদয়ের এক বল পর মুজারাবানির আরেক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান জাকের আলি অনিকও। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ১৬ রান নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুজারাবানি। একটি করে উইকেট পান ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
রান তাড়ায় নেমে পাওয়ার প্লের ভেতরে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে (৯)। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব। নিজেই ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ব্রায়ান বেনেটকে (৫)।
পরের ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে (৭) বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (১) গ্লাভসবন্দী হন উইকেটরক্ষক জাকের আলীর কাছে।
একপ্রান্তে উইকেট যাওয়ার মিছিলে আরেক প্রান্ত আগলে ছিলেন তাদিওয়ানাসে মারুমি। ২৬ বলে ৩১ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আগের ম্যাচের অভিষিক্ত জনাথন ক্যাম্পবেল এ ম্যাচেও ঝড়ো শুরু করেন। ১০ বলে ২১ রান করেন তিনি। টানা তৃতীয় বলে তানভীর ইসলামকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে বাউন্ডারির কাছে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
ক্যাম্পবেলের বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের হয়ে শেষ লড়াই করেন ফারাজ আকরাম। বাংলাদেশের মনে ভয়ও ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শেষ ছয় ওভারে ৭৫ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। সেখান থেকে শেষ ওভারে ২১ রানের সমীকরণে নিয়ে আসেন তারা। যদিও শেষ ওভারের প্রথম বলেই ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ইয়র্কারে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। পরে টানা দুই বলে বাউন্ডারি হজম করার পর স্লোয়ার বাউন্সারে ডট দেন তিনি। এরপর সিঙ্গেলস নিয়ে আকরামকে স্ট্রাইক দেন মুজারাবানি। শেষ বলে দুই রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি। ১৯ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন আকরাম।
স্পোটর্স ডেস্ক :
নকআউট ম্যাচে একদিকে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আরেক দিকে এ টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দুই দলের সামনে প্রায় বিস্মৃত সেমিফাইনালের হাতছানি। অ্যান্টিগার ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল রোমাঞ্চকর, শেষ পর্যন্ত হয়েছেও সেটি। তাতে ডিএলএস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃষ্টির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার শত্রুতা বেশ পুরনো। দুইটি (১৯৯২ ও ২০০৩) বিশ্বকাপে তাদের কপাল পুড়েছিল বৃষ্টির কারণে।
তবে এবার আর তা হলো না। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত পেস আক্রমণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মার্করামবাহিনী।
অ্যান্টিগায় আজ গ্রুপ পর্বে ডু অর ডাই ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে তাদের সামনে (৮ উইকেট হারিয়ে) ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে বৃষ্টি আইনে সেই লক্ষ্য নেমে আসে ১২৩ রানে। যা ৭ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি (৭) ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এর আগে ২০০৯ সালে ৬ ম্যাচ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ওভারে তারা হারায় দুই ওপেনার রিজা হ্যানড্রিকস ও কুইন্টন ডি ককের উইকেট। দুজনকেই ফেরান ক্যারিবীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এরপর নামে বৃষ্টি। পরে বৃষ্টি থামলে বৃষ্টি আইনে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৭ ওভারে, লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রানে।
বৃষ্টির পরে প্রতিরোধ গড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও ট্রিস্টান স্টাবস। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে মার্করাম (১৮) বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। সপ্তম ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে হেনরিখ ক্লাসেনের তিন চার ও এক ছক্কায় আসে ২০ রান। তবে পরের ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার হন ১০ বলে ২২ রান করা ক্লাসেন।
প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পরের দুই ওভারেই ফের চাপে পড়ে যায় তারা। রাসেলের এক ওভারে আসে ৩ রান। পরের ওভারে রোস্টন চেজের বলে আউট হন ডেভিড মিলার (৪)। ওই ওভারে আসে মাত্র ২ রান। এরপর রাসেল ৬ রান খরচ করে ওভার শেষ করেন।
১৪তম ওভারে ফের ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চেজের করা ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ভালো খেলতে থাকা স্টাবস (২৯)। শেষ ৩ ওভারে তখন ১৯ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে মার্কো ইয়েনসেন। ১৫তম ওভারে আসে ৬ রান।
১৬তম ওভারের প্রথম বলেই কেশভ মহারাজকে বিদায় করেন চেজ। ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। তাতে শেষ ওভারে মাত্র ৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ভয় কাটিয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন ইয়েনসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার কাইল মেয়ার্সের ৩৪ বলে ৩৫ রান ও চেজের ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা। শেষদিকে ৯ বলে ১৫ রান করে কিছুটা ভূমিকা রাখেন রাসেল। কিন্তু তাদের এই পুঁজি যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।
এই জয়ে গ্রুপ ‘টু’ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩ ম্যাচের সবকটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট হয়েছে তাদের। দুই ম্যচ জিতে তদের সঙ্গী হয়েছে ইংল্যান্ডও। ফলে সহ-আয়োজক হয়েও সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (চেজ ৫২, মায়ার্স ৩৫, রাসেল ১৫, জোসেফ ১১*; শামসি ৩/২৭, রাবাদা ১/১১, ইয়ানসেন ১/১৭, মহারাজ ১/২৪, মার্করাম ১/২৮)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য-১৭ ওভারে ১২৩) ১৬.১ ওভারে ১২৪/৭ (স্টাবস ২৯, ক্লাসেন ২২, ইয়ানসেন ২১*, মার্করাম ১৮; চেজ ৩/১২, রাসেল ২/১৯, জোসেফ ২/২৫)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে জয়ী (ডিএলএস)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাব্রেইজ শামসি (দক্ষিণ আফ্রিকা)