অনলাইন ডেস্ক :
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। সেই থেকেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে। প্রতি বছরই দিবসটি উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া-মোনাজাতে দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, থাকে কয়েক দিনব্যাপী কর্মসূচি।
জিয়াউর রহমান তাঁর ঘটনাবহুল কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রম, নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ নানা গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিলেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় প্রধান কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে জিয়া পিতার সঙ্গে কলকাতায় এবং দেশ বিভাগের পর করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হন।
১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীমসাহসিকতার সঙ্গে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তাঁর কোম্পানি যুদ্ধে সবচেয়ে অধিক সাফল্য ও খেতাব লাভ করে। সৈনিক জীবনে তিনি যেমন চরম পেশাদারত্ব দেখিয়েছেন, তেমনি জাতীয় জীবনের সব সংকটে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেজর জিয়াউর রহমানই তখন চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ৯ মাসের মুক্তিসংগ্রামে তিনি একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে সমরনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বীরউত্তম খেতাব লাভ করেন।
১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর ওই বছরের ৭ নভেম্বর এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে খোন্দকার মোশতাক আহমদ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াকে গৃহবন্দি করা হয়। সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। চারদিকে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে আধিপত্যবাদের শ্যেনদৃষ্টিতে উৎকণ্ঠিত ছিল সারা জাতি। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার মিলিত প্রয়াসে জিয়াকে মুক্ত করা হয় এবং নেতৃত্বের হাল ধরেন তিনি।
গভীর দেশপ্রেমের গুণাবলি দিয়ে জিয়াউর রহমান জাতির মধ্যে নতুন করে জাগরণের সৃষ্টি করেন। দেশের মানুষের উপযোগী একটি স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদী আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটান। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এককাতারে নিয়ে আসেন তিনি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপিতে একদিকে যেমন চরম বামপন্থিরা স্থান পান তেমনি চরম ডানপন্থিরাও জায়গা করে নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। মাত্র ছয় বছরের জন্য রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করেন। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জোগান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর ঢাকায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তাঁর স্মরণকালের জানাজায় প্রমাণিত হয় তিনি কত জনপ্রিয় ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পালিত ছেলে পরিচয় দেওয়া আসাদুজ্জামান হিরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে গুলশান থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন
রিমান্ডের জন্য সকল থানায় স্বচ্ছ কাঁচের আলাদা কক্ষ রাখার সুপারিশ
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশের স্পেশাল দল বুধবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ৫ আগস্ট পরবর্তী বাড্ডা থানায় হওয়া মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
জানা গেছে, আসাদুজ্জামান হিরু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থ যোগানদাতা। এছাড়া আসাদুজ্জামান হিরু ওবায়দুল কাদেরের ছত্রছায়ায় অর্থ লোপাট করতেন।
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেন ৪ সংস্কার কমিশন প্রধান
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে চলে যান। এরও বেশ কিছু দিন পর ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কোনো কিছু জানা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহ নগরীতে অভিনব কায়দায় একটি জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি সোনা লুট হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মালিক। ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর বাসাবাড়ী রোড ট্রাঙ্কপট্টি এসএস কমপ্লেক্সের কিরণ জুয়েলার্সে একটি চুরির ঘটনা ঘটে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন দোকানের মালিক শ্রী রিপন সেন।
তিনি জানান, ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে ৬/৭ জন অজ্ঞাত লোক দোকানের সাঁটারের সামনে চাদর ও ছাতা ধরে রেখে ৪টি তালা ভেঙে এক নারীকে দোকানের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে ৩০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় মার্কেটের নাইটগার্ড তাদের শব্দ শুনে বেরিয়ে এলে তারা আসামি ধরতে এসেছে বলে ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।
রিপন বলেন, সকাল ৮টার দিকে দোকান খুলে দেখি দোকানের সাটার ও কেচি গেট এবং কাউন্টারের তালা ভাঙা। তারা এ দোকান থেকে ৩০ ভরি সোনা ও ৫০ ভরি রোপার গহনা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার খবরে ডিবি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও জানান ভুক্তভোগী রিপন সেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত এই চোর চক্রকে ধরতে অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের হাড়ি ভাঙ্গা আম। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নামে ২৪০ কার্টুনে ১২শ কেজির আমের চালানটি আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট আমের চালানটি হস্তান্তর করেন। এ সময় উভয় দেশের কাস্টমস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রবি ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস বন্দরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পাদনায় সহযোগিতা করেন বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার মোহাম্মদপুরে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সম্মিলিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মন্টু।
তিনি জানান, গরুর মাংসের এই দাম আগামী এক মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পরে সেটিকে আবার বসে পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে মামলাজট কমানোর জন্য বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন আদালত প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোার্টের বিচারক সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফ। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান মামলাজট কমানোর জন্য সম্প্রতি সহায়ক জনবলসহ ৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ৭টি মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, গাজীপুর ও রংপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ২টি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৩০টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ২২টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৬২টি অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ও ১১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় একটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও একটি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এবং গাজীপুর, রংপুর ও বরিশালে ৩টি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ৩টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও ৩টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত সৃজন করা হয়েছে।
এছাড়া ১১টি যুগ্ম জেলা জজ, ৩৪টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ১৭টি অর্থঋণ আদালত, ২১৪টি সহকারী জজ আদালত, ১৩টি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, ৫৪টি ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রাম জেলায় ৩টি অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ১০টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৭টি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং মাদক সংক্রান্ত মামলা বিচারের জন্য স্বতন্ত্র ৩০টি অতিরিক্ত জেলা জজ, ২৪টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, ৬৬টি যুগ্ম জেলা জজ ও ৩২টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিচারকের নতুন পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অধস্তন আদালতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৩৫৯টি বিচারকের পদ ও এক হাজার ৯৯৯টি সহায়ক পদ সৃজন করা হয়েছে। অপরদিকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মাত্র ২৫টি বিচারকের পদ এবং ১৩৩টি সহায়ক জনবলের পদ তৈরি করা হয়।
তিনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে এক হাজার ৪২৬ জন বিচারক (সহকারী জজ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট আমলে অধস্তন আদালতে মাত্র ১৯০ জন বিচারক নিয়োগ করা হয়েছিল।
সাব-রেজিস্ট্রার পদ সংক্রান্ত
সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলি আইন ও বিচার বিভাগ হতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আনিসুল হক।
স্বতন্ত্র সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি আরো জানান, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়াদি আইন ও বিচার বিভাগের কর্মপরিধিভুক্ত।
ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং সাব-রেজিস্ট্রার পদ আইন ও বিচার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়। ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সঙ্গে সাব-রেজিস্টার অফিসের একটি আন্তঃসংযোগ স্থাপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব-স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃসংযোগে যুক্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক লাখ ৪ হাজার ১১৬টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।
পূর্বে দলিল নিবন্ধনের পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ল্যান্ড ট্রান্সফার (এলটি) নোটিশ প্রেরণ করতে বিলম্ব হতো। ই-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধনের সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলটি নোটিশ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে প্রেরিত হয়। এর মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস দ্রুততম সময়ে নামজারি কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন। অপরদিকে এই আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রারগণ কোনো দলিল নিবন্ধনের পূর্বে নামজারির সর্বশেষ অবস্থান দেখতে পান। ফলে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।
বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত
বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন কোন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। সরকারি দলের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভাড়াটিয়াদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত এবং বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সংঘাত নিরসনের জন্য ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১’ বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে। বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন কোন আইন প্রণয়ন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের বিধানসমূহ পর্যালোচনা করা হবে।