চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। আজ ৩১ মে শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত কথাই বলুক নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে কোনো বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। তাই এই মুহূর্তে দরকার নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকারের প্রক্রিয়া যত বিলম্বিত করবে এই দেশে আরেও একটি ফ্যাসিবাদের জন্ম নিতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন প্রয়োজন।
নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে দেশে আরো একটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত কথাই বলুক না কেন-নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে কোন বিদেশী বিনিয়োগ আসবে না। তাই এই মুহুর্তে দরকার নির্বাচিত সরকার।
এছাড়াও তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ সবাইকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন থেকে শিক্ষা নিতে ও দেশের প্রতি তার অবদান সম্পর্কে জানতে বই পড়ার জন্য আহ্বান জানান।
নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের আন্দোলনে দেশের নিবন্ধিত যেসব রাজনৈতিক একসঙ্গে ছিল, তারা সবাই নির্বাচন চায়।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বর্তমানে নির্বাচন ঘিরে কেন বিএনপিকে নিয়ে এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে তাতে সন্দেহ রয়েছে। মূলত নির্বাচিত সরকার ছাড়া বর্তমানে আইনশৃঙ্খলার যে অস্থিরতা চলছে তা দমন করা সম্ভব নয়।
জেলা বিএনপি ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিয়া স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবিএম মমিনুল হক মুমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনসহ প্রমুখ। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বই কিনে নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কবি আল মাহমুদের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ জুলাই শনিবার বিকালে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মো. লিয়াকত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, দৈনিক ঐশী বাংলার সাহিত্য সম্পাদক ডা. এস. এম. শাহনূর।
কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী সোহেল রানার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি লিটন হোসাইন জিহাদ।
বক্তারা বলেন, কবি আল-মাহমুদ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ারই গর্বের সন্তান নয়, তিনি সারা বাংলাদেশের সম্পদ। বক্তারা কবি আল মাহমুদের সাহিত্য চিন্তা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা এবং তার বিপ্লবী চেতনার গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, আল মাহমুদ শুধু একজন কবিই ছিলেন না, ছিলেন সময়ের প্রহরী। তার লেখনীতে উঠে এসেছে গ্রামীণ জীবনের সত্য, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানুষের অন্তর্লৌকিক জীবনবোধ।
বক্তারা বলেন, আল-মাহমুদ বিগত সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন। কবিকে বিগত সরকারের সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সমাহিত করা হয়নি। বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আল-মাহমুদের কবর সংরক্ষণ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মাহমুদ কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান।
এ সময় তারা বলেন, তার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স নির্মিত হলে আগামী প্রজন্ম তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে এবং অনুপ্রাণিত হবে। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৭৩১ জন প্রার্থী অবৈধ আর ১৯৮৫ জন প্রার্থী বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
এদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আগামীকাল থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি রবিবার।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের বৈষম্য মানা হবেনা। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে জেলার সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সম্বন্বয়ক ও সূধীজনদের সাথে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিতে হবে। কেউ পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে দিতে চায় কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, দোষীদের শাস্তি দিতে হলে তদন্ত করে বের করতে হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বকুল, সাংবাদিক ইব্রাহিম খাঁন সাদাত, সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, সমন্বয়ক সিয়াম, সমন্বয়ক শাহআলম, অভিভাবক মোঃ আজিম, মাহাবুবুর রহমান অভিভাবক অ্যাডভোকেট ইমরুল মুর্শিদ, তানজিনা আক্তার, শিক্ষার্থী শাবনুম শিখার মাতা, শিক্ষার্থী তানহার মাতা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর জেলার ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা চলছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকগনকে বের করে দিয়েছেন। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষকগন নাজেহাল হয়েছেন। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। বক্তারা বলেন, সামনে স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা এই অবস্থায় গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারেনা। বক্তারা আগামীকাল ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের মধ্যে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে কোন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এর আগে অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকে পাঠদানের সুযোগ দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভায় বুধবার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুর্নীতির অভিযোগে আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আবু জামালকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখের শিক্ষার্থীরা। পরে জেলা প্রশাসনের দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নাঈমা ও ইশরাত জাহান তৃষ্ণাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আবু জামাল বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ভুয়া বিল তৈরি করে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করেছেন। অথচ এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শতাধিক ছাত্রীদের কাছ থেকেও ৬০০ টাকা হারে নেন তিনি। এ ঘটনা জানাজানি ও বিষয়টি প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে এক নৃত্য শিক্ষকের চাকরি চলে যায়। বিদ্যালয়ের তহবিল তছরুপ করতে অফিস সহকারী হরিশঙ্কর চক্রবর্ত্তী অবসর নেওয়ার পরও তাকে বেআইনিভাবে বহাল রেখেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে আরো অভিযোগ করে বলেন, ঝাড়ুদার মিনা রানী দাসের চাকরি স্থায়ী করতে তার কাছ থেকে দেড়লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আবু জামাল। সেই টাকা এখনো ফেরত দেননি। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়। পরে ইউএনওর অফিসে অভিযোগ দিলে প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে এমনটাই জানালেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ৯টার দিকে প্রধান শিক্ষক আবু জামালকে তার কক্ষে অবস্থান করার সময় শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেন। এসময় তারা তার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্লোগান দেন। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা আসেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে প্রধান শিক্ষককে বের হতে দেননি শিক্ষার্থীরা।
এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইকরামুল হক নাহিদ ও নুশরাত জাবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা প্রধান শিক্ষক আবু জামালের বিষয়ে তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আবু জামাল বলেন, তদন্তে সব প্রমাণ হবে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দাতা সদস্য লতিফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দিবসে অংশ নিতে বিদ্যালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিজয় দিবসেও ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আলাদাভাবে ৬০০ টাকা করে নেওয়া হয়। যা প্রমাণ হওয়ার পর সেই টাকা স্কুল ফান্ডে রেখে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইকরামুল হক নাহিদ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের পাঠানো হয়। সেখান থেকে উনাকে (প্রধান শিক্ষক) আমরা নিয়ে আসি।’