চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহের জের ধরে রুনা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১মে শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার রুনা আক্তার একই ইউনিয়নের রাণীখার গ্রামের শিক্ষক শেখ নাছির উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই শেখ জসিম উদ্দিন জানান, তিন বছর আগে পাশের গ্রামের সাইদুর রহমানের সাথে পারিবারিকভাবে রুনার বিয়ে হয়। তাদের ১০ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঢাকায় সেলুনে কাজ করেন সাইদুর। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নেন সাইদুর। এরপর আবার টাকা নেয়ার জন্য রুনাকে চাপ দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এ বিষয় নিয়েই রুনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনন্ত কুমার ভক্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ভিকটিম মারা যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ভিকটিমর বুকে গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা প্রাণঘাতি ছিল।
হাসপাতালের মর্গে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মোছা: শিরিন আক্তার। তিনি জানান, ভিকটিমের বাম বুকের উপরে গলার নিচে সাড়ে সাত ইঞ্চি গভীর ও ২ ইঞ্চি প্রস্থের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার অনামিকায় কাটা রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরই ভিকটিমের স্বামী সাইদুর রহমানকে বাড়ি থেকে এবং তার শ্বশুর আব্দুস সালামকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানার হাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পৌর শহরের মসজিদ পাড়া উপজেলা সদর ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজ শেষে মুসল্লিরা রহমতের বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করেন।
ইসতিসকার নামাজের ইমামতি করেন মসজিদ পাড়া সদর জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব হাসান। নামাজে পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসল্লিরা স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে ইমাম আরবিতে খুতবা দেন। এরপর তিনি তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে গরম থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশগ্রহণকারীরা জানান, বৈশাখের শুরু থেকে তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র গরমে কষ্ট ভোগ করছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে এই নামাজ আদায় করেন তারা।
মাওলানা ইয়াকুব হাসান বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়।
উপজেলা সদর মসজিদ পাড়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: মনির হোসেন বাবুল বলেন, তীব্র তাবদাহে মানবজাতিসহ অন্যান্য প্রাণিকূল অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমরা মনে করি এটা একটি আল্লাহ তাআলার গজব। আমাদের পাপাচারের কারণে অনেক সময় মানবজাতিকে দুর্ভোগে ফেলেন। আমরা এই তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে এখানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। এ সময় মুসল্লিরা নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। একই সঙ্গে রহমতের বৃষ্টির জন্য আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২২জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। আজ ২১ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে এসব কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের প্রচেষ্টায় ১ জনকে তিনদিন ও অপর ১জনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া নাবালক প্রমাণিত হওয়ায় অপর ১ জনকে মুচলেকার মাধ্যমে বাবার জিম্মায় প্রদান করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় কসবা উপজেলার আকছিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোঃ সজিব (২২) নামে এক জাল ভোটারকে ৭দিনের কারাদণ্ড ও এক প্রার্থীর এজেন্ট মোঃ আমজাদকে (৪০) পাঁচদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ায় পারভেজ মিয়া (২২) নামের একজনকে ৫দিনের, বিনাউটি ইউনিয়নের জামিয়া ছানি ইউনুছিয়া মাদরাসা ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে সিল দেয়া ব্যালটের ছবি তোলায় সাইফুল ইসলাম, মোঃ শাকিল, মোঃ রহমতুল্লাহ ও মোঃ রাসেল নামের চারজনকে তিনদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুইজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের হাতুরাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র জাল ভোট দেয়ায় মোঃ আমানুল্লাহ, মোঃ আলম, মোঃ নূরে আলম, মোঃ বাতেন মিয়া, আবু নাইম, জাবেদ মিয়া, ওবায়দুল হক, নূর আলম ও মোঃ পারভেজকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে আখাউড়ায় শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ (পুরাতন ভবন) পুরুষ ভোট কেন্দ্রের দুই নম্বর ভোটকক্ষের গোপন কক্ষে ঢুকে অন্য ভোটারের ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে মাইক প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাবুদ্দিন বেগের পোলিং এজেন্ট মাহবুব মিয়াকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রে থাকা থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল আলীকে দায়িত্ব থেকে থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এদিকে বিকেলে আখাউড়া ছতুরার চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ ভোট কেন্দ্রে অবৈধভাবে গোপনকক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে সিয়াম চৌধুরী (২০) নামের এক তরুনকে দন্ডবিধির ১৭১ (চ) ধারায় ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আখউড়া ও কসবা উপজেলায় ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহন চলাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ভারতের ত্রিপুরায় বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আগরতলার বিএসএফ সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ৪ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির সুলতানপুর-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান। প্রতিনিধি দলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যায়। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা রাজ্যের গোকুলনগর-৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অজয় কুমার সিং। বিএসএফের ৫ সদস্যের দল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে সীমান্ত এলাকা শান্তিপূর্ণ রাখতে লক্ষ্যে বিএসএফের পুশ-ইন বন্ধ রাখা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
সূত্র আরো জানায়, ভারত থেকে মাদক আসার বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদেরকে সেখানকার মাদকের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। পুশইন বিষয়েও আলোচনা হয়। আপাতত সেখান থেকে পুশইনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বস্ত করা হয়। বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান বৈঠক শেষে ফিরে সোমবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। পুশইন ও মাদক বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া রুটিনমাফিক যেসব আলোচনা হয়, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্যসহ ভারতীয় পণ্য চোরাচালান রোধেও বিজিবি সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
উভয়পক্ষই বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৫ এবং সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (CBMP) আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভুত যেকোন সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ/ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে একমত হন। পরিশেষে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে পতাকা বৈঠকটি সমাপ্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা মনে করে, বিদেশে তাদের কিছু মুরুব্বির কাছে কান্নাকাটি করলে ক্ষমতায় আসতে পারবে।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নবনির্মিত বনগজ সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যাতে কষ্টে থাকে সে ব্যবস্থা করা। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বয়কটের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। নিরীহ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মেরেছে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। মানিলন্ডারিং করে টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছিল। মানুষের কাছে তারা ভোটের জন্য আসে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতারা হত্যা করে রাজনীতি করতেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে, তারা আর সেই খেলা খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করবে।
আখাউড়া উপজেলার বড়বাজার-ধরখার সড়কের বনগজ এলাকায় নবনির্মিত একটি সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োচিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ধরখার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শানু মিয়া।
ইউপি চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিকের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।