চলারপথে রিপোর্ট :
অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা মাঞ্জুরুল হক মাঞ্জুকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ ২ জুন সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা সদরের বাসিন্দা। যৌথ বাহিনীর একটি দল আজ সোমবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সদরের উত্তরপাড়ায় অবস্থিত তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা মাঞ্জু ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা নবীনগরের সন্তান, অ্যাডভোকেট কাজী মোরশেদ হোসেন কামালের অনুসারী ছিলেন। কামাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা মাঞ্জুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতারের সময় এই যুবলীগ নেতার কাছে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে থানায় মামলাসহ প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আজ আদালতে চালান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান স্বেচ্ছাসেবীকর্মী শিহাব উদ্দিন (২৫)। কারো রক্তের প্রয়োজনে ফোন দিলে, ছুটে যেতো রক্ত দিতে। এমন ফোন পেয়ে একজন মুর্মুর্ষ রোগীকে রক্ত দিতেই ছুটে যাচ্ছিলো মোটরসাইকেল যোগে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতাব তার আপন চাচাতো ভাই ফরিদ মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (২৪) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে সেও মারা যায়। সে পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল জানান, মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে এসে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিহাবকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুত্বর আহত বোরহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন।
নিহত শিহাবের পিতা রফিক মিয়া জানান, এখন আমারে কেডা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাইবো। রক্ত দিতো গিয়া আমার পোলা শেষ হয়ে গেলো বলে তিনি বিপাল করছেন। নিহত বোরহানের বাবা ফরিদ মিয়া জানান, আমার বংশে দুই ভালো ছেলে আমাদের রেখে চলে গেছে।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইলিয়াস আহম্মেদ জানান, শিহাব ঘটনাস্থলেই ও বোরহানকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। ব্লাডগ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আজহারুল জানান, শিহাবের মা-বাবা অসুস্থ থাকার পরও তাকে কেউ রক্তের জন্য ফোন দিলে রক্ত দিতে ছুটে যেতো। দুইজন ছিল স্বেচ্ছাসেবী কর্মী।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিহাব ঘটনাস্থলে ও বোরহানকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুবিন্যস্থ বেণি জুড়ে গাছে দুলছে আশ্চর্য সুন্দর হিজল ফুল। দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। প্রতি বছর বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের হাওড় বেষ্টিত ভাটির অঞ্চলে এ ফুলের দেখা মিলে, এখন সেই সময়। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরে ফিরেই এসেছে হিজলের কথা। কবির ভাষায়- “চোখে তার হিজল কাঠের রক্তিম/চিতা জ্বলে”। একই ভাবে হিজল বনে ঘুঘু দেখে উচ্ছ্বসিত কবি লিখেছেন- “পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে”। অবশ্য কবিতার বাইরে বাস্তবে হিজল গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। গণসংগীত শিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাস সুরে সুরে বলেছেন- “হাওড়ের পানি নাই রে হেথায়, নাই রে তাজা মাছ/বিলের বুকে ডালা মেলা, নাই রে হিজল গাছ”। অর্থাৎ দিন দিন হিজল গাছের সংখ্যা কমছে। বর্তমানে গাছটি প্রায় দুর্লভ। এ গাছটি সংস্কৃত নাম নিচুল, এ ছাড়াও জলন্ত ও নন্দীক্রান্ত নামেও পরিচিত। হিজল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম- Barringtonia acutangula। এটি Lecythidaceae পরিবারের সদস্য। এটি বাংলাদেশের ভাটির অঞ্চলে বহুকাল ধরে টিকে থাকলেও এর আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভারত। গাছ মাঝারি আকারের, উচ্চতা ৫-১০ মিটার পর্যন্ত, এর ডালপালা থাকে ছড়ানো, বাকল যথেষ্ট পুরো, ঘনছাই রঙের হয়ে থাকে, বীজ থেকে গাছ হয়। খাল, বিল, নদী, ডোবা, হাওর ইত্যাদি জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। এটি পানির নিচে কয়েক মাস জীবিত থাকতে পারে। এ গাছের মূল আকর্ষণ লাল ও গোলাপি রঙের ছোট ছোট ফুল, ফুলের আছে মিষ্টি ঘ্রাণ। উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মার বর্ণনা মতে- “ফুলের মঞ্জুরী ৬-১৫ ইঞ্চি লম্বা। বহুপুষ্পিক ফুলের বৈশিষ্ট্যে হিজল অনন্য”।
হিজল বীজের অনেক ঔষুধি গুনাগুন আছে- মাথা ও কপাল ব্যথা হলে হিজল বীজ শুকিয়ে গুড়া করে দুই চামচ পরিমাণ এক কাপ দুধসহ সকালে এবং বিকেলে খেলে মাথা ব্যাথা কমে যায়। পেটে গ্যাস হলে, ঢেকুর উঠলে, পেট ফাঁপা হলে হিজল বীজ চূর্ণ করে গরম মসলা সহ খেলে কিছুক্ষনের মধ্যে সেই সমস্যা চলে যায়। চোখ উঠলে, চোখ লাল হলে, চুলকায়, পানি পড়ে। সেই সময় বীজ নিয়ে পাথরে ঘসে চন্দনের মত চোখের চারি পাশে লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণ রাখার পর ছোট নেকড়া ভিজিয়ে মুছে দিলে যন্ত্রণা কমে যায়। হিজল ফুল গভীর রাতে ফুটে, সকাল হতে না হতেই ঝড়ে যায়। হিজল সাধারণত জলমগ্ন বা জলসংলগ্ন অঞ্চলে ভাল হয়। তাই নবীনগরের ভাটির অঞ্চলের গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে টিকে আছে হিজল গাছ। নদী সংলগ্ন গ্রাম গুলোতে নৌকা দিয়ে গেলে চোখে পড়ে অপূর্ব হিজল গাছের সারি কারন- হিজলের আবাস নিচু এলাকা/ হাওড় অঞ্চল।
নবীনগরের মত দেশের হাওড় বেষ্টিত সাত জেলার ৪০টি উপজেলায় কম বেশি প্রায় প্রতি গ্রামেই দেখা যায় হিজল। নিচু জলাঅঞ্চলে মাছের অভয়রাণ্য তৈরিতে এই গাছের ডাল ব্যবহৃত হয়। ভরা বর্ষায় নবীনগরের ভাটি অঞ্চলে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার সময় নৌকা থেকে চারপাশে তাকালে থৈ থৈ জলের মধ্যে দেখা যায় হিজল গাছ। যেন ঘাটে নৌকা লাগতেই স্বাগত জানাচ্ছে হিজলের ফুল। স্থানীয়দের খুব চেনা এ গাছটি শুকনো মৌসুমেও দিব্যি থাকে। এমনকি রাজধানী শহরের একাধিক উদ্যানেও দেখা যায় হিজল গাছ। বর্তমানে কিছু সরকারি বেসরকারি প্র্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এ গাছ লাগানো হচ্ছে। হিজলের প্রাণশক্তি অনেক বেশি, দীর্ঘজীবী গাছ, বিধ্বংসী বন্যা কিংবা তীব্র খরাও একে কুপোকাত করতে পারে না। জল এবং স্থল দুই জায়গাতেই এরা সাবলীল, এদের এই আলাদা বৈশিষ্ট্য ও অভিযোজনের কারনে হিজল সবার দৃষ্টি কাড়ে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে এক আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার উত্তর কাইতলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের হাজারো মানুষ ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অলি মুন্সির বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
এ সময় ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের সজিব নামের এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকার খুনী, হত্যাকারী, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, উচ্ছৃঙ্খল ও চিহ্নিত মাদক কারবারি অলি মুন্সি। আওয়ামী লীগের সভাপতি অলি মুন্সির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি হত্যা মামলা রয়েছে। অথচ তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।
আবু হানিফ নামের একজন বলেন, সে আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার সুবাদে তার সহযোগীদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অন্যায়-অপকর্মসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কিছু বললে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করা হতো। এখন সময় এসেছে তার বিচারের।
তাজুল ইসলাম নামে আরেকজন অভিযোগ করে বলেন, অলি মুন্সি আশপাশের গ্রামে মাদকের স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছে। এলাকায় প্রতিদিন নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি বিক্রি করার কারণে যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংসের পথে রয়েছে। এছাড়াও অলি মুন্সি ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করার মূল হোতা। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নপূরণ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সৌদি আরব প্রবাসী মো. কামরুল সরকার। ৩ মার্চ শুক্রবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বি-চাপিতলা গ্রামের মো. মনির হোসেনের মেয়ে কাকুলী আক্তারকে তিনি বিয়ে করেন। কামরুল উপজেলার ভিটিবিষাড়া গ্রামের মো. মুর্শিদ মেম্বারের ছোট ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল ৩টার দিকে বি-চাপিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হেলিকপ্টার চড়ে আসেন বর। হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বরকে এক নজর দেখতে চারপাশে ততক্ষণে উৎসুক জনতার বেশ ভিড় জমে উঠে। কিছুক্ষণ পরই বর কামরুল হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসেন।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, কামরুল সৌদি আরব প্রবাসী। ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার। তাই নিজের স্বপ্নপূরণ করতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করে বিয়ে করেন তিনি।
কামরুল সরকার জানান, ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার। আমার সে ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এ জন্য আল্লাহর কাছে তিনি শুকরিয়া আদায় করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার নাটঘর গ্রামে আগুন লেগে এক কৃষকের দুই গরুসহ গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ওই কৃ কের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ ১৮ আগস্ট রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘরের আব্দুর রশিদ ডিলার বাড়ির কৃষক আব্দুর রহমানের গোয়ালঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হুমায়ূন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বরাতে আব্দুর রহমানের চাচাতো ভাই মো. খোরশেদ আলম জানান, আজ সকালে গোবর পরিষ্কার করার জন্য রান্নাঘর থেকে বাঁশের পাত্র দিয়ে ছাই এনে গোয়ালঘরে রাখা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সেই ছাই থেকে গোয়ালঘরে রাখা পাটে আগুন ধরে যায়। পরে মুহূর্তেই সেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়ালঘরে পাট ছাড়াও অনেক পাটখড়ি, লাকড়ি, চাল, চালের পাত্রে নগদ টাকা রাখা ছিল। স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে দুটি গরুসহ পুরো গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষক পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির ফরহাদ শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, বিষয়টি জানলাম। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।