অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েল নিঃসন্দেহে যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। স্কাই নিউজের একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি মনে করি না এটি গণহত্যা, কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে- এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। ২ জুন সোমবার প্রকাশিত ‘ট্রাম্প ১০০’ শীর্ষক পডকাস্টে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ ও গাজা নিয়ে মার্কিন নীতির নানা টানাপোড়েন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মিলার।
২০২৩ সাল থেকে বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ম্যাথু মিলার। তার মূল দায়িত্ব ছিল গাজা, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অবস্থান গণমাধ্যমে তুলে ধরা।
সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়, সরকারে থাকা অবস্থায় তিনি এই বক্তব্য প্রকাশ্যে বলেননি কেন। জবাবে মিলার বলেন, যখন আপনি সরকারের একজন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তখন ব্যক্তিগত মত প্রকাশের সুযোগ থাকে না। আপনি সরকারের অবস্থানই তুলে ধরেন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই সিদ্ধান্তে আসেনি যে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। এখনো আসেনি।
যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত প্রশ্নে নিজের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মিলার বলেন, যদি কোনো রাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধের নিয়ম ভেঙে পদক্ষেপ নেয় অথবা এতটাই বেপরোয়া আচরণ করে যা যুদ্ধাপরাধে পর্যবসিত হয়, তাহলে সেটিও যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ে।
তিনি জানান, আমি মনে করি, কিছু নির্দিষ্ট ঘটনায় স্পষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আর তা করেছেন ইসরায়েলি সেনা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
বাইডেন প্রশাসনের গাজানীতি নিয়েও বক্তব্য দেন ম্যাথু মিলার। তার ভাষ্যে, ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ও অবস্থান নিয়ে তৎকালীন প্রশাসনের ভেতরে ‘ছোট-বড়’ নানা মতবিরোধ ছিল।
তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সম্পর্ক নিয়েও এক প্রশ্নে মিলার দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান, গাজা ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে টানাপোড়েন ছিল। তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজা ও ইউক্রেননীতির বিষয়ে বাইডেনের ওপর বিরক্ত ছিলেন বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
মিলারের এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের গাজা হামলা নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং একাধিক মানবাধিকার সংস্থা ঘটনাগুলোকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করছে। সূত্র : স্কাই নিউজ
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিন বন্ধ থাকবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে বন্ধের সময় স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুইদিন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। পূজার ছুটি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তরপূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে নয়জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। টার্মিনাল ওয়ানে অবৈধভাবে মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রির অভিযোগে আটক করা হয়। ১০ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়।
দেশটির অস্ট্রো আওয়ানি জানায়, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, আটককৃত ব্যক্তিদের বয়স ২২ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তারা গত দুই মাস ধরে অবৈধভাবে সিম কার্ড বিক্রির কাজে জড়িত ছিলেন। তারা মূলত বাংলাদেশি পর্যটকদের লক্ষ্য করেই এই কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
তিনি আরো জানান, অভিযানে বিভিন্ন মালয়েশিয়ান টেলিকম কোম্পানির সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে, যা অন্য ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত ছিল। প্রতিটি সিম কার্ড ২৫ রিঙ্গিতে বিক্রি করা হতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত আয় করতেন। অভিযানে চারটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১২১টি সিম কার্ড, আটটি সিম কার্ড খোলার সূঁচ এবং মোট ১ হাজার ৫৫৫ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।
তদন্তে আরো বেরিয়ে এসেছে, আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের কাছে কোনও বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছিল না, দু’জনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং বাকি দু’জন অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাসের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৬(৩) ধারা অনুযায়ী পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থানের জন্য একই আইনের ১৫(৪) ধারা অনুযায়ী দু’জনকে এবং ভিজিট পাসের শর্ত ভঙ্গের দায়ে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৬৩-এর ৩৯(বি) ধারায় আরো দু’জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত চলছে এবং তাদের মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে রাখা হয়েছে। সূত্র: দ্য স্টার, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের ফকিরমোড়া বিওপির একটি টহলদল আব্দুল্লাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে।
আটক ভারতীয়রা হলেন, পান্না রানী দেব (৫৪) ও তার ছেলে অভি দাশ (১৮)। বিজিবি জানায়, তারা ভারতের ধলায় জেলার কমলপুর থানার মানিক ভান্ডার এলাকার জহর লাল দাসের স্ত্রী ও সন্তান।
বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা ৭ দিন আগে ভারতের ত্রিপুরা জেলার রামনগর থানার সরমালংগা গ্রামের বাসিন্দা ও মানবপাচারকারী দালাল মানিক দাশের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর থেকে পান্না রানী দেব কিশোরগঞ্জ জেলায় তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার হিরাপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে ও মানবপাচারকারী দালাল মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং নূরুল মিয়ার ছেলে মো. তৌহিদ মিয়ার সহযোগিতায় সীমান্ত পিলার ২০২২/৭-এস এর কাছ দিয়ে তারা ভারতে ফেরত যাচ্ছিলেন বলে জানায় বিজিবি। আটক ভারতীয় ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
অনলাইন ডেস্ক :
সোশ্যাল মিডিয়ায় কত রকম ঘটনাই না সামনে আসে। এক কথায় বিস্ময়ের শেষ নেই নেটদুনিয়ায়। সম্পর্কের জটিলতা থেকে অদ্ভূত সমীকরণ, সব ঘটনারই নজির মেলে সেখানে। তবে সাবেক প্রেমিকের জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে ডেলিভারি কোম্পানির তিরস্কারের মুখে পড়ার ঘটনা খুব একটা চোখ পড়ে না। তবে ভারতের ভোপালে এমন একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে।
একবার নয়, তিন-তিন বার সাবেক প্রেমিকের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন ভোপালের অঙ্কিতা নামের এক তরুণী। কিন্তু এক্স গার্লফ্রেন্ড অর্থাৎ, সাবেক প্রেমিকার সেই খাবার নিতে নারাজ যুবক। এদিকে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’তে অর্ডার দেওয়ায় বার বার সমস্যায় পড়তে হয়েছে ফুড ডেলিভারি কোম্পানি জোমাটোকে।
ক্যাশ অন ডেলিভারি অনেকের কাছে সুবিধাজনক হলেও, এর কিছু সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় শেষ পর্যায়ে এসে গ্রাহক খাবার নিতে চান না। ফলে একে তো খাবার নষ্ট হয়, সেই সঙ্গে খাবারের দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয় খাবার ডেলিভারি কোম্পানিকে। অঙ্কিতার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে আসছিল। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে প্রকাশ্যেই তার নাম ও ঠিকানা উদ্ধৃত করে টুইট করে বসে জোমাটো।
জোমাটোর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ভোপালের অঙ্কিতা, দয়া করে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে আপনার সাবেক প্রেমিককে খাবার পাঠানো বন্ধ করুন। এই নিয়ে তিনবার খাবারের দাম দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তিনি!
জোমাটোর এ পোস্টটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও এর ফলে অঙ্কিতা তার সাবেক প্রেমিকের পিছু ছেড়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে জোমাটোর টুইট বেশ ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
পোস্টটিতে অসংখ্য নেটিজেন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘অঙ্কিতা এক্সকে বিরক্ত করা বন্ধ করুন।’ আবার তরুণীর এমন কাণ্ডে হাসি থামছিল না অনেকের। যেমন একজন লিখেছেন, ‘অঙ্কিতার বয়ফ্রেন্ড ভাবছেন, আমি ব্রেকআপের আগে টাকা দিতাম, আবার ব্রেকআপের পরেও দেবো!’ আবার কারও মতে, এটা জোমাটোর মার্কেটিং কৌশল।
সূত্র: এবিপি লাইভ
অনলাইন ডেস্ক :
ভারত সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট জগত প্রকাশ নাড্ডা ও জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বিজেপি প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডার বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিজেপির আমন্ত্রণে সফররত দলের নেতারা এরপর বিজেপির সদরদপ্তরে পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন। আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ দুই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক নানা বিষয়ের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, জঙ্গিবাদ দমন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশেষ গুরুত্ব পায় বলে জানা গেছে।