চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ জুন শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার লেশিয়ারা গ্রামে ও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর মেয়ে আফসিন (৩) ও বিলঘর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেনের ছেলে মাহিন (৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, শুক্রবার দুপুরে লেশিয়ারা গ্রামের একটি পুকুরে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিলো শিশু আফসিন। খেলার এক পর্যায়ে অসর্তকবশত আফসিন পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামেও অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় মাহিন নামে সাত বছরের আরেক শিশু মারা যায়।
পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় বেগম খালেদা জিয়া দন্ডিত হওয়ার পরে তার দন্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে দুইটা শর্তে মুক্ত করা হয়েছে। তিনি সেই দুই শর্ত মেনে নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন এবং আজকেও তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন।
তিনি আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে কসবা উপজেলা সদরে হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাই স্কুলের চারতলা বিশিষ্ট ভবনের প্রথমতলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বেগম জিয়া এখন বিদেশে গেলেই তার অবস্থা ভালো হবে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কিন্তু আমি এইটুকু বলতে পারি আইন যা বলে তাতে তার যে দরখাস্ত সেটি আগেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এখন নতুন করে আর কিছু করার নেই। সে জন্যই তিনি এখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং সেই চিকিৎসাই তাকে গ্রহণ করতে হবে।
সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে জিএম কাদেরের মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিএম কাদের সাহেব হঠাৎ বলে বসলেন, সাইবার সিকিউরিটির নাকি জনগণের কন্ঠরোধ করা হয়েছে।
জিএম কাদেরকে সাইবার সিকিউরিটি আইনটি পড়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তিনি দুটি জিনিস দেখতে পারবেন, একটি হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে বাংলাদেশ পেনাল কোর্ট সেই অপরাধ গুলো আছে। আর টেকনিক্যাল অপরাধগুলো যোগ করা হয়েছে। আর সবগুলো পেনাল কোডের অপরাধ গুলোকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
এখানে এমন কোন কথা নাই যেখানে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে। এই আইন শুধু করা হয়েছে যারা শুধু সাইবার ক্রাইম করে, যারা কম্পিউটারকে মানুওষর মান-ইজ্জত হরণ করার জন্য ব্যবহার করে। এই সব অপরাধকে বন্ধ করার জন্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভ‚ইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম. আমিমুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় অভিযান চালিয়ে মো. রুবেল মিয়া (৩৫) নামে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রুবেল নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার গরুয়াকান্দা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালে রুবেল ব্যবসায?িক দ্বন্দ্বের জেরে রিপন নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রুবেলকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ রুবেলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন রুবেল (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি নম্বর ৪৩৬৬/এ)।
গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগে ৬ আগস্ট জেল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান রুবেল। এ ঘটনায় মামলা কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ। এদিকে, কারাগার থেকে পালিয়ে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন রুবেল। এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের চৌকস দল আসামি রুবেলের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পর্শে শাকিব মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বড়ঠুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাকিব ওই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শাকিব পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।
শাকিবের পিতা আবু সামা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। শাকিব কিছু বিদ্যুতের কাজ জানতো। বিদ্যুতের সমস্যা দুর করতে মেইন সুইচের সংযোগ স্থলে কাজ করার সময় সে বিদ্যুতের শক খেয়ে ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়ঠুটা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কসবা পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল আক্তার চড়নাল গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বামী ইব্রাহীম মিয়া জানান, কয়েক মাস আগে ছোট মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে প্রায় সময়ই তাকে অন্যমনস্ক বা বিকারগ্রস্ত হয়ে আবোল তাবোল কথা বলতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ ভাল থাকতো আবার কিছুক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে নিজের মর্জিমাফিক চলত। এসব সমস্যায় চিকিৎসাও চলছিল। গত বুধবার তাকে কুমিল্লা নেয়া হয়েছিল চিকিৎসকের কাছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করে বড় মেয়ের কক্ষে পাঠায়। বড় মেয়ে তার ছোট ভাইকে নিয়ে নাস্তা খাওয়ার সময় রান্না ঘর থেকে গোঙ্গানীর শব্দ শুনে গিয়ে পারুল আক্তারের গলাকাটা পড়ে আছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গৃহবধূ পারুল। ঘটনার সময় গৃহবধূর হাতে ছিল রান্নার কাছে ব্যবহৃত বটি দা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে গৃহবধূ পারুল আক্তার গলা কেটে আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।