চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ক্ষেতের শসা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ ১০ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সবশেষ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন জালাল মিয়া (৪৫), দুলাল মিয়া (৩২), শাহ আলম (৩৫), রাব্বি মিয়া(১১), আমীর আলী (৩৫), মাসুক মিয়া (৪৫) ও সাহার আলী (১৮)।
সংঘর্ষের পর তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার্ড করা হয়েছে।
তাছাড়া সংঘর্ষে আহত অন্তত ৮১ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীঘর গ্রামে জমিতে শসা চাষ করেছিলেন সরকার বাড়ির বাসিন্দা জুয়েল। গত দুদিন আগে সেই ক্ষেত থেকে শসা খেয়ে ফেলেন গ্রামের বড়বাড়ির মির জালালের ছেলে হৃদয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সবশেষ মঙ্গলবার সকালে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শসা খাওয়ার ঘটনার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার বাড়ি ও বড় বাড়ি গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বতর্মানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে সরাইলে একটি রেস্টুরেন্টে টিস্যু চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজবাড়ীতে ৬৬টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন এসব মোবাইল হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, জেলার পাঁচটি থানার সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে রাজবাড়ী সদর থানায় ২২টি, গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ১৫টি, পাংশা মডেল থানার ১৭টি, কালুখালী থানায় ৯টি ও বালিয়াকান্দি থানায় তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন বলেন, জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষের হারানো মোবাইল উদ্ধারে কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল প্রতিনিয়ত মোবাইল ট্র্যাকিং, বিকাশ প্রতারণা ও ফেসবুকে হ্যাকিংসহ নানা সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসব মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিন পর হারানো মোবাইল হাতে পেয়ে অনেকেই আগেবআপ্লুত হয়ে পড়েন। জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ফোনের প্রকৃত মালিকবৃন্দ।
মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীবসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতেরা হলেন- সিএনজিচালক আব্দুর রাজ্জাক, যাত্রী এনাম ফকির, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল করিম আলাল ও আলম মিয়া মিলিটারি।
স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজির সাথে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সিএনজি চালকসহ চারজন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাকি দুইজনকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। ঘাতক ট্রাক চালককে আটক করতে পারেনি কেউ। সংঘর্ষের পর পরই ট্রাক চলে যায়।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ট্রাক ও সিএনজি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহের তথ্য রয়েছে। সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৭০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চিনি এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া জানান, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, পৌর এলাকার কালভৈরব, কারখানাঘাট- আনন্দবাজার, বর্ডার বাজার, দক্ষিণ পৈরতলা শেখ জালাল মাজার গেইট ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ যেন কোন রকম দুর্নীতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এসময় ট্যাগ অফিসার মোঃ বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তার বেহাল দশার কারণে ১ যুগ ধরে হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলার ৫০ গ্রামের মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর ইউনিয়নে কাজীরবাজার থেকে বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি পর্যন্ত রাস্তাটির ভগ্নদশার কারণে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে এখন ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ ২২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বড় ভাকৈর ইউনিয়নের চর সোনাপুর গ্রামে ১০ সহস্রাধিক ছাত্র -জনতা এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কয়েক শ শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাজীরবাজার টু মার্কুলি সড়কটি মাত্র ২৬ কিলোমিটার। এরকম রাস্তা পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু আমাদের সময় লাগে ৩ ঘন্টা। পুরো রাস্তায় অসংখ্য গর্তের কারণে এইই রাস্তায় যাতায়াত করা আমাদের জন্য আতংকের বিষয়। এবং গত ১ যুগ ধরে আমরা এই অবস্থার মধ্যে রয়েছি। ইউএনও, জেলা প্রশাসক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্বাসের বাহিরে আমরা সমাধান পাইনি। এখন আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। এখন আমরা ৫০ গ্রামের মানুষ দ্রুত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের দাবি করছি। যদি দ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে মহাসড়ক অবরোধ করবো। এর সাথে দলমত নির্বিশেষে সবাই আমাদের পাশে থাকবে। এখন আমরা আর আশ্বাসে বিশ্বাস করি না, বাস্তবায়ন চাই।
রিংকু কুমার দাশ ও হিফজুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় বিশাল মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শেফু, গণঅধিকার পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন জীবন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট টেঁটা ও বন্ধুক যুদ্ধে ২ জন নিহত ও অন্তত প্রায় ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি নিহত ও আহতদের নাম।
আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে রাতুল ও আশরাফুল সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে বিগত দিনে এ দু’দলের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছিল। এরই জেরে আজ সকাল থেকেই উভয় গ্রুপের সমর্থকর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে দু’দলের ২ জন নিহত ও প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ জানান, নিহতের সংখ্যা ২ বা ৩ কিনা সঠিক বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হয়ে জানাতে হবে।