অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের লিসবনের আলমাদা শহরে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর গুলিতে মাহবুবুল আলম নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ১৩ জুন শুক্রবার তার স্ত্রী এবং ১০ ও ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা কন্যার সামনেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত মাহবুবুল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নান্না মিয়ার ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পর্তুগালে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার দোকানে প্রবেশ করে এবং দোকানের অর্থ লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এতে মাহবুবুল বাধা দিলে হামলাকারীরা তার বুকে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং জরুরি সেবা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা গেছে বন্দুকধারীরা ছিল ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী দুই যুবক। তারা কালো পোশাক পরে এবং হুড পরে ছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তিনটি গুলি চালায়।
ভুক্তভোগী প্রায় তিন বছর আগে তার পরিবারের সাথে ইংল্যান্ড থেকে পর্তুগালে এসেছিলেন। পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার শহরের প্রাণকেন্দ্রে বোম্বে গ্রীলে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডায় অমর একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। মোয়াজ্জেম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সালেহ করিমের সঞ্চালনে সন্ধ্যা সাতটায় এই মহতী অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনের সাগত বক্তব্যর মাধ্যমে কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং সকল শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাভাষার অবদান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র সম্মান শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন জসীম উদ্দিন, সালেহ করিমুজ্জামান, আকম রুমেল ও মোয়াজ্জেম ইকবাল। সকলের বক্তব্যে ফুটে উঠে মহান ভাষা আন্দোলন এবং অমর একুশ ছিল বাঙালির অমিত প্রেরণার অনিঃশেষ উৎস। একুশের অভিলাষী যাত্রায় বাঙালী ফিরে পেয়েছে মুক্তির ঠিকানা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার অধিকার। বাঙালির আত্মর্যাদা গৌরবের বিজয় তিলক, এই পবিত্র ভাষা আন্দোলন। ভাষা শহীদরা রফিক জব্বার সালাম বরকতরা তৈরী করেছিল আসাদ জোহা মতিউর সহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ।
যাঁদের অমর রক্তের কণিকায় দাঁড়িয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, বিশ্ব ফিরে পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার অধিকার। আজ সারাবিশ্বে ভাষা আন্দোলনের পীঠস্থান অমর একুশকে স্মরণ করছে বিনম্র শ্রদ্ধায়। ভাষা শহীদ, স্বাধীনতা শহীদ সকল মুক্তি আন্দলোনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জসীম উদ্দীন। অনুষ্ঠানটির সাফল্য ও ভাব গাম্বীর্য রক্ষায় সদা সর্বদা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব রহমান মিলন এবং উপদেষ্টা ফখরুল আহসান শেলী। স্বাধীন বাংলার শিল্পী মুক্তিযোদ্দা খসরু”র সুললিত কণ্ঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্পন পর্ব। সে এক অপূর্ব শিহরণ। প্রথমে নেতৃবৃন্দ, অতিথি বৃন্দ পরে সর্ব সাধারণ লাইন দিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নতুন প্রজন্ম মা বাবা সহ ফুল নিয়ে এগিয়ে আসে, যা ছিল প্রজন্ম তরে স্মৃতি তর্পনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। এসময়ে তাদের সহায়তা করেন ফারজানা, নবনী, তাননি, ইউসুফ, ইউনুস, শহীদ, জাহাঙ্গীর, রাহাত প্রমুখ।
মাইকে তখন চলতে থাকে প্রতিথযশা গুণী শিল্পী খসরু”র কালজয়ী দেশপ্রেমের গান। অতঃপর বোম্বে গ্রীলের পক্ষ থেকে সকলকে সুস্বাদু বিরানি ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরিশেষে সভাপতি দূর দূরান্ত থেকে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
উত্তরন হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন ফ্রান্সে এবং উওরন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মমতাজ আলো ফ্রান্স থেকে নিউইয়র্ক আসেন সম্প্রতি। উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ শ্লোগানে প্রবাস মেলা’র ১১ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয় দেশ ও বিদেশে। এ উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় প্রবাস মেলার সিনিয়র প্রতিনিধি, কলামিস্ট, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মমতাজ আলোর হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার হিসেবে তুলে দেন ।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশার কথা বলেন, মমতাজ আলো সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনের কাছে এবং তিনি প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
এসময় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সবার কাছে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন মমতাজ আলো। মমতাজ আলো একজন উদ্যোক্তার বটে। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সদস্য। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ারের সেক্রেটারী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্সের সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ফ্রান্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মমতাজ আলো মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ভাবে দেশ ও প্রবাসে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। ছবিতে মমতাজ আলো হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দিচ্ছেন প্রবাস মেলার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র প্রতিনিধি হাকিকুল ইসলাম খোকন। শেষে সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনকে দুপুরের ভোজে আপ্যায়ন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিকদের সংগঠন ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এফবিজেএ) দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৪ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসের অদূরে পন্তার স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার ফ্রান্স প্রতিনিধি মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহর পরিচালনায় দোয়া ও ইফতার পূর্ব স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নাগরিক টিভির ফ্রান্স প্রতিনিধি মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন ফ্রান্সের সভাপতি আব্দুল মান্নান আজাদ, স্তা পৌরসভার কাউন্সিলর ও ‘অফিওরা’র নির্বাহী পরিচালক কৌশিক রাব্বানী খান, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ফ্রান্স শাখার সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আইছা প্রো প্রফেশনাল সার্ভিস সভাপতি ওবায়দুল্লাহ কয়েস, সলিডারিতে আঁজি ফ্রঁস’র (সাফ) প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে, বিসিএফ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও ডিআরইউ’র সাবেক অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল আহসান রাজু, সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, বিসিএফ’র সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল কবির, এইড পয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ ফয়সাল আহমেদ, দেশ সার্ভিসের পরিচালক শাহজাহান আহমেদ, আদাপ প্রফেশনাল সার্ভিস সভাপতি ওয়াদুদ তানভীর, অ্যাক্টিভিস্ট অ্যাডভোকেট মনোয়ার পাটোয়ারী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আজিমুল হক খান, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট খালেদ মাহমুদ, এনটিভি ইউরোপের ফ্রান্স প্রতিনিধি আবুল কালাম মামুন, টাইম টেলিভিশনের ফ্রান্স প্রতিনিধি অনুক্ত কামরুল, বাংলা ভিশন ফ্রান্স প্রতিনিধি ইয়াসির আরাফাত খোকন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক আলোকিত সকালের বিশেষ প্রতিনিধি মামুন মাহিন, সাংবাদিক তানভীর আহমেদ তোহা ও দেশ প্রতিদিনের ফ্রান্স প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
স্থানীয় সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিল ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি মানবিক ও মননশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সুস্থ ধারার কমিউনিটি বান্ধব সাংবাদিকতার বিকল্প নেই।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিশ্বখ্যাত স্থপতি এফ আর খান, সেতার বাদক আলী আকবর খান, লেখক রুমানা আলম, কবি শহীদ কাদরি, সাহিত্যিক-লেখক ঝুম্পা লাহিড়ি, বাংলাদেশের মুুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা এনায়েতুর রহিম, বিজ্ঞানী দেবব্রত বসু, মূলধারার লেখক, অমিতাভ ঘোষ, বিজ্ঞানী ইকবাল কাদির, ইউটিউবের কো-প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ করিম, সারাবিশ্বের তরুণ-তরুণীকে বিনা ফি-তে অংক শেখানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘খান একাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালমান খান, ইন্টেলের চেয়ারপার্সন বিজ্ঞানী ওমর ইশরাকের মত বাঙালিরা বহুজাতিক আমেরিকায় বাংলা ও বাঙালিদের পরিচিতিকে মহিমান্বিত করেছেন। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাঙালিরা বিশ্বের রাজধানী খ্যাত উক্ত সিটি তথা স্টেটে বাঙালি সংস্কৃতির ফল্গুধারা বিকাশের নিরন্তর প্রয়াস চালাচ্ছেন।
বাঙালিরা নতুন বছরের প্রথম দিন ‘পয়লা বৈশাখ’ ঘটা করে টাইমস স্কোয়ারসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে উদযাপন করছেন। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন তথা ‘পহেলা বৈশাখ; বরণে এখোন হাজারো নারী-পুরুষের সাথে নতুন প্রজন্মের বাঙালিরাও উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে। বাংলাদেশ, ভারত এবং আমেরিকার শতাধিক সংগঠনের শিল্পী-কলা-কুশলিরা হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান করেন। পাশাপাশি মেধা আর শ্রমের বিনিয়োগ ঘটিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট তথা আমেরিকার উন্নয়নেও বাঙালিরা অবদান রেখে চলছেন। তেমন অবয়বকে আরো গৌরব আর অহংকারের সাথে উদ্ভাসিত করতে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ‘১৪ এপ্রিলকে নিউইয়র্কে বাংলা নববর্ষ’র স্বীকৃতি প্রদানের জন্যে সিনেটর লুইস সেপুলভেদা ১৫ জানুয়ারি সিনেটে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
২৩৪ নম্বরের এই রেজ্যুলেশন (Memorializing Governor Kathy Hochul to proclaim April 14, 2025, as Bangla New Year Day in the State of New York) ২২ জানুয়ারি সর্বসম্মতভাবে পাশে হয়েছে। অর্থাৎ আসছে ১৪ এপ্রিল ঘটা করে পালিত হবে ‘বাংলা নববর্ষ’ এবং তা স্টেট, সিটি, কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস বরো-সহ সকল পর্যায়ে এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণে আর কোন বাধা থাকবে না। এ ধরনের একটি ঘোষণাপত্র শীঘ্রই স্টেট গভর্ণর ক্যাথি হোকুল বিতরণ করবেন। স্টেট সিনেট সূত্রে এ সংবাদদাতা আরো জানতে পেরেছে যে, নিউইয়র্কস্থ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিৎ সাহা এমন একটি রেজ্যুলেশনের জন্যে স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তা উল্লেখ রয়েছে পাশ হওয়া রেজ্যুলেশনে।
বাঙলা নতুন বছরকে ঘটা করে বরণের অভিপ্রায়ে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের এই রেজ্যুলেশনে উল্লাস প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী-সমর্থক আর শিল্পী-কলাকুশলীরা।
কারণ, সর্বশেষ গত বছরও নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো শতকণ্ঠে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলকাতা, ঢাকা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রথিতযশা শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। এর পরদিন জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। এরও দুই দশক আগে থেকে মুক্তধারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এই স্টেটের বিভিন্ন স্থানে ‘পয়লা বৈশাখ’ বরণের বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এসব অনুষ্ঠানে পান্তা-ইলিশের আয়োজন ছাড়াও বাঙালি পোশাকে জড়ো হওয়া নর-নারী-শিশু-কিশোরের মধ্যে ঐতিহ্যের পরিপূরক খাবার পরিবেশিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির চেতনা জাগ্রত রাখতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্রিসবেন (ব্যাব) ও ব্রিসবেন বাংলা স্কুল ও ব্রিসবেন এথনিক স্কুল এসোসিয়েশন এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং হারমোনি ডে উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় রোবেলা ডোমাইন ইপসুইচে কুইন্সল্যান্ডেরর প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনারে কুইন্সল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া বিএনপির নেতা সাইদ চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিনেটর পাউল স্কার ও বাংলাদেশি কমিউনিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধগণ।
নেতৃবৃন্দ জানান, প্রবাসে এই ধরনের আয়োজন একুশের চেতনার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করবে।