দুলাল মিয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অসুস্থ অবস্থায় জুনায়েদ মিয়াকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে। জুনায়েদ মিয়া মাদকদ্রব্য সেবনের অভ্যাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান জানান, হাজতি জুনায়েদ মিয়াকে মাদক মামলায় গত ৪ জুন আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। সম্প্রতি জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগারের জেলার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির আয়োজনে “ফার্মেসীতে মানসম্পন্ন ঔষধ বিক্রয় নিশ্চিত করতে ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় প্রতিরোধে এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষকে না ঠকিয়ে ব্যবসা করবেন। ঔষধ নিয়ে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় না করতে ফার্মেসীর মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ তার জীবন রক্ষা করার জন্য ঔষুধ সেবন করে, তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রিতে আপনারা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি ঔষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় চারশতাধিক ফার্মেসীর মালিক যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, সুস্থ-সবল, সৃজনশীল ও মেধাবী জাঁতি গঠনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্রীড়াবান্ধব সরকার, এ সরকার ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এ স্বাধীন দেশকে ভালবাসতে হলে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হতে হবে, আর সত্যিকারের দেশ প্রেমিক হতে হলে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গঠন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, খেলাধূলা মানুষকে অন্যান্য অপকর্ম থেকে দূরে রাখার একটি হাতিয়ার।
আজ ২ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৮টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার (আব্দুল কুদ্দুস পৌর মুক্তমঞ্চে) জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ও এম.আর টেক্সটাইল এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এম.আর টেক্সটাইল এর সত্ত্বাধিকারী দিদারুল আলম মারুফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া, সদস্য নাজমুল হক সেলিম, মহিম চৌধুরী, আল মামুন, মোঃ মাসুদ প্রমুখ।
ফাইনাল খেলায় নবারুন ক্রীড়াচক্রকে পরাজিত করে আমরা সবার বন্ধু সংগঠন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আপওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের সংগঠন। জন্ম নেয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ গণমানুষের অধিকার আর স্বাধীনতা নিয়ে মাঠে-ময়দানে সোচ্চার থেকেছে। মহান ভাষা আন্দোলন, সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, গণঅভুত্থান, ৭০ এর নিবাচন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকমীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে গণমানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগই বাতিঘরের ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সারা বিশে^ উন্নয়নের রুল মডেল। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শহরের হালদারপাড়াস্থ দলীয় কাযালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ গৃহীত দু’দিনের কমসূচির অংশ হিসাবে কেককাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, শেখ মো. আনার, মাহমুদুর রহমান জগলু, জাহাঙ্গীর আলম, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, আবদুল খালেক বাবুল, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ,যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মাও ক্বারী আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাও. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসে শোভন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আপওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে জেলা আপওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র হাফেজ ছাত্রদের দস্তারে ফযিলত (সম্মানসূচক পাগড়ী) প্রদান উপলক্ষে দুআ মাহফিল গতকাল শনিবার বাদ আসর মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি থেকে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান করেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার হাদিস বিভাগের প্রধান আল্লামা আব্দুল্লাহ মারুফ কাসেমী।
জামিয়া দারুল আরকাম মাদরাসার নায়েবে মুহতামীম মাওলানা আলী আযম, ফখরে বাঙ্গাল রহ: এর সাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা অলি উল্লাহ, সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস, সোনারামপুর মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী বোরহান উদ্দিন কাসেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ঢাকা পোস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মো: আকরাম, বাংলা টিভি জেলা প্রতিনিধি আল আমীন শাহীন, জেলা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি আলহাজ্ব আশিকুল ইসলাম, গাজী টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, হকার্স মার্কেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহসান উল্লাহ, বড় হুজুর র. এর দৌহিত্র মাওলানা এমদাদুল্লাহ সিরাজী, জেলা জিপি এডভোকেট সিরাজ আবিদ, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাব্বির আহমদ খান।
মুফতী আব্দুর রহিম কাসেমী, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সিনিয়র উস্তাদ মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মুফতী আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হাফিজ, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতী আব্দুল হক মুফতী রহুল আমীন, মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, সহ শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, সাংবাদিক, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিলে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদানের পাশাপাশি হেফজ ও নাযেরা বিভাগের ছাত্রদের সবক ও প্রদান করা হয়।
উক্ত দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ভাবি ও ভাতিজিসহ ৩জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) নামে একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ ২০ মে মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন মাধবপুর উপজেলার বীরসিংহপাড়ার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান জানান, ভাবি ও ভাতিজিসহ ৩জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। নিহতরা হলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলমের ভাবী ও বীরসিংহপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) ও তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।
মামলা বিবরণে উল্লেখ, পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহ আলম ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় জাহানারা ও শারমিনকে তাদের ঘরে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আহতদের চিৎকারে শিমুল এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে জাহানারা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং বাকি দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় নিহতের স্বামী দুবাই প্রবাসে ছিলেন বিধায় তার ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারগারে প্রেরণ করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফজাল হোসেনও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লোকজন এমন অপরাধ করতে ভয় পাবে।