অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৩৯ জন নিহত ও ১ হাজার ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস।
সংগঠনটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৬৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ চলছে।
ইরানের ভেতরে গড়ে তোলা স্থানীয় সূত্রের নেটওয়ার্ক এবং দেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের সাথে মিলিয়ে এ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ইরানে হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভেও একই সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছিলো।
ইরান সরকার এখন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে হতাহতের হালনাগাদ সংখ্যা জানায়নি। সর্বশেষ সরকারি হিসাবে, ইসরায়েলি হামলায় ২২৪ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৭৭ জন আহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
এদিকে, যুদ্ধ সপ্তম দিনে গড়ালেও পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল হয়নি, বরং দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হোটেলে এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস নৈশভোজে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রর সঙ্গে ছবি তোলেন।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ দুপুরে ব্যাংককে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত মন্ত্রী জিরাপরন সিন্দোপারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মাছ ও অন্যান্য পণ্যবাহী ২৪ টি ট্রাক আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বন্দরে প্রবেশ করেছে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপারও ছিল স্বাভাবিক।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ও স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেলা ২টা পর্যন্ত আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ৬৯ জন পর্যটক ভারতে গেছে। এরমধ্যে ৪৭ জন ভারতীয় এবং বাংলাদেশী নাগরিক ২২ জন। একই সময় আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৫১ জন। অপরদিকে ১৩টি ট্রাকে করে ১২০ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এছাড়াও তোশক, মশারি, সিমেন্ট ও অন্যান্য পণ্যের ১১টি ট্রাক ভারতে গেছে।
সরজমিনে দুপুরে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে গিয়ে দেখা যায়, ২-৪ জন যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করছেন। ইমিগ্রেশন অফিস অনেকটা ফাঁকা। দুইজন বাংলাদেশী নাগরিক ভারত থেকে ফিরেছেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশী নাগরিক সঞ্জয় সাহা বলেন, আমি ২২ নভেম্বর ত্রিপুরায় গিয়েছিলাম। আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। আমার কোন সমস্যা হয়নি। আজ ফেরার সময় কোন অসুবিধা হয়নি। সড়কে কোন প্রতিবন্ধকতা ছিলনা।
আখাউড়া আর্ন্তজাতিক ইমিগ্রেশন চোকপোস্টের পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম জানান, সকাল থেকে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম রয়েছে। তবে বাংলাদেশী যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, মাছ ও অন্যান্য পণ্য বোঝাই ২৪টি ট্রাক ভারতে গেছে। ভারত থেকে কোন পণ্য আমদানী হয়নি। বন্দরের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ৩০০ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ফ্রান্সের অবসরপ্রাপ্ত শল্যচিকিৎসক সার্জন জোয়েল লে স্কোয়ারনেককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশের একটি আদালত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭৪ বছর বয়সি স্কোয়ারনেক দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শত শত রোগীকে নিপীড়ন করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের সময় অচেতন অবস্থায় বা জ্ঞান ফেরার সময় এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লে স্কোয়ারনেক ইতোমধ্যে ২০২০ সালে চার শিশুকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে জেল খাটছেন। ওই চার শিশুর মধ্যে তার নিজেরই ভাতিজি ছিল দুইজন।
ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর জানায়, স্কোয়ারনেক ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিম ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অন্তত ২৯৯ জন রোগীকে (যাদের মধ্যে ২৫৬ জন ছিল ১৫ বছরের নিচে) তিনি যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ১১১টি ধর্ষণ এবং ১৮৯টি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছিল। যা তাকে ফ্রান্সের ইতিহাসে অন্যতম ‘সিরিয়াল ধর্ষণকারী’ হিসেবে পরিণত করেছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগীদের পক্ষে আদালতে মামলা লড়েছেন প্রায় ৬০ জন আইনজীবী।
আদালতে প্রসিকিউটর স্টেফান কেলেনবার্গার সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড চেয়ে বলেন, লে স্কোয়ারনেকের মতো অপরাধীকে কেবল কারাগারে রাখলেই হবে না—কারামুক্তির পরেও যেন তাকে মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
এদিকে, আদালতে লে স্কোয়ারনেক বলেন, আমি দয়া চাই না। শুধু চাই, একজন ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ।
তবে তার এ কথাকে অনেকেই কৃত্রিম বলে মনে করেছেন। কারণ তিনি প্রায় প্রতিটি শুনানিতেই একই ধরনের ‘লোক দেখানো’ ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে এএফপি জানায়, লে স্কোয়ারনেক নিজের অপরাধগুলো নোটবুকে বিস্তারিতভাবে লিখে রাখতেন। সেখানে তিনি ভুক্তভোগীদের নাম, বয়স, ঠিকানা এবং নিপীড়নের বিবরণসহ সবকিছুই লিখে রাখতেন।
এমনকি তিনি নিজেকে ‘একজন বড় ধরনের বিকৃত মানসিকতার পেডোফাইল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং লিখেছেন, ‘এতে আমি ভীষণ আনন্দিত’।
স্কোয়ারনেক আদালতে আরো বলেন, তিনি মনে করেন তার দুইজন ভুক্তভোগীর মৃত্যুর জন্য তিনি ‘পরোক্ষভাবে দায়ী’।
তাদের একজন হলেন- মাথিস ভিনে, যিনি ২০২১ সালে ওভারডোজে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবার দাবি করেছে। অপরজনকে ২০২০ সালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
থমাস ডেলাবি নামের এক আইনজীবী তাকে বলেন, আপনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর পেডোফাইল, শিশু নিপীড়নের জগতে একটি ‘পারমাণবিক বিস্ফোরণ’।
অন্য এক আইনজীবী বলেন, আপনার এ স্বীকারোক্তিতে কোনো অনুতাপ নেই। আপনার মধ্যে তো এতোটুকুও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
২০০৫ সালে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও লে স্কোয়ারনেক ২০১৭ সাল পর্যন্ত সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে সহকর্মীরা বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
অন্যদিকে, এএফপি ও রয়টার্স বলছে, এতো বড় কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও মামলাটি ফ্রান্সে পর্যাপ্ত মিডিয়া কাভারেজ পায়নি। যা নিয়ে ভুক্তভোগী ও অধিকারকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মূলত মামলাটি ফরাসি চিকিৎসা ব্যবস্থার এক গভীর গলদকে তুলে ধরেছে—যেখানে একজন দুর্বৃত্ত সার্জন দুই দশক ধরে নিঃশঙ্কভাবে শত শত শিশুকে নিপীড়ন করতে পেরেছে, আর শুধু চেয়ে দেখেছে প্রতিষ্ঠান।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুনের গুজবে প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়া যাত্রীদের পিষে গেছে অন্য একটি ট্রেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রায় ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের পাচোরো এলাকায় মর্মান্তিক এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, জলগাঁও অতিক্রমকারী একটি ট্রেনের কামরায় আগুনের গুজবে অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেনের নিচে পড়ে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
দেশটির লখনউ থেকে মুম্বাই চলাচলকারী সুপারফাস্ট এক্সেপ্রেস ট্রেন পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন ধরেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের যাত্রীরা রেললাইনে লাফিয়ে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। মুম্বাই থেকে ৪০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে পাচোরোর পারধাদে রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, জলগাঁওয়ের পাচোরার পারধাদে স্টেশনের কাছে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ট্রেনে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কোনও যাত্রী ট্রেনের চেইন টানলে সেটি থেমে যায়। পরে ট্রেনের আতঙ্কিত যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন।
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, পুষ্পক এক্সপ্রেস লখনউ থেকে মুম্বাই যাচ্ছিল। এ সময় ট্রেনের যাত্রীরা চেইন টেনে ট্রেনটি থামায়। লোকজন ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। তখন কর্ণাটক এক্সপ্রেস তাদের পিষে যায়। আগুন নাকি অন্য কোনও গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। তবে, প্রাথমিকভাবে ট্রেনে আগুন লাগার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গুলাবরাও পাতিল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বে কয়েকবছর ধরে সিরিজ ভূূমিকম্প হচ্ছে। দেশে দেশে এসব ভূমিকম্পের কারণ ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি এই সিরিজ ভূমিকম্প বিশ্বে ভয়াবহ কোনো বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বাংলাদেশেও বার বার ভূমিকম্প হচ্ছে।
এবার চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত ১১১ জন মারা গেছেন এবং আরো ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার মাঝরাতের দিকে গানসু প্রদেশে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৯। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে এ মাত্রা ছিল ৬.২।
ইউএসজিএসের তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটি লিনক্সিয়া চেংগুয়ানজেনের প্রায় ২৩ মাইল পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে মাটির ৬ মাইলের কিছুটা গভীরে আঘাত হানে। প্রাদেশিক রাজধানী ল্যানঝো ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরে। বিবিসির প্র্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
কিছু ভিডিও ফুটেজে উদ্ধারকারীদের ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অভিযান চালাতে দেখা গেছে। ওই এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি ও সিএনএন।