অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। আজ ২২ জুন রবিবার পার্লামেন্টে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এটি এখনো চূড়ান্ত নয়, কারণ বিষয়টি এখন ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বিবেচনার অপেক্ষায় রয়েছে। খবর জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি।
বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ হরমুজ প্রণালি দিয়েই পরিবাহিত হয়। তাই এই পথটি বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে।
পার্লামেন্ট সদস্য ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এসমাইল কোসারি ইয়াং জার্নালিস্ট ক্লাবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, বিষয়টি এখন আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে এবং ‘প্রয়োজন পড়লে কার্যকর করা হবে’।
এ সিদ্ধান্ত আসে এমন এক সময়ে, যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযান চালিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে চালানো ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় “ব্যাপক ধ্বংস” সাধিত হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল ড্যান কেইন জানিয়েছেন, এই অভিযান ছিল ‘প্রতিরোধমূলক ও সুনির্দিষ্ট’। এরই জবাবে ইরান সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হিসেবে হরমুজ প্রণালি বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিজয় সমাবেশের ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্ণমেন্ট এফিসিয়েন্সির একটি উপদেষ্টা দলের কথা উল্লেখ করেছেন। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প জনতাকে টেক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ককে দলটির নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান। তাকে ভিড়ের মধ্যে খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেন, “কোথায় সে?” তারপর বলেন, “এখানে এসো, ইলন!” এরপর তিনি মাস্ককে মঞ্চে স্বাগত জানান।
মঞ্চে মাস্ক বলেন, আমরা অনেক পরিবর্তন আনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এই জয় সত্যিই শুরু।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আগামীকাল “অনেক” নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। জনতাকে বলবেন যে এটি তাদের “অত্যন্ত খুশি” করবে।
আগামীকাল সূর্যাস্তের সময় “আমাদের সীমান্তে আক্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে” এবং “সমস্ত অবৈধ সীমান্ত অনুপ্রবেশকারীরা কোনও না কোনওভাবে বাড়ি ফিরে যাবে।
এরপর ট্রাম্প অভিবাসন সম্পর্কে আরও কিছু কথা বলেন এবং একটি ভিডিও দেখানো হয় যা এই বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের রেকর্ডের সমালোচনা করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তিনি আমেরিকার শহরগুলিতে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন, স্কুলগুলিতে দেশপ্রেম ফিরিয়ে আনবেন এবং সরকার থেকে উগ্র বামপন্থী নীতিগুলি সরিয়ে ফেলবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলবো। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেন এবং বলেন যে তাদের ছাড়া তার জয় সম্ভব হত না।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল শুক্রবারও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তবে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা দাবানল ছড়িয়ে পড়ার গতিও কিছুটা কমাতে পেরেছেন। দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে। এতে অন্তত ১০ হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। এছাড়া পুড়ে গেছে অন্য ভবন ও স্থাপনাও।
দাবানল কীভাবে হলিউডকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে?
লস অ্যাঞ্জেলেস হলো হলিউডের প্রাণকেন্দ্র। যেটি আমেরিকার প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। সেখানে ভয়াবহ দাবানলের আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলসের বিশাল অংশ। বৃহস্পতিবার সেখানে পাচটি সক্রিয় দাবানলে পুড়ছিল সবকিছু। এরমধ্যে ইটন নামে একটি দাবানল গতকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এ দাবানলটি ১৭ হাজার ৬০০ একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়েছিল। শক্তিশালী বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া এবং পানির চাপ কম থাকায় আগুনের তীব্রতা শুধু বাড়ছিল। দাবানলে পুড়ে গেছে হলিউড হিলসও।
সানসেট নামের দাবানলে জ্বলছে হলিউড হিলস। যেখানে বিখ্যাত হলিউড সাইনবোর্ডটি অবস্থিত। স্থানীয় সময় বুধবার সেখানকার সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলা হয়। এরপরই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ভয়াবহ এ আগুনে হলিউডের বেশ কয়েকজন তারকার বাড়ি পুড়ে গেছে। এছাড়া হার্স্ট এবং লিডিয়া নামের দুটি ছোট আকৃতির দাবানলও লস অ্যাঞ্জেলসে জ্বলছে।
দাবানলে পুড়ে গেছে যেসব তারকার ঘরবাড়ি
বিলি ক্রিস্টাল
৭৬ বছর বয়সী বিলি ক্রিস্টাল একজন আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান এবং তিনি মঞ্চ নাটকের জন্য বেশি পরিচিত। সানসেট নামের দাবানলে ১৯৭৯ সালে নির্মাণ করা তার প্যাসিফিক প্যালিসেডস নামের বাড়িটি পুড়ে যায়। বিলি ক্রিস্টাল এবং তার স্ত্রী জেনিস বুধবার (৮ জানুয়ারি) একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, তাদের ৪৫ বছরের পুরোনো বাড়ি প্যাসিফিক প্যালিসেডস অঞ্চলে পুড়ে গেছে। বিলি ক্রিস্টাল এবং তার স্ত্রী জেনিস বুধবার বিবৃতিতে জানান, তাদের ৪৫ বছরের পুরোনো বাড়ি প্যাসিফিক প্যালিসেডস অঞ্চলে পুড়ে গেছে। বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, ‘জেনিস এবং আমি ১৯৭৯ সাল থেকে আমাদের বাড়িতে বাস করছি। আমরা এখানে আমাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বড় করেছি। আমাদের বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চি ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল, সুন্দর স্মৃতি যা কখনো চলে যাবে না। আদের অবশ্যই হৃদয় ভেঙ্গেছে। কিন্তু আমাদের সন্তান ও বন্ধুদের ভালোবাসায় আমরা এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব।’
মেল গিবসন
মেল গিবসন আমেরিকান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি নিউজ নেশনকে জানিয়েছেন, টেক্সাসের অস্টিনে শ্যুটিং করার সময় তার বাড়িটি দাবানলে পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, এটা আবেগের বিষয়। বাড়িটিতে আমি দীর্ঘদিন ধরে বাস করছি। সেখানে আমার সব জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। তবে কিছু নথিপত্র সিন্ডারে রাখা আছে সেগুলোর জন্য কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।
জেফ ব্রিজস
প্রবীণ অভিনেতা জেফ ব্রিজসের মুখপাত্র দ্য হলিউড পত্রিকাকে জানান, মালিবুতে জেফ ব্রিজসের বাড়ি আগুনে পুুড়ে গেছে।
প্যারিস হিলটন
জনপ্রিয় টিভিব্যক্তিত্ব প্যারিস হিলটনের বাড়ি দাবানলে পুড়ে গেছে। মালিবুতে তার বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। খবরে সরাসরি সম্প্রচার দেখে জেনেছেন সে কথা। ঝলকের কিছু অংশ ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘এই অভিজ্ঞতা যেন আর কারও না হয়।’ তিনি আরও জানান, এই বাড়িতে অনেক মূল্যবান স্মৃতি ছিল তার। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে সব। তার পরিবারের সদস্য ও পোষ্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই কাঁদলেন প্যারিস হিলটন। প্রিয় বাড়িটি যে এভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি প্যারিস হিলটন। সেই বিধ্বংসী পরিস্থিতির ভিডিও শেয়ার করেছেন এ হলিউড অভিনেত্রী। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি লিখলেন, ‘আমি এখন সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে যেটা আমার স্বপ্নের বাড়িছিল। কতটা কষ্ট হচ্ছে বলে বোঝাতে পারব না। প্রথম যখন খবরটা পেলাম, আমি কিছুক্ষণের জন্য হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারিনি প্রথমে। তবে এখন এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নিজে যা প্রত্যক্ষ করছি, আমার মন ভেঙে খান খান হয়ে গেল।’
নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে প্যারিস হিলটন বলেন, ‘এটা শুধু আমার বাসস্থান ছিল না। এই সেই বাড়ি যেখানে আমরা একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছি, হেসেছি-কেঁদেছি, পুরো পরিবারকে নিয়ে কত সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করেছি। যে বাড়ির প্রতিটা কোণায় কোণায় ভালোবাসার চিহ্ন রয়েছে। সেই বাড়ি এভাবে ছাইয়ে পরিণত হয়ে গেল। আমি বাকরুদ্ধ।’
ক্যারি এলওয়েস
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’ ছবির অভিনেতা ক্যারি এলওয়েসেও। তার বাড়িও পুড়ে ছাই। কোনোমতে প্রাণে বেঁচে রয়েছেন পরিবারের অন্যরা। গত রোববার রাতেই ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ সিনেমার জন্য গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। মার্কিন গণমাধ্যম টিএমজেড জানিয়েছে, দাবানলে অস্কারজয়ী এই অভিনেতার বাড়িও পুড়ে গেছে।
কেট বেকিনসল
অনেক দিন ধরেই প্যাসিফিক প্যালিসেডসের বাসিন্দা ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেট বেকিনসল। প্যাসিফিক প্যালিসেডসের ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার ও আমার মেয়ের শৈশবের বেশির ভাগ সময় এখানেই কেটেছে। এক নিমেষেই আমাদের শৈশব হারিয়ে গেল। আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।’
জেমি লি কার্টিস
অস্কার, এমি ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার পরিবার নিরাপদ, কিন্তু তাদের বাড়ি রক্ষা পায়নি। তিনি উদ্ধারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ম্যান্ডি মুর
সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী ম্যান্ডি মুর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, আগুন থেকে বাচতে তিনি তার সন্তান ও পোষা প্রাণীদের নিয়ে এলাকা ছেড়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের আলতাদেনার বাসিন্দা মুর আরও লিখেছেন, দাবানলে তার বসবাসের এলাকাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। দাবানল ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন তিনি।
মিলো ভেন্টিমিগ্লিয়া
আরেকজন তারকা মিলো ভেন্টিমিগ্লিয়া সিবিএস নিউজকে জানান, তিনি এবং তার গর্ভবতী স্ত্রী জারাহ মারিয়ানো তাদের মালিবু বাড়ি হারিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আপনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছেন সেখানে এক ধরনের বিষণ্ন মুহূর্ত রয়েছে। এটি বাস্তবে ঘটেছে। আমরা হার মেনে নিয়েছি।’
দাবানলে উদ্বিগ্ন প্রিয়াঙ্কা
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ভারতীয় এই অভিনেত্রী কর্মসূত্রে কয়েক বছর ধরে হলিউডের বাসিন্দা। প্রিয়াঙ্কা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এই দাবানল রুখতে যারা প্রথম থেকে লড়াই করছেন, তাদের কুর্নিশ। রাত জেগে যারা কাজ করে চলেছেন ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিবারকে অনবরত সাহায্য করে চলেছেন তাদের ধন্যবাদ।’
পুরস্কার অনুষ্ঠান পেছাল
হলিউডে এখন পুরস্কারের মৌসুম। গত রোববার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। আগামী দুই মাসে অস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও বেশ কয়েক পুরস্কার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু দাবানলের কারণে এসব অনুষ্ঠান নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটি জানিয়েছে, দাবানালের কারণে অস্কার মনোনয়ন ঘোষণা পেছনে হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে ভোটদানের সময়ও। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি অস্কারের চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু এখন সেটা দুই দিন পিছিয়ে মনোনয়ন ঘোষণার তারিখ ১৯ জানুয়ারি করা হয়েছে। ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নের জন্য ভোটদান, যা ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন একাডেমির ভোটাররা।
পিছিয়েছে ক্রিটিকস চয়েজ অ্যাওয়ার্ডও। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অঙ্গনের এক বছরের সেরা কাজের পুরস্কার দেওয়া হয় এই আয়োজনে। আগামী রোববার এ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে ২৬ জানুয়ারি করা হয়েছে।
প্রিমিয়ার, শুটিং বাতিল
ভ্যারাইটি জানিয়েছে, দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসে পূর্বনির্ধারিত বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রিমিয়ার স্থগিত করা হয়েছে। এসব সিনেমার মধ্যে আছে ‘আনস্টপেবল’, ‘উলফম্যান’, ‘বেটার ম্যান, ‘দ্য পিট’, ‘দ্য লাস্ট শোগার্ল’ ইত্যাদি।
এ ছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম ডেডলাইন প্রযোজনা সংস্থাগুলোর বরাতে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে বেশ কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজের শুটিং বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া সিনেমা, সিরিজের মধ্যে আছে ‘হ্যাকস’, ‘টেড’, ‘সুইটস: এলএ’, ‘হ্যাপি প্লেস’, ‘ফলআউট ২’, ‘আফটার মিডনাইট’ ইত্যাদি।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল বর্বরতার সব জঘন্য রেকর্ড ভেঙেছে। প্রায় ৯ মাস ধরে অনবরত ফিলিস্তিনের গাজায় তারা বোমা ফেলছে। এরই মধ্যে নারী, শিশুসহ ৩৭ হাজার ৬০০ জনের বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে তারা। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ক্ষুধা-অনাহারে ধুঁকছে অধিকাংশ বসতি।
এবার নৃশংসতার আরেক অধ্যায় দেখিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনি এক নারীর ওপর লেলিয়ে দিয়েছে প্রশিক্ষিত কুকুর। এই হিংস্র জানোয়ারের হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী ওই নারী। এমন একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিজ অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলত। খবর আল-জাজিরার।
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়ার এই বাসিন্দা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। সে সময় ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা আসেন এবং তাঁর ওপর কুকুর লেলিয়ে দেন। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। এতেই ক্ষান্ত থাকেনি সেনারা। তারাও হামলায় চালিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেঁতলে দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া দুর্ভিক্ষে গাজায় আরও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপির প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হুসাইন বলেন, গাজার অধিবাসীদের রক্ষায় বিশ্বকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে ২৩ লক্ষাধিক বাসিন্দা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি ২০১১ সালে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের উদাহরণ টেনে বলেন, সে সময় দেশটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার অর্ধেকই মারা যায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণার দেওয়ার আগেই। মঙ্গলবার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় যে শুধু খাবারের সংকট, তা নয়। এখানে পরিষ্কার পানি, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধেরও চরম সংকট রয়েছে।
তবে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ এড়ানো গেছে। সেখানে বাইরে থেকে ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে পারছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক সরবরাহও প্রবেশ করতে পারছে। অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে কোনো প্রকার সহায়তা বা ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। এমনকি মিসর থেকে প্রবেশের প্রধান পথ রাফা ক্রসিংও বন্ধ আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
হিজাব ছাড়া নারীদের খুঁজতে জনসমাগম হয় এমন স্থানে ক্যামেরা বসানো শুরু করেছে ইরান সরকার। শনিবার দেশটির পুলিশ বাহিনী এ কথা জানায়।
পুলিশের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, হিজাব না পরা কোনো নারীকে শনাক্তের পর প্রথমে তাকে সতর্ক করতে একটি ম্যাসেজ পাঠানো হবে। এরপরও হিজাব না পরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।হিজাব আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে হিজাব আইন ভাঙার অভিযোগে মাসা আমিনি (২২) নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করে ইরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে ইরানের বিভিন্ন শহরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। প্রতিবাদ জানাতে অনেক নারী হিজাব ছাড়া রাস্তায় নামেন। ওই বিক্ষোভ দমনে সহিংস পদক্ষেপ নিয়েছিল ইরান সরকার।
ইরানের আইন অনুযায়ী, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তা সত্ত্বেও দেশটির অনেক নারী এখনো হিজাব ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর শরিয়াহ আইন জারি করা হয়। এ আইন অনুযায়ী নারীদের মাথার চুল ঢেকে রাখতে এবং লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়। আইনটি লঙ্ঘনের দায়ে ইরানের অনেক নারীকেই তিরস্কার, জরিমানা ও গ্রেফতারের শিকার হতে হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক
পবিত্র কোরআন অবমাননার দায়ে প্রথমবারের মতো মামলা হয়েছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশ ডেনমার্কে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি আদালতে দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলাটি হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গত জুনে কোপেনহেগেনে একটি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পবিত্র কোরআনের অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। যেখানে তারা এ কাজটি করেছিলেন, সেখানে বিশ্বের নানা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন ছিলেন। অভিযুক্তদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ডেনমার্কের জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে এই সংবাদ। তবে কোপেনহেগেনের কোন আদালতে মামলা হয়েছে তা জানানো হয়নি। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয়ও গোপন রেখেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
কোপেনহেগেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর লাইস-লোটে নিলাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এ ঘটনা ঘটেছিল একদম প্রকাশ্যে এবং বহুসংখ্যক মানুষের সামনে। পাশাপাশি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনার লাইভ সম্প্রচারও হয়েছিল। মামলার মূল কারণ এটিই।”
তবে কোন আদালতে এ মামলা হয়েছে, তা তিনিও নিশ্চিত করেননি।
২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে ডেনমার্কে একাধিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। তবে দেশটির প্রচলিত আইনে এ ধরনের তৎপরতা অপরাধের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা সে সময় সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এ ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা শুরুর করার পর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় ডেনমার্ক সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর একটি আইন পাস ডেনমার্কের পার্লামেন্ট। সেই আইনে প্রকাশ্যে ও জনসমক্ষে কোরআন পোড়ানো, ছেঁড়া বা কোনও ধরনের অবমাননা করা এবং তার ভিডিওধারণকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ব্যারন’স, দ্য ট্রুথ ইন্টারন্যাশনাল, এএফপি, ডন