চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে দুই দালালকে আটক করে জরিমানাসহ কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ ২৩ জুন সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের নার্গিস আক্তার (৬০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার লক্ষণ সূত্রধর (৩২)। নার্গিস বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কলেজপাড়ায় বসবাস করেন। লক্ষণ সূত্রধরকে পাঁচ দিনের কারাদন্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা এবং নার্গিস আক্তারকে ১৫ দিনের কারাদন্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী তাদেরকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন। জানা গেছে, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দালাল চক্রের সদস্যরা গরিব ও অসহায় রোগীদের ভুল বুঝিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিয়ে যান। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে লক্ষণকে গত শুক্রবার রাতে এবং নার্গিসকে গত রবিবার রাতে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজিরা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে লক্ষণকে পাঁচদিনের কারাদন্ড ও নার্গিসকে ১৫দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। সেসময় তাদের প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে আর্থিক জরিমানা প্রদান করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা হাসপাতালে গ্রামের অসহায় রোগীদের বিভিন্নভাবে প্রতারিত করে আসছে। তারা রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যান। এই ধরণের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পুলিশের এই ধরণের অভিযান হাসপাতালে অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি কালীবাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ শেষে কালীবাড়ি মোড়ের মোল্লা প্লাজার সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম গোলাপের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন ও আনিছুর মঞ্জু, সদর উপজেলা যুবদরেল আহবায়ক জিয়াউল হক প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পুলিশ জেলা কারাগারের ফটক থেকে বারবার মিথ্যা মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তার করে। বক্তারা অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
রং-তুলির আঁচড়ে ছবি জীবন্ত করে তুলতে ব্যস্ত ক্ষুদে আঁকিয়েরা। কেউ ক্যানভাসে প্রকৃতি, কেউ বিভিন্ন জাতের পশু পাখি, আবার কেউ গ্রাম-বাংলার মেঠো পথসহ জীবন তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছে।
পুকুর পাড়, বাড়ির উঠোন, মেঠো পথে বসে সাড়ে তিন শতাধিক শিশু শিল্পীর নিখুঁত রং-তুলির আঁচড়ে জীবন্ত করে তুলছে নানা চিত্রকর্ম। ইট-পাথরের শহরে চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকা এসব শিশুদের প্রকৃতির মধ্যে একাকার করে নিতেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম। প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশুরা এই ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প ঘিরে গ্রাম জুড়ে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। যান্ত্রিক জীবন থেকে দূরে গিয়ে শিশু ও তাদের অভিভাবকরা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পান। ক্যাম্পের উদ্বোধন উপলক্ষে কাঞ্চনপুর মলাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি থেকে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন। এতে চিত্রশিল্পী আসাদুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ভূঞা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম কাউসার এমরান, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলামিনুল পাভেল, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।
পরে ৩৬৫ জন শিশু শিল্পী কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে দলবেঁধে ছবি আঁকতে বসে। এ সময় তারা কল্পনার জগত থেকে বের হয়ে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করে তাদের চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলে।
আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীরা বলেছে, বাসায় বা শ্রেণিকক্ষে বসে কল্পনার ওপর নির্ভর করে ছবি আঁকতে হয় আমাদের। কিন্তু প্রকৃতির কাছে এসে চিত্রাঙ্কন করতে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। আমরা প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে দেখে আমাদের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছি। তাছাড়া শহুরে জীবন যাপনের কারণে গ্রামীণ জনজীবন সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা ছিল না। কিন্তু এই ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির পাশাপাশি গ্রামের জনজীবনের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছি।
অভিভাবকরা জানান, ইট-পাথরের নগর আর যান্ত্রিক জীবন শিশুদের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই শিশুদের মানবিক ও কোমল করে তুলতে শিশু নাট্যম যে প্রতি বছর আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে তা প্রশংসনীয়। এই ক্যাম্প শিশুদের মেধা বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. খান বিটু বলেন, প্রতি বছরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এই আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে শিশু নাট্যম। এ নিয়ে ৯ম বারের মত আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে এসে তাদের মানবিক করে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমীন বলেন, আমি মনে করি, এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। প্রকৃতির মাঝখানে ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিরা আর্টক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে। সারা দেশেই এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনে দু’দিনের কর্মসূচি পালন করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী থাকায় বাদ জোহর মসজিদে মসজিদে দোয়া, মন্দির ও গীর্জায় সুবিধানজনক সময়ে প্রার্থনা, বাদ আসর সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে মিলাদ ও কেককাটা। ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সমাবেশ।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঘোষিত জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক ও দুপুরে অনুষ্ঠিত বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির নেতবৃন্দের বৈঠকে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক কমিটির সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক তানজিন আহমেদ, তথ্য গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা, অর্থ সম্পাদক মহসিন মিয়া, শ্রম সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, ত্রাণ সম্পাদক শেখ মো. আনার, শিল্প বানিজ্য সম্পাদক শাহআলম, উপপ্রচার সম্পাদক স্বপন রায়, উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন, কার্যকরী সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, রেহেনা বেগম রানী,সৈয়দ মো. আসলাম, কাচন মিয়া, ফারুকুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান জগলু, শাহআলম, খোকন কান্তি আচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন।
এছাড়া সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়শত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে “প্রধানমন্ত্রী উপহার” চাল বিতরণ করেছে জেলা পরিষদ। আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় জেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চাল বিতরণ উপলক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। তারা দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে কার্যত পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছিলো। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে মুক্ত করেছিলো। পরে আবারো ওই অপশক্তি ক্ষমতায় এসে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারে নি।
২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা এসে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বর্তমানে আবারো একটি অপশক্তি সংবিধান বহির্ভূতভাবে দেশে নির্বাচন করতে চায়। তবে বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে। তিনি আগামী নির্বাচনকে জনগনকে নিজে বিচার বিবেচনা করে ভোট দেয়ার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে ৬০০ পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হামলা ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেড ক্রিসন্টে ও মাদ্রাসার ছাত্ররা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
এসময় তারা থানার বিভিন্ন ভবনের পুড়ে যাওয়া ও ভাংচুর করা ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, শতাধিক শিক্ষার্থী শহর পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। শিক্ষার্থীরা কোন প্রতিষ্ঠানে হামলা করেনি। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন সড়কে আনসারের পাশাপাশি ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা। শহরের কাউতলীর মোড়, টি.এ রোড, সদর হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, জেল রোড, কে দাস সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে সড়কে অনেকটা সুশৃঙ্খলতা ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ ও চালকরা তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।