চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই ফারুক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ১১৬ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর পূর্বপাড়া থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও একটি নোহা প্রাইভেটকারসহ সুমন নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি আব্দুল কাদের।
আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ওসি আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, কসবাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ২৪ কেজি গাঁজাসহ মোঃ এরশাদ মিয়া (৩৬) ও নূরুল হক ওরফে নূরু মিয়া (৩৮) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৮ জুলাই সোমবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর শহরের দক্ষিণ কসবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত এরশাদ মিয়া কসবা উপজেলার শিমরাইল সাতপাড়া গ্রামের হাছন মিয়ার ছেলে ও নূরুল হক একই এলাকার ফয়েজ মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে কসবা পৌর শহরের দক্ষিণ কসবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদের সাথে থাকা বস্তা তল্লাশী করে ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতিপক্ষের উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হারুনুর রশিদ (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কথা কাটাকাটির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সালিশ সভায় যাওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নিহতের পরিবার। নিহত হারুনুর রশিদ উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ফিরোজ মিয়া ও তার স্ত্রী রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের চাচা আবদুল মান্নান জানান, হারুনুর রশিদ তার বাড়ির পাশেই একটি জমিতে তিলের চাষ করেছিলেন। গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে বায়েজিদ ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াসহ কয়েকজন বৃহস্পতিবার বিকালে পাশেই একটি জমিতে ফুটবল খেলছিলো। ফুটবলটি হারুনুর রশিদের তিলের জমিতে বার বার পড়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। এ নিয়ে হারুনুর রশিদ তাদেরকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদের দাদা আনু মিয়া বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য হারুনুর রশিদকে খবর দেয়। আনু মিয়ার বাড়িতে হারুনুর রশিদ যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগর মিয়াসহ কয়েকজন মিলে হারুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, হারুনুর রশিদ এলাকায় একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। জমিতে ফুটবল পড়ায় একটু তর্কাতর্কির কারণে সাগর ও বায়েজিদরা ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করবে এটা ভাবাও যায় না।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এজহার ভুক্ত আসামি মো. ফিরোজ মিয়া ও রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল শুক্রবার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হয়েছে। এ দেশের সবার মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কারও কারও সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশকে কেউই আর দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কাঁদলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি।
এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, বয়সে ছোটদের অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছি। আমি অনেক ভুলত্রুটি করতে পারি। কিন্তু সন্তানকে আপনারা যেভাবে মাফ করে দেন আমাকেও আপনারা মাফ করে দিয়েন। আপনাদের জন্য যদি কিছু করে থাকি আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া চাইবেন। আর বেশি কিছু বলবো না। আমি ফিরে আসবো ১৮ তারিখ, যখন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে। তখন আপনাদের সাথে কথা বলব।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মেয়র এম.জে হাক্কানী, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম.এ. আজিজ, বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ফলে মনোনয়পত্র জমা দিতে বুধবার আইনমন্ত্রী ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এই প্রথম আইনমন্ত্রী নিজ এলাকায় এলেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।