অনলাইন ডেস্ক :
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) শাস্তির মুখে পড়েছেন ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত। ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার চলমান হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটেছে। ম্যাচ শেষে আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পন্ত ‘লেভেল ওয়ান’ পর্যায়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ঘটনাটি ঘটে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬১তম ওভারের পর।
আম্পায়াররা বলের আকৃতি পরীক্ষার জন্য ‘গেজ’ ব্যবহার করে বলের আকার যাচাই করছিলেন। পরে তারা বল পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত নেন। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে পন্ত বল মাটিতে ছুড়ে দেন—যা সরাসরি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অসন্তোষ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আইসিসির আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ওই অনুচ্ছেদ ভাঙার দায়ে তারা পন্তের শৃঙ্খলা রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। গত দুই বছরে পন্তের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা।
হেডিংলি টেস্টের ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় পন্তকে আলাদা শুনানির মুখে পড়তে হয়নি। মাঠের আম্পায়ার পল রেইফেল ও ক্রিস গ্যাফানে, তৃতীয় আম্পায়ার বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবন শহীদ এবং চতুর্থ আম্পায়ার মাইক বার্নস—সবাই এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আইসিসির ‘লেভেল ওয়ান’ পর্যায়ের অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি হলো তিরস্কার। সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ার সুযোগ থাকে।
পন্ত এই টেস্টে ভারতের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন। এর মাধ্যমে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের পর ইতিহাসে তিনিই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি গড়েছেন।
এদিকে হেডিংলি টেস্টে আজ পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা। গতকাল দিন শেষে বিনা উইকেটে ২১ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য শেষ দিনে স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরো ৩৫০ রান।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের রাজধানীর লালমাটিয়ায় দুই হাজার ৫২৩ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, জমি ও তিনটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তার ১২টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশও দেওয়া হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত।
এ দিন দুর্জয়ের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য। শুনানি শেষে এ আবেদন আদালত মঞ্জুর করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, এমপি থাকাকালে নাঈমুর রহমান দুর্জয় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোট ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে মোট চার কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, দুর্জয়ের নিজের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯০ টাকা জমা এবং ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৬০ টাকা তুলেছেন, যা সন্দেহজনক। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় বর্ণিত সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। তার স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর গেইম ডেভলপমেন্ট কমিটির আয়োজনে আগামী ১২ অক্টোবর শনিবার সকাল ৮ টা হতে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব -১৪, ১৬ ও ১৮ বছর বয়সী ক্রিকেট খেলোয়াড়দের উন্মুক্ত প্রাক- বাছাই ও মেডিকেল অনুষ্ঠিত হবে।
আগ্রহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খেলোয়াড়দের সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি, ক্রিকেট পোশাক, ব্যাটসম্যান হলে ক্রিকেট সামগ্রী, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, পি,এস,সি/ জে,এস,সি/ এস,এস,সি / সমমান পরীক্ষা / রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সব গুলোর মুল কপি ও ফটোকপি। অটো পাশ হলে স্কুলের প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
অনুর্ধ্ব -১৪ যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০১০ বা এরপরে। অনুর্ধ্ব ১৬- যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ বা এরপরে। অনুর্ধ্ব -১৮ যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ বা এরপরে।
উল্লেখ্য উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র ছাড়া কোন খেলোয়াড় বাছাইয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারবেনা এবং গত বছর যারা মেডিকেলে উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রয়োজন হলে ট্রায়ালে অংশ গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ – মাহমুদা আক্তার, ক্রীড়া অফিসার ও সদস্য সচিব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০১৭৮৫-০০৬৬৬৬।
পল্লব কুমার চক্রবর্তী, অফিস সচিব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০১৭১৫-৮৭০৩১১।
মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, সহ: জেলা ক্রিকেট কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ০১৭১২-৭৩২৬১৩।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের ফুটবলার লুইস গালভান মারা গেছেন। ৫ মে সোমবার ৭৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, এই কঠিন সময়ে এএফএ এবং এর নেতৃত্ব তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের প্রতি হৃদয় থেকে সমবেদনা জানাচ্ছে।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কর্দোবার রেইনা ফাবিওলা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন গালভান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। সেই ফাইনালে সেন্টার-ব্যাক পজিশনে খেলেছিলেন গালভান।
এরপর ১৯৮২ সালে স্পেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন এই সেন্টারব্যাক। ১৯৮৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার আগে ৩৪বার আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন তিনি।
১৯৭০ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব তালেরেস দে কর্দোবায় ফুটবল ক্যারিয়ারে হাতেখড়ি গালভানের। টানা ১২ বছর পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনি। মাঝে বলিভিয়ার ক্লাব বলিভারে খেলে ১৯৮৬ সালে আবার শৈশবের ক্লাবে ফেরেন। দুই দফায় ১৭ মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৫০৩টি ম্যাচ খেলেন, যা ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
দুলাল মিয়া:
অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উদ্যাগে ৬ জুলাই রবিবার বিকাল ৪টায় ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইসতিয়াক ভূঁইয়া।
অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সভাপতি হাজী মোঃ আবদুস সালাম সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফায়েজুর রহমান (ফয়েজ) এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি এডভোকেট আমিনুল হক, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রাশেদ কবির আখন্দ, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা হাদিম মিয়া, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সিনিয়র সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট মানেই ভারতের আধিপত্য। টুর্ণামেন্টের ৮ আসরের ৭টিতেই চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারতীয় নারী দলের ধারেকাছে কেউ ছিল না।
আজ ২৮ জুলাই রোববার ডাম্বুলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালেও ফেবারিট ছিল ভারতই। কিন্তু এবার হলো উল্টোটা। গ্যালারি ভর্তি লঙ্কান দর্শকদের উৎসবে মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।
স্মৃতি মান্ধানার ৬০ রানের সৌজন্যে ভারতের ৬ উইকেটে করা ১৬৫ রান ১৮.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় শ্রীলঙ্কা নারী দল। চামিরা আতাপাত্তুর ৬১ রানের পর হারশিতা সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে লঙ্কানদের মেয়েদের হাতে উঠেছে প্রথম এশিয়া কাপের শিরোপা।
মেয়েদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং মানেই চামিরা আতাপাত্তু। এবারের এশিয়া কাপে তিনি একাই টানছিলেন লঙ্কান ব্যাটিং। মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের রান তাড়ায়ও জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভিশমি গুনারত্নে রান আউট, দলের রান তখন মাত্র ৭। এরপর তিনে নামা হারশিতা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৬৩ বলে ৮৭ রান যোগ করেন আতাপাত্তু। ১২তম ওভারে দিপ্তি শর্মার নিচু হয়ে আসা বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৬১ রান। ১৪১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এবারের এশিয়া কাপে এটি আতাপাত্তুর দ্বিতীয় ফিফটি। একটি শতকও আছে এই বাঁহাতির। বিস্ফোরক ইনিংসের সৌজন্যে এশিয়া কাপে আতাপাত্তুর রান তিন শ (৩০৪) ছাড়িয়ে গেছে।
বাকি কাজটা করেছেন সামারাবিক্রমা। মাঝের ওভারে ধরে খেলেছেন, সুযোগ বুঝে খুঁজে নেন বাউন্ডারিও। কাভিশা দিলহারির সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন সামারাবিক্রমা। নিজে করেছেন ৫১ বলে অপরাজিত ৬৯ রান। ১৩৫ স্ট্রাইক রেটের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে কাভিশা অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩০ রানে, ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৮৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। দুজনের ব্যাটে চড়ে ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মা। দুজন মিলে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান যোগ করেন। মান্ধানা ছিলেন আক্রমণাত্মক, শেফালি খেলেছেন ধরে। কাভিশা দিলহারির করা পাওয়ার প্লের পরের ওভারে থামে শেফালির ১৯ বলে ১৬ রানের ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটির করে দেওয়া সুবিধাটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি ভারতের পরের দুই ব্যাটার উমা ছেত্রি (৯) ও হারমানপ্রিত কৌর (১১)। তবে মান্ধানার সঙ্গে ২৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ইনিংসের ১৭তম ওভারে জেমিমাহ ১৬ বলে ২৯ করে রান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।
কাভিশার করা পরের ওভারে থেমে যায় মান্ধানার ইনিংসও। ৪৭ বলে ১০ চারে ৬০ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ১৩৩। সেখান থেকে দলের রান দেড় শর ওপারে নিতে সাহায্য করেন রিচা ঘোষ। তাঁর ১৪ বলে ৩০ রান আসে ৪টি চার ও ১ ছক্কায়। ৪ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া কাভিশা ছিল শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত নারী দল: ২০ ওভারে ১৬৫/৬
(মান্ধানা ৬০, রিচা ৩০, জেমিমা ২৯; কাভিশা ২/৩৬, সাচিনি ১/২০ প্রাবোধানি ১/২৭, আতাপাত্তু ১/২৮)।
শ্রীলঙ্কা নারী দল: ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/২ (হার্শিতা ৬৯*, আতাপাত্তু ৬১, কাভিশা ৩০*; রেদিপ্তি ১/৩০)
ফল: শ্রীলঙ্কা নারী দল ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হার্শিতা সামারাবিক্রমা।
টুর্নামেন্টসেরা: চামারি আতাপাত্তু।