চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে সংস্কার করা সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এতে করে ক্ষোভে হাতে টেনে সড়কের কার্পেটিং তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ২৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের অলিপুর মোড় হতে কচুয়ামুড়া পযর্ন্ত ১ কিলোমিটার কার্পেটিং কাজ এর পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। এতে করে সড়ক মেরামতের অনিয়মের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ও ছবি তুলে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারের অনিয়মের খবরে সরেজমিন পরিদর্শনে যান গণমাধ্যমকর্মীরা। পরিদর্শনকালে সড়কে মেরামত কাজ চললেও সেখানে এলজিইডির কোন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে পাওয়া যায়নি। শ্রমিকরা তারা নিজেদের মতো করে ঢালাইয়ের কাজ করে যাচ্ছেন ৷ এদিকে অলিপুর মোড়ে সংলগ্ন সড়কে পিচ ঢালাই প্রায় ১ সপ্তাহ পূর্বে দিলেও বর্তমানে সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সড়কটি মেরামত এর কাজ করছেন মেসার্স রুপালী ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সড়কের এমন দৃশ্য দেখে সাংবাদিকরা মুঠোফোনে ভিডিও ও ছবি ধারণ করতে চাইলে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বাধার মুখে পড়তে হয়। এক পর্যায়ে সড়ক সংস্কার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মেরামত করায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদে গর্জে উঠে।
সড়কের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রাজ্জাককে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, সড়কের পিচ মাত্র দেয়া হয়েছে। তাই উঠে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়রা জানান, সড়কে পিচ ঢালাই দিয়েছে ৬ দিন পার হয়েছে। কাজের গুনগত মান না থাকায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. আশিকুর রহমান ভূঞা বলেন, সড়কে মেরামত অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আমি পরিদর্শন করেছি। কাজে অনেক অনিয়ম হয়েছে। কাজ সংশোধনের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। কাজ পুনরায় করার পর ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানকে বিল দেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে হাফিজুর রহমান (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার ভোরে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুর রহমান ওই এলাকা গুলু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মেয়ের জামাতা শামীম মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পেটুয়া গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে হাফিজুর রহমানের মেয়ে নাহিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শামিম মিয়ার বিয়ে হয়। নাহিদা আক্তার ও শামিম মিয়ার সংসারে ২ বছরের একটি শিশু সন্তান আছে। বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর নাহিদা আক্তার তার স্বামী শামিম মিয়াকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। এর পর তিনি স্বামীর বাড়ি ফিরে না গেলে শামীম তার বাবা হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
নাহিদা আক্তার এরই মধ্যে পরিবারের লোকজনদের কিছু না জানিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যান। কিন্তু তাদের মধ্যে ফের কলহ শুরু হয়। এরই জেরে ৩ নভেম্বর শুক্রবার নাহিদা আবার বাবার বাড়ি চলে আসেন। নাহিদাকে ফিরিয়ে নিতে শামীমের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়ি আসে। কিন্তু শামীমের সংসারে নাহিদা আক্তার ফিরে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরই জেরে ভোরে শামীম শ্বশুর বাড়ি এসে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর হাফিজুর রহমানকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘাতক শামীমকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার খন্দকার ওরফে হালিমা নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় জিডি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তার স্বামী এই জিডি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত প্রার্থীর কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে মাসুদ খন্দকার জানিয়েছেন। তিনি জানান প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি সাজানো হতে পারে। তবে জিডির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি আসাদুল ইসলাম।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) নির্বাচন করছেন। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারনায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাহিরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সাথে ভিতরে কথা বলছিলেন। ১০মিনিট ২০মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছেনা বিধায় দুইজন মহিলা ভিতরে যান। ভিতরে গিয়ে প্রীতিকে খোঁজে পাচ্ছিলো না।
বিষয়টি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসি মহোদয়কে অবগত করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর স্বামী রাতে এসেছিলেন। তাকে নিয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রার্থী প্রচারে এসেছিলেন। তবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত প্রবেশের চেষ্টাকালে দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর সীমান্তের কাউহাটি এলাকা থেকে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলো : গৌতম চন্দ্র দাস (৫৫) ও তার স্ত্রী কবিতা রাণী দাস (৪৫)।
বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সস্ত্রীক ভারত গমনের চেষ্টা করছিলেন গৌতম। পরে বিজিবির টহলরত সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, ভারতের আগরতলায় বসবাসরত গৌতম চন্দ্র দাসের শাশুড়ি মৃত্যুবরণ করায় তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য অবৈধভাবে ভারত গমনের চেষ্টা করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে ১৪জন আহত হয়েছেন। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনের নাম জানা গেছে। এরা হচ্ছে- রামিম (১৬), জিহান (১৬), নোমান (১৬), সামিয়া (৮), তামিম (১৫), রাহুল (১৪), হোসাইন (১৫), শফিকুল (১৭), তানভীর (১৭), রাতুল (১৭), ফাহিম (১৫), আতিক (১৭), শরীফ (১৬) ও জাহেদ আলী (৬০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিকেলে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর যাওয়ার পথে বীরপাশা এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসের চালকসহ ১৪ যাত্রী আহত হয়।
তিনি বলেন, মাইক্রোবাসের যাত্রীরা সবাই শিক্ষার্থী। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পিকনিক করার জন্য হবিগঞ্জ জেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বেশ কয়েকজন আহতকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি বলেন, বাসটিকে আটক করা হলেও এর চালক পালিয়ে যায়।