চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি পাত্তাইসার বাজারে সরকারি কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারে ভাঙচুর চালিয়ে দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শামসুল আলম নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামসুল আলম কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারের সরকারি ভবনের একটি অংশ ভেঙে সেখানে দোকান স্থাপন করতে উদ্যোগ নেন। এতে এলাকাবাসীসহ খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ বাধা প্রদান করেন। শামসুল আলম এ সময় দাবি করেন, তিনি সরকারি অনুমতি নিয়েই এ কাজ করছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, কসবা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে শামসুল আলম ও তার অনুসারীরা স্থান ত্যাগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বীজ সংরক্ষণাগারের ওই জমি ও স্থাপনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত। শামসুল আলম সেই সরকারি সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত দোকান নির্মাণ করতে গেলে পুরো স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি জমি ও স্থাপনায় ব্যক্তিগতভাবে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের দখল বা ভাঙচুর মেনে নেওয়া হবে না। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ পুনরায় সরকারি স্থাপনায় হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি সম্পত্তির ১ ইঞ্চিও অবৈধভাবে দখলের সুযোগ নেই।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ট্রাক ও বাসের বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে আকাশ (৩৫) ও আমির হোসেন (৩৪) নামে দুইজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ ১২ এপ্রিল শনিবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আকাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে এবং আমির হোসেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে। তবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে সিয়াম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চট্টগাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে ঘটনাস্থলে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কয়লাবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ট্রাকে থাকা কয়লার মালিক আমির হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং ট্রাক চালক আকাশ গুরুতর আহত হয়। আকাশকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে সেও মারা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল খাটিহাত হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মামুন রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত আমির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে। দুর্ঘটনার শিকার ট্রাক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে মেঘলা আক্তার নিলুফা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৮ মার্চ দুপুরে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ইমামবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মেঘলা আক্তার নীলুফা (১৯) জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসগার (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মোঃ মুসলিম মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় আলহাজ্ব শাহআলম ডিগ্রি কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নীলুফার পিতা পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকসা চালক।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, দুপুরে একটি মালবাহী ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে নীলুফা আত্মহত্যা করেছেন।
তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যা মামলায় মো. রানা মিয়া (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায় সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে সাইদুরের মা ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেফতার করে। রানা মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের মা হনুফা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার রায় পেয়েছি। আমি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমাণ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পেছনে পরিকল্পনাকারী হিসেবে শারমিন বেগম নামে এক নারীকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামি রানা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় দেশীয় অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করছে যৌথ বাহিনী। ১৩ অক্টোবর রবিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মান্দারপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. সিদ্দিক মিয়া কসবা উপজেলার মান্দারপুর এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে একই এলাকার মতি মিয়ার ছেলে মো. মোজাম্মেল ও সাদেক মিয়ার ছেলে মো. সিয়াম মিয়া।
আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে কসবা উপজেলার মান্দারপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ৫ টি দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ১২টি ছুরি ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আটকে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক থাকার ঘটনার ১০ দিন পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশকে বদলি করা হয়েছে। আজ ৭ মে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই চিঠিতে ৯ মের মধ্য অমিত কুমারকে কর্মস্থল থেকে মুক্ত হতে বলা হয়।
চিঠিতে অমিত কুমার দাশকে মুন্সীগঞ্জ সদরে বদলির কথা উল্লেখ করা আছে।
তবে চিঠিতে বদলির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। বেলা পৌণে ১২টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্টরা চিঠির বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদ দেখতে পান ব্যালট পেপারে তার প্রতীক অটোরিকশার বদলে প্যাডেল চালিত তিন চাকার রিকশা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তার ভোটারা বিব্রত হচ্ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলে সেখান থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান।