অনলাইন ডেস্ক :
দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো মিথ্যা মামলা। হরেদরে যে কারো নামে হচ্ছে মামলা। বিভিন্ন চক্র নেমে পড়েছে মামলা বাণিজ্যে। মূলত চাঁদাবাজি ও হয়রানির জন্যই দায়ের করা হচ্ছে এসব মিথ্যা মামলা। আর এই বাণিজ্য এতটাই রমরমা হয়ে উঠেছে যে, সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, এমনকি সরকারের উপদেষ্টারাও মিথ্যা মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
তবে মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান। মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলেই বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন আদালত। এমনকি মামলার সাক্ষী ও পুলিশের যে কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তাদের জন্যও রয়েছে কঠোর সাজার বিধান।
কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া— দুটিই ফৌজদারি অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। দণ্ডবিধির ২১১ ধারা অনুসারে মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। তবে এজন্য মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে হবে।
বিচারক যদি মনে করেন যে, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন, তুচ্ছ, বিরক্তিকর বা হয়রানিমূলক এবং আসামির প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে মামলাটি করা হয়েছে, তাহলে তিনি ওই মামলাকে মিথ্যা মামলা হিসেবে গণ্য করতে পারেন। বিচারক অভিযোগকারী বা মামলা দায়েরকারীকে দণ্ড দিতে পারেন। এ ছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজে বাদী হয়ে আলাদা মামলাও করতে পারেন।
বিচারক দুইভাবে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা অভিযোগকারীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিতে পারেন। প্রয়োজনে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে দণ্ডমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারেন। ২৫০ ধারা অনুযায়ী কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা প্রতিবেদন দিলে তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন আদালত।
আরেকটি সাজার বিধান রয়েছে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায়। মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে এই ধারায় দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সঙ্গে হতে পারে অর্থদণ্ডও। তবে মিথ্যা মামলাটি যদি মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন এবং সাত বছর বা এর বেশি মেয়াদের দণ্ডনীয় অপরাধ সম্পর্কে হয়; তাহলে বাদীকে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও মিথ্যা মামলা দায়েরকারীকে সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
মিথ্যা সাক্ষীর ক্ষেত্রেও কঠোর বিধান রয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে বা সাক্ষ্য বিকৃত করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ড হতে পারে। আরেক ধারায় মৃত্যুদণ্ডযোগ্য কোনো অপরাধে মিথ্যা সাক্ষী দিলে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ১০ মে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই মাঠে যারা আছি, তারা সবাই শুধু নয়, আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই আওয়ামী লীগকে দেখতে চাই না। তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন করে আসছে, গণ্ঠতন্ত্রকে ধ্বংস করে আসছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ অর্থনীতিকে বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই অর্থনীতিকে সেই জিয়াউর রহমান সাহেব খুলে দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার সংস্কারের কথা বলেন। প্রথম সংস্কার তো করেছেন জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন, অর্থনীতিকে মুক্ত করে দিয়েছেন। আজকের অর্থনীতির যে ভিত্তি, সেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবং আমাদের মানুষদের বিদেশে পাঠানো, এটাও শুরু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস আজ। ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ওই সময় শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয়। এসব দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।
সেদিন ভোরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। সেই সময় শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং যৌথবাহিনীর সদস্যরা বন্দি অবস্থায় তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইন বহির্ভূতভাবে না মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
গ্রেফতার পূর্ব মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপোষহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মাসের প্রথমদিন থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করে ট্রেনের টিকিট কাটা বাধ্যতামূলক করা হয়। নতুন এ নিয়মে গত দু’দিনে রেলওয়ের আয় কমে গেছে? তাই স্ট্যান্ডিং টিকিট (আসনবিহীন) ক্রয় করতে এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে?
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী কবির হোসেন তালুকদার। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট ক্রয় উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে? অনলাইন ও অফলাইনে সার্ভার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। স্ট্যান্ডিং টিকিট ক্রয় করতে এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন লাগবে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে আমাদের মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে?
তিনি আরও জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীদের জন্যে ৯৩৯টি আসন রয়েছে। প্রতিদিন এ স্টেশন থেকে গড়ে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতি মাসে কোটি টাকার বেশি সরকার এ স্টেশন থেকে আয় করছে? নিবন্ধন করে টিকিট ক্রয়ে বাধ্যবাধকতা করায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে? এতে করে যাত্রী কমে যাওয়ায় গত দুদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন চার লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
সূত্র জানায়, অনলাইন বা স্টেশন থেকে নতুন নিয়মে আসনসহ ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। বিদেশিদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধন করে টিকিট কাটতে হবে। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, বিনা টিকিটে ভ্রমণে জরিমানা করা ও ভাড়া আদায় সহজ করার জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শরণার্থীরা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ (ইউক্রেনে) পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ এবং ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।’
কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি ৫) ফাঁকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজ ৮ মার্চ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে পৌঁছান শেখ হাসিনা এবং আজ বিকেলে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সূত্র : বাসস
প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, ঢাকা সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ইতিবাচক নয়।
আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ ইতোমধ্যেই সম্প্রচার করা হয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গ অংশটি আল জাজিরাতে আগামী ১১ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সম্প্রচার করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড এবং পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয় তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা তাদের আসতে দিয়েছি। এছাড়াও, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসান চর একটি ভালো জায়গা, থাকার জন্য ভালো জায়গা… আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।’
রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সাথে লড়াইরত। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের মাসব্যাপী “আধুনিক ধান চাষাবাদ কৌশল এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত হয়েছে আজ ১২ জুন সোমবার।
এ উপলক্ষে গাজীপুরে ব্রি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ ভবনের কনফারেন্স রুমে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রশিক্ষণ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষিতত্ত বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ফলিত গবেষণা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. হুমায়ুন কবির, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান সিরাজুল ইসলাম। প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জাকিব হোসেন, নুরনাহার, মো. মনিরুজ্জামান।
প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অধিকার করেন নারায়নগঞ্জের বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মুহাইমিনুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মানিকগঞ্জের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক শামসুন্নাহার এবং তৃতীয় হন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রতন মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র লিয়াজুঁ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন। অনুষ্ঠানে ব্রি’র সকল বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কৃষি বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের হাত ধরেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সুতরাং, এই প্রশিক্ষণটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে নতুন অনেক জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণে ৩০ জন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে ১৪ মে।