অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারকে হারিয়ে চমক দেখানোর পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল তাকিয়ে ছিল বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচের ফলাফলের দিকে। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে তুর্কমেনিস্তান পয়েন্ট হারানোয় বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ খেলা নিশ্চিত হয়েছে। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ।
ইয়াঙ্গুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাহরাইনের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে তুর্কমেনিস্তান। দুইবার এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয়ের সুযোগ হারায় দলটি।
অন্যদিকে, গ্রুপের আগের দুটি ম্যাচেই দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হারায় র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে। দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। হেড টু হেড ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় এখন আর কোনো দলই বাংলাদেশের ধারে-কাছে আসার সুযোগ পাচ্ছে না।
গ্রুপ পর্বে এখন শুধু তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বাকি রয়েছে বাংলাদেশের। যদিও সেই ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা, তবে সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চায় লাল-সবুজের মেয়েরা।
এই অর্জন বাংলাদেশের নারী ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর আগে ১৯৮০ সালে কেবল একবার পুরুষ দল এশিয়ান কাপে খেলেছিল। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর এবার নারীরাই আবার এশিয়া কাপের আসরে লাল-সবুজের পতাকা তুলে ধরবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। স্থানীয় সময় রবিবার ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন খবরটি নিশ্চিত করেছে।
গত দুই মাস ধরে গাত্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়, কিন্তু পরে তার নিউমোনিয়া, কিডনি ও হৃদযন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গাত্তির ডাকনাম ছিল ‘এল লোকো’ অর্থাৎ ‘পাগল’, আর্জেন্টিনার শীর্ষ ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছেন—৭৬৫টি ম্যাচ।
১৯৬২ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন। বোকা জুনিয়র্সের হয়ে তিনি ১৯৭৭ সালে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছিলেন। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের মূল গোলরক্ষক হওয়ার কথা থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ছিটকে পড়েন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ। ১২০ বলে ১৩৯ রান করতেও ঘাম ঝরাতে হয় টাইগারদের। ৬ উইকেটে জয় পেলেও বাংলাদেশ দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
কিন্তু অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
আজ ৫মে রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে সময়ের ব্যবধানে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেস বোলার তাসকিন আহমেদ। তিনি বোলিংয়ে এসেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার তদিওয়ানাশে মরুমণি। তিনি ৩.৬ ওভারে দলীয় ১৫ রানে আউট হন।
এরপর ৭.১ ওভারে দলীয় ৩০ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে পরপর আঘাত হানেন রিশাদ হোসেন। তার শিকার হয়ে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও ক্লাইভ মানদান্দে।
সাবেক অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে আউট করেন শেখ মাহেদি হাসান। ১০.২ ওভারে মাত্র ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
৬২ বলে মাত্র ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন মিডলঅর্ডার দুই ব্যাটসম্যান জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।
তারা ষষ্ঠ উইকেটে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তাদের রান তোলার লাগাম টেনে ধরেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচে ধরা পড়েন ক্যাম্পবেল। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৪টি চার আর ৩ ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রান করে ফেরেন।
এরপর সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে লুকি জঙ্গিকে ফেরান তাসকিন আহমমেদ।
অষ্টম উইকেট জুটিতে মাত্র ৮ বলে ১৮ রান আদায় করে নেন ব্রায়ান বেনেট ও অ্যাশলে এনডিলুভু। শেষদিকে তাদের এ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে জিম্বাবুয়ে।
দলের হয়ে ২৯ বলে দুই চার আর তিন ছক্কায় ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রায়ান বেনেট।
বাংলাদেশ দলের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শেখ মাহেদি হাসান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২০ বলে ১৩৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারায়। দলীয় ৯৩ রানে ফেরেন জাকির আলি অনিক।
শেষদিকে জয়ের জন্য ৩৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৮ রান। তখন মনে হয়েছিল ম্যাচটি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে সেট হতে কিছুটা সময় নেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রিয়াদ উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ার পর দলকে টেনে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনিই দলের জয় নিশ্চিত করেন। রিয়াদ ১৬ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
২৫ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। ২৩, ১৮ ও ১৬ রানে আউট হন লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
অনলাইন ডেস্ক :
একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন আল নাসরের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আল-ওয়াসলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন সিআর সেভেন। তার দলও জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল-ওয়াসলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০তম জয় এটি রোনালদোর। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিংয়ের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয় রোনালদোর। তিনি সেখানে ১৩ জয় পান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই দফায় খেলে ২১৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে রোনালদো। পর্তুগিজ এই তারকার সবচেয়ে সফলতম ক্লাব ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি ১০ মৌসুমে সেখানে ৩১৫ জয় পেয়েছেন। আর জুভেন্টাসে রোনালদোর জয় ৯২ ম্যাচে।
রোনালদোর জোড়া গোল ছাড়াও বাকি দুই গোল এসেছে আল ফাতিল ও আল হাসানের পা থেকে। এই ম্যাচেই আল নাসরের হয়ে অভিষেক হয় কিছুদিন আগেই অ্যাস্টন ভিলা থেকে দলে ভেড়ানো কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার জন ডুরানের। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় আল নাসর। সিমাকানের পাস থেকে গোল করেন আলী আল হাসান। ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। আর দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয় হাফে। ৭৮তম মিনিটে সাদিও মানের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন সিআরসেভেন। যা ক্যারিয়ারে তার ৯২৩তম গোল।
আল নাসরের হয়ে শেষ গোলটি করেন আল ফাতিল। ৮৮তম মিনিটে ব্রোজোভিচের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন তিনি। এ জয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় স্থানটা আরো মজবুত করল আল নাসর।
অনলাইন ডেস্ক :
কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬ তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। দুই দলের ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল চরম নাটকীয়তা। দর্শকদের বিশৃঙ্খলার কারণে খেলা শুরু হয় ১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর। এরপর ম্যাচ শুরু হলেও প্রথমার্ধে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন জেমস রদ্রিগেজরাই। লাউতারো মার্টিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে ১-০ গোলের জয়ে নিজেদের কোপা শিরোপা নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
এর আগে, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো গোল আসেনি। এতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরুর কথা থাকলেও কলম্বিয়ান দর্শক-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মাঠে গড়ায় ফাইনাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে কলম্বিয়া। বলের দখল, লক্ষ্যে শট, কর্নার-সবদিক দিয়েই আধিপত্য বজায় রেখেছিল রদ্রিগেজরা। তবে ম্যাচের প্রথম মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি আলভারেজ।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে উঠে কলম্বিয়ানরা। তবে লুইস ডিয়াজের মাটি কামড়ানো শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই বারের পাশ দিয়ে চলে যায় রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট। এরপর ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টার হেড সহজেই মুঠোবন্দি করেন আর্জেন্টাইন কিপার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন লারমা। তবে আর্জেন্টাইন বাজপাখির হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ গোলশূন্য বিরতি নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি। বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় দল দুটি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে তাকে হতাশ করেন কলম্বিয়ার রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে ডি মারিয়াও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দেন কামিলো ভার্গাস। ৮ মিনিট পরই দুঃখে ভাসে পুরো হার্ড রক স্টেডিয়াম। চোটে পড়ে ছাড়েন লিওনেল মেসি। এরপর সাইডবেঞ্চে বসেইকান্নায় ভেঙে পড়েন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে জালে বল জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। জালের নাগাল পেয়েছিলেন মেসির বদলি নামা গঞ্জালেস। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে আরও একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার ক্রসে সামনে বাড়িয়েছিলেন গঞ্জালেস। তবে ঠিকঠাক টাইমিংয়ে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি আলভারেজ। এতে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।