সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য :
ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত দিনব্যাপি ফ্রি হার্ট ক্যাম্প। বিনামূল্যে রোগী দেখবেন কার্ডিওভাস্কুলার সার্জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। কার্ডিয়াক সার্জারী (বাইপাস সার্জারী), ভাল্ভ সার্জারী, শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ, ভাসকুলার সার্জারী (রক্তনালী সার্জারী) বিষয়ে চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হবে। স্থান পুরাতন জেলা রোড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এর কার্যক্রম চলবে ৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো র্যাবের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পৌর এলাকার উত্তর মৌড়াইলের মোঃ আমিনুজ্জামান (৪০), পাইকপাড়ার মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (২৬) ও পুনিয়াউটের মোঃ ইয়াছিন (২৮)। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এর সভাপতিত্বে বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেল সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি এ.কে.এম কামরুজ্জামান মামুন এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
মাসিক সভার সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি।
সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির বিভিন্ন সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল এইডের প্রাতিষ্ঠানিক প্রচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামূলক সেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতা ও গণশুনানী অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পেলেন মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বিগত সম্মেলনের পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ০২-১০-২০২৩ খ্রি: তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করলে সাধারণ সম্পাদক পদটি শূণ্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের একমাত্র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত ৩ জুলাই ১০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্বে ছিলেন মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলি স্টেডিয়াম মার্কেট এর সামনে সোমবার ২৫ আগস্ট বিকাল ৪ টায় ট্রাফিক বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক মোটরযান আরোহীদের সতর্কতামূলক চেকপোস্ট অভিযান পরিচালনা করেন।
সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রচুর পরিমান কাগজপত্র বিহীন অবৈধ গাড়ি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার থাকায় সতর্কতা মূলক এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযানে কোন কোন কাগজপত্রের জন্য কত টাকা জরিমানা হতে পারে এবং মোটরবাইক আরোহীগণ হেলমেট ব্যতীত গাড়ি চালালে কত টাকা জরিমানা তা উল্লেখ করে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এই সতর্কতামূলক অভিযান আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকবে। এই সময়ে কোনো জরিমানা করা হচ্ছে না। ৩০ তারিখের পর থেকে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ি চললে প্রথমবার দশ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বার বিশ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন মোটরযান বা গণপরিবহন চালালে প্রথমবার পাঁচ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বার দশ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
ফিটনেস বিহীন/মেয়াদ উত্তীর্ণ মোটরযান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথমবার দশ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বার বিশ হাজার ও পরবর্তীতে পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
মোটরযানের নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনোরুপ আকার/ব্রেক ও স্টিয়ারিং গিয়ার/হর্ণ/আসন সংখ্যা/হুইল বেইজ/রিয়ার ওভার হ্যাংগ/চাকার সাইজ/সাইলেন্সার পাইপ/ইঞ্জিন/রং পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে প্রথমবার পনেরো হাজার, দ্বিতীয়বার ত্রিশ হাজার ও পরবর্তীতে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন বহন বা আনলোড ওজন বৃদ্ধি করিয়া গাড়ি পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথমবার দশ হাজার, দ্বিতীয় বার বিশ হাজার ও পরবর্তীতে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। পরিবেশ দূষণকারী কালো ধূয়া বা পরিবেশ দূষণকারী যন্ত্র স্থাপন করে মোটরযান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথমবার পাঁচ হাজার, দ্বিতীয় বার দশ হাজার ও পরবর্তীতে পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
ক্রুটিপূর্ণ যেমন গ্লাস ভাঙ্গা/ইন্ডিকেটর লাইট/ওয়েপার/হেডলাইট নষ্ট/সড়কে চলাচলে অনুপযোগী যানবাহন নসিমন-করিমন/ভডভডি/ইজিবাইক/মোটর চালিত রিক্সা বা ভ্যান বা অনুরূপ থ্রি হুইলার চালনার ক্ষেত্রে প্রথম বার দুই হাজার পাঁচ শত টাকা, দ্বিতীয় বার পাঁচ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশনাবলীর বিধান লঙ্ঘন, মদ্যপান নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করেগাড়ি চালানো, কন্টাক্টর কর্তৃক গাড়ি চালানো, বডির বাহিরে বা ছাদে যাত্রী বা পন্য বহন, অবৈধ পার্কিং, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, মোটর বাইকে তিন জন আরোহন, হেলমেট বিহীন মোটরবাইক চালানো, চলন্ত অবস্থায় যাত্রী উঠানামা,বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও ফুটপাতে গাড়ি চালানো, প্রতিবন্ধী আসন সংরক্ষণ না করা ও মালিকের অনুমতি ছাড়া গাড়ি চালানো, মিটার না চলা, চালক কে বিরক্ত করার ক্ষেত্রে প্রথম বার তিন হাজার, দ্বিতীয় বার ছয় হাজার ও পরবর্তীতে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশনাবলী দ্বিতীয় অংশের লঙ্ঘন (মোটরযান চলাচল কালে মোবাইল ফোনে কথা বলা, সিটবেল্ট না বাঁধা, খারাপ আচরণ, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, সংরক্ষিত আসনে অন্য যাত্রী বহন) এর ক্ষেত্রে প্রথম বার তিন হাজার, দ্বিতীয় বার ছয় হাজার ও পরবর্তীতে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্তে প্রথম বার পাঁচ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বার দশ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
অভিযান পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্রাফিক ইনচার্জ মীর আনোয়ার হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ ইনচার্জ মোজাফফর হোসাইন, ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ রাসেলুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৪টি ক্লিনিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ জুলাই বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত নবজাতক শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা, আলিফ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা, গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হসপিটালকে ১০ হাজার টাকা ও আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় বুধবার দুপুরে জেলা সদরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যস্থাপনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখা ও অপরিস্কার-অরিচ্ছন্নতার দায়ে চারটি ক্লিনিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও কয়েকটি ক্লিনিককে সর্তক করা হয়। অভিযানকালে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী সার্জন ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।