চলারপথে রিপোর্ট :
জেলার কসবা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।আজ ৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান।
আটককৃতদের মধ্যে তিনজন ভারতে পাচার হচ্ছিল বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। পাশাপাশি পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
পাচার হতে যাওয়ারা হলেন, নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের উসমান গনির ছেলে সোহাগ মিয়া (২৬), একই জেলার পূর্বধলা থানার বলিয়া কান্দা গ্রামের রহম আলীর ছেলে সাইদুর হক (২৪) ও নেত্রকোনার রানি খং থানার বিজয়পুর গ্রামের উসমান গনির ছেলে মো. হজরত আলী (২৮)।
আটক হওয়া মানব পাচারকারীরা হলো: কুমিল্লার বুড়িচং থানার খারেরা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. বিল্লাল (৪৫), একই জেলার বুড়িচং থানার পাহাড়পুর গ্রামের মো. আবদুর সাত্তারের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০)। অভিযানকালে পাচার চক্রের দুই সদস্য পলিয়ে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার রাতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ খারেরা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২০৭১/২ এস থেকে প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে কুমিল্লার বেলবাড়ী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি অটোরিকশার গতিবিধি সন্দেহ হলে বিজিবির সদস্যরা যানটির গতিরোধ করে। পরে অটোরিকশা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন জন জানান, তারা অবৈধ পথে ভারতে যাচ্ছিল।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বুড়িচং থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পলাতক দুই পাচারকারীকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন এক মা। অভিযোগের ভিত্তিতে মো. রাকিব মিয়া (২৫) নামে ওই যুবককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
১৭ জুন মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার দক্ষিণ কসবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এরপর কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব মিয়া দক্ষিণ কসবা এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে।
ইউএনও ছামিউল ইসলাম জানান, রাকিবের মা গৃহিণী ও বাবা নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। রাকিব দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে বেকার এবং মাদক কেনার টাকার জন্য প্রায়ই মাকে শারীরিক নির্যাতন করত। নিরুপায় হয়ে তার মা ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন।
তিনি আরো জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাকিবকে ইয়াবা সেবনের সময় হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। রাকিব নিজেও মাদক সেবন ও মায়ের ওপর অত্যাচারের বিষয়টি স্বীকার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া বলেছেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টায় তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের কড়া নজরদারীর কারনে এবার রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিলো। মহাসড়কগুলোতে কোন ধরনের যানজট ছিলোনা। মানুষ নির্বিঘ্নে মার্কেটগুলোতে কেনা-কাটা করতে পেরেছে। ঈদ-উল ফিতরের আগেও পরে সদর উপজেলায় কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই যদি যে যার অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। তিনি বলেন, ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দালালমুক্ত করতে ও অবৈধ দখলবাজদের কবল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাত উদ্ধার করতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদেরকে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবেনা।
তিনি বলেন, কাউতলী ব্রীজের দক্ষিণপাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজি স্ট্যান্ডটিকে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সীমনা সড়কে বেপরোয়া মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধে ও হ্যালমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান আরো জোরদার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দালালমুক্ত করতে হলে বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসকদের সহযোগীতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শহরের ছিনতাই কমেছে, তবে সম্প্রতি শহরের কয়েকটি বাড়িতে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চোরদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। সকলের সহযোগীতা ছাড়া মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা এনজিও ফোরামের সমন্বয়ক এস.এম. শাহীন, উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান শফিক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রনে পর্যাপ্ত ট্রাফিক মোতায়েন, শহরের দক্ষিণ পৈরতলা মোড়, বিরাসার বাসস্ট্যান্ড ও গোর্কণঘাট এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রনে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে বাজারগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান জোরদার করার বিষয়ে তাগিদ দেন ও এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে গুরুত্বরোপ করেন।
সভায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামীসহ, সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, জনপ্রতিনিধিগণ ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে আদায় কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কসবা পৌরসভার হিসাব রক্ষক মোঃ বশির আহমেদের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স ইন্সপেক্টর মোঃ মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার মোঃ আবু ছালেহ ভূঁইয়া সহ সাংবাদিকগণ বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, কসবা পৌর এলাকার ১০ হাজার ২১৭ জন হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের আওতায় রয়েছেন। অবশিষ্ট থাকলে তাদেরকেও হোল্ডিং ট্যাক্স এর আওতায় আনা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার কসবা পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে পৌরবাসী সহ সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পৌর প্রশাসকের কর্মসম্পাদন সহায়তা কমিটির সদস্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি এস আই মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল্লাহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি তুহিন কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী টানা দুই বারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রতীক বরাদ্দের পর ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ দিন নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। এসময় তিনি ওলী আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করেছেন। বেশ কয়েকটি নির্বাচনী পথসভায় যোগদান করে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। প্রতিটি সভায় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি ছিল।
গতকাল শুক্রবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ খেলার মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতার এক পর্যায়ে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন ‘আমার মুরব্বিয়ান, আমি সত্যিকারের এতিম’। আপনাদেরকে দেখে আমি আমার কষ্ট ভুলে যাই। আপনাদের পাশে থেকে আমি আমার কষ্ট ভুলে যাই। আজকে এইটুকু দাবি করে গেলাম আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আমি আবার ফিরে আসবো। আমি আপনাদের থেকে দুরে থাকতে পারি না। আমি আবার ফিরে আসবো ইনশাল্লাহ। আপনাদের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার। আমি আপনাদেরকে ভালোবাসি’। মন্ত্রীর এমন আবেগ তাড়িত বক্তৃতায় উপস্থিত লোকজনের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মুহুর্তেই বিশাল মঞ্চে নিরবতা নেমে আসে।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে প্রমান করতে হবে জনগন নির্বাচন চায়। তাই সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমার দাবী ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দিবেন। আমি সারা বিশ্বে দেখাবো যে আমার মানুষ আমাকে কত ভালোবাসেন। এসময় উপস্থিত লোকজন দু’হাত উঁচু করে তাকে সমর্থন জানান।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সংবিধান প্রণেতা, বরেণ্য আইনজীবি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এড. সিরাজুল হক ও জাহানারা হকের সুযোগ্য সন্তুান আনিসুল হক। তাঁর এক ভাই আরিফুল হক রণী ও এক বোন সায়মা ইসলাম। তাঁর সহধর্মীনি নূর আমাতুল্লাহ রিনা হক। আনিসুল হকের মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই প্রয়াত হয়েছেন।
আনিসুল হকের ছোট ভাই আরিফুল হক ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান। বড় বোন সায়মা ইসলাম মৃত্যু বরণ করেন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই। বিয়ের কিছু দিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায় স্ত্রী নূর আমাতুল্লা রিনা হকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তাঁর বাবা এড. সিরাজুল হক প্রয়াত হন ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর। ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হকের মা জাহানারা হক ইন্তেকাল করেন।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামাল ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ। উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী সহ তিনজন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। অপর দুজন হলেন এনপিপি ও তরিকাত ফেডারেশনের প্রার্থী।
চলারপথে রিপোর্ট :
মরুর দেশ সৌদি আরবে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ইসহাক সায়েদ (২১) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্থানীয় সময় রাত ৩টার এবং বাংলাদেশ সময় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইসহাক সৌদি আরবে হাংগেরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে ডেলিভারি বয় হিসেবে হিসেবে কাজ করত। সে কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। নিহতের পিতা খোরশেদ আলম জানায়, সংসারের হাল ধরতে জীবিকার তাগিদে গত বছরের আগস্ট মাসে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠানো তাকে। রাতে কোম্পানির ডিউটি পালন করতে মোটরসাইকেল যোগে ফুড ডেলিভারি করতে যায়। এসময় সড়কে ট্রাক চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সকালে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। কান্না জড়িত গলায় সন্তান হারানো পিতা সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন, তার সন্তানের লাশ যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। সন্তানের লাশটা যেন নিজ হাতে দাফন করতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ফেরত আনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবরে আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।