চলারপথে রিপোর্ট :
কবি আল মাহমুদের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ জুলাই শনিবার বিকালে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মো. লিয়াকত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, দৈনিক ঐশী বাংলার সাহিত্য সম্পাদক ডা. এস. এম. শাহনূর।
কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী সোহেল রানার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি লিটন হোসাইন জিহাদ।
বক্তারা বলেন, কবি আল-মাহমুদ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ারই গর্বের সন্তান নয়, তিনি সারা বাংলাদেশের সম্পদ। বক্তারা কবি আল মাহমুদের সাহিত্য চিন্তা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা এবং তার বিপ্লবী চেতনার গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, আল মাহমুদ শুধু একজন কবিই ছিলেন না, ছিলেন সময়ের প্রহরী। তার লেখনীতে উঠে এসেছে গ্রামীণ জীবনের সত্য, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানুষের অন্তর্লৌকিক জীবনবোধ।
বক্তারা বলেন, আল-মাহমুদ বিগত সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন। কবিকে বিগত সরকারের সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সমাহিত করা হয়নি। বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আল-মাহমুদের কবর সংরক্ষণ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মাহমুদ কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান।
এ সময় তারা বলেন, তার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স নির্মিত হলে আগামী প্রজন্ম তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে এবং অনুপ্রাণিত হবে। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, উপজেলা পরিষদও আইনের শাসনে পরিচালিত হয়। আইন ও বিধি-বিধান মেনে এই পরিষদ চললে, আমি পরিষদের পাশে থাকবো। আইন ও বিধি-বিধান মেনে না চললে আমি পরিষদের পাশে থাকবো না। এই উপজেলা পরিষদ নিজেদের ক্ষমতা ও পরিধি মেনে চলবে ও কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি।
আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এই কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ একটি আদর্শ উপজেলা পরিষদ হবে। সকলের সাথে সমন্বয় করে এই উপজেলা পরিষদ চলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, যারা আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন, সদর উপজেলাবাসীর প্রতি আপনাদের অনেক দায়িত্ব। জনগণের কল্যাণে যেনো পরিষদের টাকা খরচ হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। নিজের টাকা যে চিন্তা করে খরচ করেন, ঠিক তেমনি পরিষদের টাকাও চিন্তা করে খরচ করবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন শোভন, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আলম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা জুঁই ও ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন পাভেল।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিগবাহতুল্লাহ নূর।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতাকর্মীরা।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাজিউর রহমান তানভির, সদস্য সচিব হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল সাফি, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি শিব্বির আহমেদ ভূইয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাইজা আক্তারসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২৩ এর অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিচার এই বাংলায় করতে হবে। তাদের রাজনীতি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে এই দাবি আদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফদের ইন্টার্ন ভাতা প্রদানের দাবিতে আজ ১ অক্টােবর রবিবার কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্মরত ইন্টার্ন নার্সরা। রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স এবং মিডওয়াইফরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে তাদের এই কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিডিআইএন) কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি অনুযায়ী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন নার্সরা একযোগে এই কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে।
নার্সিং ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক কমিটির সহ-সভাপতি রবিন সরকারের সভাপতিত্বে ও কমিটির সভাপতি সভাপতি অপু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তানজিলা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইভান খান, প্রবর্তনা সম্পাদক আফসানা আক্তার ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আকলিমা আক্তার।
মানববন্ধনে নার্সিং ইনস্টিটিউট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম, ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা নার্সিং ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স পাস করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইন্টার্ন নার্স হিসেবে কর্মরত আছি।
বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি) প্রদত্ত লগবুকের ১৪ পৃষ্ঠায় কোড অব কন্টাক্ট এন্ড রেগুলেশন এর ১ নম্বর পয়েন্ট অনুযায়ী ইন্টার্ন ভাতা প্রদানের কথা উল্লেখ থাকলেও আমরা ইন্টার্ন চলাকালীন কোনো ভাতা পাচ্ছি না।
আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে বিএনএমসি এবং নার্সিং এন্ড মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) কাছে দরখাস্ত দিলেও ইন্টার্নভাতা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কোন সমাধান পাচ্ছি না। তারা বলেন, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা নার্সিং পড়ছেন। তিন বছরের কোর্স শেষে তাঁরা রাত দিন ২৪ঘন্টা হাসপাতালে রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকেন।
তারা বলেন, প্রতিমাসে আমরা ছয় থেকে আট হাজার টাকা করে ইন্টার্ন ভাতা পাওয়ার কথা। এই নায্য পাওনা আদায়ের দাবিতেই আমরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি। ইন্টার্ন বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিশিষ্ট আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতি’র নান্দনিক আবৃত্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত ‘আমরা ভাষায় এক,আমরা ভালোবাসায় এক’ পর্ব-৩ অনুষ্ঠানে শ্রুতির ১০ সদস্যের আবৃত্তিদল “আমরা অল্পে খুশী” শীর্ষক দলীয় আবৃত্তি উপস্থাপন করেন। এসময় তাদের বাদ্য ও ছন্দের তালে রিবেশিত কবিতার পংক্তির সাথে শ্রোতারাও তাল মিলিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। দলীয় পরিবেশনা শেষে শ্রুতির কর্ণধার বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী স্মীতা ভট্টাচার্য পরপর কয়েকটি একক আবৃত্তি করে মুগ্ধ করেন সকলকে। আমন্ত্রিত দল শ্রুতির সাথে অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের অভিভাবকদল, বড়োদল, মধ্যমদল, ছোটদল ও সোনালী সকাল। স্থানীয় এসকল সংগঠনের আবৃত্তি পরিবেশনাও ছিলো উপভোগ্য। একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর, উত্তম কুমার দাস। স্বরচিত কবিতাপাঠ করেন কবি শৌমিক ছাত্তার,কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়।
আবৃত্তিশিল্পী রেজা এ রাব্বী ও ফারদিয়া আশরাফি নাওমীর সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে আবৃত্তিসন্ধ্যার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, কবি আবদুল মান্নান সরকার ও কবি আবদুর রহিম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায়, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, নারী মুক্তি সংসদ সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবদুল বাসেদ, সংস্কৃতিকর্মী ওয়াহিদ শামীম, নেলী আক্তার, জামিনুর রহমান, খেলাঘর আসর সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ফজলুর রহমান মুকুল, পূঁজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুজন দত্ত, আবৃত্তিশিল্পী আবদুস সাকির ছোটন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক সুজন সরকার বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ত্রিপুরা রাজ্যের সংগঠন শ্রুতি যৌথভাবে “আমরা ভাষায় এক, ভালোবাসায় এক” শীর্ষক অনুষ্ঠান করে আসছি। আমরা কবিতা উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই মানুষের কাছে। এবারে শ্রুতির শিল্পিদের একক ও দলীয় পরিবেশনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
শ্রুতির কর্ণধার স্মীতা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বিশ^াস করি সবার উপরে মানুষ সত্য। এই সত্য ও সম্প্রীতির বানী দুই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমরা ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠন মিলে দুই দেশেই আবৃত্তি অনুষ্ঠান করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ আবৃত্তি ভালোবাসে। আমাদের পরিবেশনা তারা উচ্ছাসের সাথে গ্রহণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, কবিতা ও গানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা সহজেই বলা যায়। আজ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বারবার উচ্চারিত হয়েছে। আমরা চাই এভাবে কথা ও কবিতার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কবিতার আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বানী খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জামাল নাছের শিক্ষার্থী (ছাত্রছাত্রী) দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এক শ্রেণির কোচিং নির্ভর শিক্ষক নিজেদের স্বার্থে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই কারিকুলাম তোমাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। যাতে তোমরা বিশ্বের যোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারো। তাই তোমাদেরকে সকল বিভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকতে হবে। লেখাপড়া খেলাধুলার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বিশ্বের যোগ্য মানুষ হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালের পর আর মোবাইল আর মোবাইল ফোন থাকবে না। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তখন ৩০ সেকেন্ডে পৃথিবীর যেকোন স্থানে চলে যাওয়া যাবে। তোমাদেরকে তখন অত্যাশ্চর্য বিশ্বে বসবাস করতে হবে। রোগ নিরূপন করতে তখন ডাক্তার লাগবে না। যন্ত্র রোগ নিরূপন করবে। রোবট প্রায় সবকিছু করবে। সেজন্য বিশ্বের উপযোগী যোগ্য নাগরিক হয়ে গেেড় উঠতে তোমরা ছাত্রছাত্রীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, যারা আমাদেরকে এদেশ এনে দিয়েছেন তাদেরকে এবং মা বাবাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। নৈতিকতা অর্জন করতে হবে।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন চিনাইর গ্রামে অবস্থিত চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এবং আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান চত্বরে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) গভর্ণিং বডি ও আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মাউশি’র (গ্রেড-১) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মহাবিদ্যালয় (কলেজ) পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারি ও বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, উপাধ্যক্ষ এ.কে.এম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন, আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন।
মহাবিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় শিল্পীরা মন মুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
পালাক্রমে অনুষ্ঠান উপাস্থাপনা করেন সহকারি অধ্যাপক মহিবুর রহিম, প্রভাষক স্বর্ণা আক্তার, প্রভাষক মোঃ শাহিন মিয়া, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক পংকজ মধু ও সিনিয়র সহকারি শিক্ষক রোখসানা বেগম।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।