অনলাইন ডেস্ক :
ভিসাধারী এবং আবেদনকারীদের প্রতি এক কঠোর বার্তায়, ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, মার্কিন ভিসা পাওয়াই শেষ কথা নয়। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) -এ একটি সাম্প্রতিক পোস্টে দূতাবাস জানিয়েছে যে, ভিসা মঞ্জুর হওয়ার পরেও মার্কিন কর্তৃপক্ষ ভিসাধারীদের উপর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
পোস্টে তারা স্পষ্টভাবে জানায়, ভিসা ইস্যুর পরেও আমাদের যাচাই প্রক্রিয়া থেমে থাকে না। আমরা নিয়মিত খতিয়ে দেখি, আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও অভিবাসন নিয়ম মেনে চলছেন কি না। কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করলে, তার ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বার্তাটি মূলত ভারতীয় শিক্ষার্থী ও কর্মীদের উদ্দেশে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা ইতিমধ্যে গিয়েছেন।
বিবৃতিটি ভারতীয় নাগরিকদের, বিশেষ করে ছাত্র এবং কর্মীদের যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন তাদের জন্য একটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে ভিসা অনুমোদন স্থায়ী প্রবেশ বা থাকার নিশ্চয়তা নয়। এটি অভিবাসন, শিক্ষাগত এবং কর্মসংস্থান বিধি সহ মার্কিন আইন মেনে চলার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
দূতাবাসের পোস্টটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভিসা জালিয়াতি, অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান এবং ছাত্র ও কর্ম ভিসার অপব্যবহারের উদ্বেগের মধ্যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের উপর নজরদারি জোরদার করেছে বলে জানা গেছে।
যদিও দূতাবাস নির্দিষ্ট কোনও লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেনি, কর্মকর্তারা অতীতে জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, আবেদনে মিথ্যা দাবি থেকে শুরু করে অননুমোদিত কর্মসংস্থান পর্যন্ত যেকোনো লঙ্ঘনের ফলে ভিসা বাতিল, আটক বা নির্বাসন হতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। হোক সে রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কতো কিছুই না করা হচ্ছে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।
এখন জটিল অঙ্কের সমাধানও করে দিতে পারবে এআই। নেক্সট-জেনারেশন কম্পিউটার চিপ তৈরি করলো গুগল, যার নাম উইলো। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় গুগলের কোয়ান্টাম ল্যাবে এই চিপ তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত জটিল অঙ্ক নিমেষের মধ্যে সমাধান করতে সক্ষম উইলো।
গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, উইলো আমাদের নতুন স্টেট অব দ্য আর্ট কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ। একটি বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় উইলো এমন একটি জটিল অঙ্কের সমাধান ৫ মিনিটের কম সময়ে সমাধান করেছে, যেটা যে কোনো সুপার কম্পিউটার সমাধান করতে যে সময় খরচ করত তার থেকে কয়েক লাখ গুণ কম।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গুগলের সাফল্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় সাড়া ফেলবে। কারণ এর ফলে একধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে যাবে প্রযুক্তির ভবিষ্যত। এই চিপ ব্যবহার করে আরও শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার তৈরি করা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সেই কম্পিউটার তৈরি করতে এখন বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নিমূর্লের উদ্দেশে হামলা চালালেও দীর্ঘ প্রায় সাত মাসের যুদ্ধ শেষে লক্ষ্যের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি ইহুদিবাদী সেনারা।
এদিকে, পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংস করে এখন সেখানকার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফায় হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলায় এতে অংশগ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার রিজার্ভ ইউনিটের এসব সেনারা বলেছেন, রাফায় অভিযান চালানোর সময় ডাকা হলে তাতে সাড়া দেবেন না তারা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে- দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে যুদ্ধ করার পর তারা কতটা ক্লান্ত তার চিত্র।
এদিকে সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।
হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে সোমবার জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কি না।
ইসরায়েল হুমকি দিয়ে বলেছে- যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফায় হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে দখলদার বাহিনী। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। স্থানীয় সময় রবিবার ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন খবরটি নিশ্চিত করেছে।
গত দুই মাস ধরে গাত্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়, কিন্তু পরে তার নিউমোনিয়া, কিডনি ও হৃদযন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গাত্তির ডাকনাম ছিল ‘এল লোকো’ অর্থাৎ ‘পাগল’, আর্জেন্টিনার শীর্ষ ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছেন—৭৬৫টি ম্যাচ।
১৯৬২ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন। বোকা জুনিয়র্সের হয়ে তিনি ১৯৭৭ সালে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছিলেন। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের মূল গোলরক্ষক হওয়ার কথা থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ছিটকে পড়েন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গেলেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
আজ ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত যান। এর আগে ২ ডিসেম্বর ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা চালায় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। এরপরই সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
৮ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী হাই কমিশনার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা নাগাদ সময়ের মধ্যে আগরতলায় যান। এসময় তিনি একাই ছিলেন।
আরিফ মোহাম্মদও তার যাওয়ার বিষয়টি স্থলবন্দর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন। তবে কবে নাগাদ সেখানকার কার্যক্রম চালু হতে পারে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ভারতীয় অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিল্ডিংস অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম-২০২৪ আয়োজিত মিনিস্টারিয়াল রাউন্ড টেবিল বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যায়ক্রমের সবার ওপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে অধিক মাত্রায় প্রভাব ফেলবে। এর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। আর এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হলেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অন্যতম বলে জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে মুজিব প্রস্পারেটিভ প্লান (২০২২-২০৪১) এর আওতায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছেন বলে মন্ত্রী সভাকে অবহিত করেন।
এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স দুর্যোগ সহনীয় স্থাপনা গড়ে তুলতে নিত্য নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। সমীক্ষা মতে, প্রতিবছর দুর্যোগে গড়ে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় দুই শতাংশ সমপরিমাণ কমে যায়।
বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশের জন্য এ ধরনের সেমিনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও সহায়ক ভূমিকা পালনের সক্ষম বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সরকার জিটুজি, বিজনেস টু বিজনেস এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে যেকোনো সহযোগিতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ২০২১ সালে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর ৩৭টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।