চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটসহ মো. কালু (৪১) নামে এক কালোবাজারিকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
আজ ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে টিকিট বিক্রির সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃত মো. কালু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মো. সাচ্চু মিয়ার ছেলে।
ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কালুর কাছ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের পাঁচটি টিকিট পাওয়া যায়। এসব টিকিটে ১৭টি আসন রয়েছে। অভিযানের সময় তার কাছ থেকে টিকিট বিক্রির পাঁচ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে মত বিনিময় করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা রটনা করছে আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল নয়। এটা একবারেই অপবাদ। আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে, অন্যায় করে তাদেরকে আমি পছন্দ করিনা।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয় ও ভূমি অফিস ভাংচুর করে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে আমি মনে করি তারা অপরাধী। তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া পুলিশের কাজ। তিনি বলেন, আমার বিরোধ আলেম ওলামাদের সাথে নয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের কারণে কিছু লোকের সাথে আমার বিরোধ আছে। তবে ওলামা হিসেবে কারো সাথে বিরোধ নেই। যারা মিথ্যা বলেন, তারা যদি তওবা করেন তাহলে তাদের সাথে আমার সম্পর্ক রাখতে কোনো সমস্যা নাই। এই জেলায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি আলেম-ওলামা রয়েছেন। তাদের কারো সাথেই আমার কোনো বিরোধ নেই।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার জানাযা নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। বলা হয়েছে সেখানে নাকি আমি মোবারকউল্লাহ হুজুরকে আসতে বাঁধা দিয়েছি। তবে আমি তাকে বাঁধা কেন, এ বিষয়ে কিছুই বলিনি। তানভীর ভূঁইয়ার পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার নামাজে জানাযা তার ভাগিনা পরিচালনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কলাপাতার পানির মধ্যে ধানের শীষ দেখা গেছে, এই রাজনীতি আবারো শুরু হতে পারে। তিনি এ জন্য সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানান।
তিনি জেলার প্রতিটি মসজিদে জুম্মা নামাজের খুতবার সময় মাদক, সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বয়ান করার জন্য ইমামদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখরা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান, মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার ৩ শতাধিক আলেম ওলামাগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আজ রবিবার মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। শান্তি সমাবেশের পাশাপাশি জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা অবস্থান করবে। অপরদিকে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও হরতালের কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল শনিবার বিকেল তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত সভা করে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন প্রমুখ।
সভায় রবিবার সকালে জেলার শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সভায় রবিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ নেতাকর্মীদের অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
জেলা আওয়ামী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে জেলা ছাত্রলীগ, শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) এলাকায় যুবলীগ, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শহরের সমবায় মার্কেটের সামনে শ্রমিক লীগ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার সামনে তাঁতী লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ, শহরতলীর পীরবাড়ি এলাকায় শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন। এসব এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করবেন। পরে তারা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে অবস্থা নেবে। আমরা হরতাল বিরোধী মিছিল করব। যেখানে হরতাল হবে সেখানে প্রতিহত করব।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, নৈরাজ্য ও নাশকতার বিরুদ্ধে রোববার জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সকাল আটটা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হবে। তিনি বলেন, হরতালের নামে কেউ শান্তি নষ্ট করুক সেটা আমরা চাই না। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করলে তা প্রতিহত করা হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে আমরা প্রস্তুত আছি। গণতন্ত্র উদ্ধারে বাঁধা অতিক্রম করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অর্ধ শতাধিক দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় মাদরাসা মাঠে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ মতিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দূরবাজ রবিদাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এন. এস কবির পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রমজানুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসয় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রাজেন্দ্রপুর যুব পরিষদের কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ রুকন উদ্দিন লিটন, সহ-সভাপতি মামুন মিয়া, ইউপি সদস্য মুছা মিয়া, সদস্য মেম্বার আনু মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মুড়ি, খেজুর, ছোলা বুট, তেল, পেঁয়াজ, মুসরি ডাল, লবন ইত্যাদি।
বক্তারা রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। যার যার সাধ্যমত গরীব-দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া খরমপুর কেল্লা শহীদের মাজার জিয়ারতকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কিছু বলার থাকলে তারা ইলেকশন কমিশনকে বলুক। কমিশন সেটি বিবেচনা করবে।
মন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় আমরা তাদের সব সময় অভিনন্দন জানাই। ধ্বংসাত্মক কাজ ছেড়ে সাংবিধানিক পথে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা থাকবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, কসবা-আখাউড়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বাহার মালদার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ঐক্যবদ্ধ কাজ করি, কুষ্ঠ মুক্ত দেশ গড়ি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ^ কুষ্ঠ দিবস আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার পালিত হয়েছে।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, এমওসিএস ডাঃ মাহামুদ হাসান, এমওসিএস ডাঃ এ.এফ. এম আশরাফুর রহমান, ডিএইচএমও ডাঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ, প্রেগ্রাম অর্গানাইজার মাহমুদা আক্তার, লেপ্রসী মিশনের পক্ষে টিএসও জুয়েল খেয়াং, আরিফুর রহমান সমরেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ। পরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ১০ কুষ্ঠ রোগীর মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠ রোগের স্টল দেওয়া হয়।
এটি উদ্বোধন করেন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ও জেলা ড্যাব কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আক্তার হোসেন।
এসময় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।