অনলাইন ডেস্ক :
নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও জয় পেয়েছে দলটি। আজ ১৯ জুলাই শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার প্র্যাকটিস মাঠে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশি ফুটবলারদের দখলে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল যোগ করে ব্যবধান বাড়িয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। তবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি। ফলে ৫-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। সোমবার শেষ ম্যাচে খেলবে নেপালের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে বাংলাদেশকে কমপক্ষে এক পয়েন্ট পেতে হবে ওই ম্যাচে। বাংলাদেশ হেরে গেলে চ্যাম্পিয়ন হবে নেপাল।
এদিকে, ৫ ম্যাচে নেপালের সংগ্রহ ১২। ওই ম্যাচে নেপাল জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে বাংলাদেশের সমান ১৫। তখন গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হবে দলটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির (বিআরসি) আয়োজনে চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌঁড় হয়। এর মধ্যে ছিলো ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ২১ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারী দলটি স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পর্যায়ক্রমে রওনা দেয় ৫ এবং ১০ কিলোমিটারের দলটি এবং সর্বশেষ শিশুদের ২ কিলোমিটারের দলটি সোয়া সাতটায় রওনা দেয়। ২১ কিলোমিটারে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন। ১০ কিলোমিটারে ২০০ জন, ৫ কিলোমিটারে ৬০ জন ও ২ কিলোমিটারে ২০শিশু। এর মধ্যে ৩৫০ জন পুরুষ, ৩০জন নারী, ২০ জন শিশু এবং পাঞ্চাশোর্ধ ৩৬জন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে তিতাস নদীর উপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা সড়ক (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে ছড়িয়ে পড়েন দৌড় প্রতিযোগীরা। নির্দেশিত পথে যাঁর যাঁর দূরত্ব অনুযায়ী তাঁরা ছুটে চলেন।
দৌড় শেষে শেখ হাসিনা সড়কের (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শিমরাইলকান্দি সেতুর দক্ষিণপাশের একটি জমিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয প্রধান অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান।
অংশগ্রহণকারী সবার জন্য একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট, সকালের নাশতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
মোট ৯ টি পর্যায়ে ২৭ জনের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি নগদ টাকা দেয়া হয়। সোনালী সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সসহ মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে সহায়তা করেন। মেডিকেল সহায়তায় ছিল নোভেল জেনারেল হাসপাতাল। ৭০জন স্বেচ্ছাসেবক এই আয়োজন সফলে কাজ করেছেন।
এর আগে কনকনে হিম বাতাস আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলার দৌড় পাগল চার শ নারী-পুরুষ জড়ো হন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। কেউ বয়সে তরুণ-তরুণী, কেউ শিশু। অনেকেই আবার বয়স্ক। তবে উচ্ছাসে সবাই সমানে সমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে দৌড়ানোর জন্য এসেছেন তাঁরা। ভোরের আগেই নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছিলো উৎসাহী মানুষের ভিড়ে জম। পরে বিজয়ীদের ট্রফি এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
“অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, অংশ গ্রহণই বড় কথা” এই স্মরণীয় বাক্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ নিজস্ব মাঠে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূঞার সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যে আয়োজিত ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোসাইন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, সাবেরার সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সাংবাদিক মোঃ নুরুল আরাফাত মুগ্নি, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ। ছাত্রীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি মাহমুদা আক্তার জাতীয় পতাকা এবং বিশেষ অতিথি ইকবাল হোসাইন ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন। ক্রীড়াবিদ, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, হলদে পাখি ও গার্ল ইন স্কাউট সদস্যাদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ-মাঠ পরিভ্রমণের পর প্রধান অতিথি শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ক্রীড়াবিদগণ শপথ গ্রহণ ও অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীরা মনোজ্ঞ শরীর চর্চা এবং নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে উজ্জীবিত করে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি ঘটে। তিনি আরও বলেন, খেলার পাশাপাশি পড়ালেখাও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে যথাযথভাবে তোমাদের নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকেও সরকার প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে নিজ যোগ্যতাবলে এগিয়ে যেতে হবে এবং সুন্দর দেশ গড়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সার্বিক পরিচালনায় মোট ৩৬টি আইটেমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার ২১ শত প্রতিযোগী অংশ নেন। বিগত ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী শিক্ষায় ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে। অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমির আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ ফাইনাল খেলায় আগত ক্রীড়ামোদি ব্যক্তিদেরকে স্বাগত এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব মাহমুদা আক্তার।
ফাইনাল খেলা বালিকা গ্রুপে কসবা উপজেলা বনাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কসবা-০ বাঞ্ছারামপুর-৭ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অপরদিকে, বালক গ্রুপের শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় কোনো গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে সরাইলকে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটায়। তিনি আশাবাদী, আজকের খেলোয়াড়রা বিভাগীয় পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টির সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটে হারিয়েও জুনিয়র টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো। কারণ সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে ভারতের কাছে হার।
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি নেমে আসে ১৩ ওভারে। যেখানে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীরা। ক্যারিবীয়দের হয়ে অমৃতা রামতাহলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান, নাইজান্নি কাম্বারব্যাচ করেন ১৩ এবং আসাবি কলেন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। এই তিন ব্যাটসম্যান বাদে কেউই দু’অংকের রান করতে পারেননি। ১৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৪ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা।
টাইগ্রেস বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন নিশিতা আক্তার নিশি। ৩ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এক সময় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন তিনি। আনিসা আক্তার সোবা ৩ ওভারে ১৩ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। এক উইকেট পান জান্নাতুল মাউয়া।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। ফাহোমিদা ছোয়া এবং জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ৮.৫ ওভারে তুলে ফেলে এই রান। ফেরদৌস ২৫ এবং ছোয়া ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সুপার সিক্সে তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।