চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে শাহীনূর আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর ধারণা, গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ ঘটনার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার দুপুরে বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের থানা রোডে অবস্থিত ‘মোল্লা বাড়ি’ নামের একটি ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন ওই গৃহবধূ শাহীনূর আক্তার। ৬ বছর বয়সী এক সন্তানের মা শাহীনূর আক্তারের স্বামী সৌদি প্রবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ভবনের নিচতলায় বসবাস করা ওই গৃহবধূর ফ্ল্যাট শুক্রবার দিনভর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। পরে রাতে ঘর থেকে কিছুটা দুর্গন্ধ বের হলে, ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ রাতেই গিয়ে বাসার দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ ওই গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে জেলা শহর থেকে পুলিশের সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে আসে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলেও ওই গৃহবধূকে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনতে দেখা গেছে। তাদের ধারণা, গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
হত্যাকাণ্ডের সময় গৃহবধূর একমাত্র সন্তান পার্শ্ববর্তী ছলিমাবাদ গ্রামে তার নানা বাড়িতে ছিল।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। পেটে মারাত্মক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নালের বিরুদ্ধে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ছয় মাস ধরে বালু তোলার কারণে নদী পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী পাড়ের জমির মালিকরা বালু তুলতে নিষেধ করলেও আমলে নিচ্ছেন না অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইয়ুবপুর ইউনিয়নের কড়িকান্দি থেকে মেঘনা নদী দশানী, চর শিবপুর, ইছাপুর হয়ে শান্তিপুর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কালের বিবর্তনে মেঘনার প্রবাহ বদলে কড়িকান্দি দিয়ে নরসিংদীর সদর উপজেলার চর দিগলদী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শান্তিপুর গিয়ে মিলিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ইছাপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে পুরাতন মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তুলে ইছাপুর গ্রামে বিক্রি করা হচ্ছে। মেঘনা নদীর যে অংশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, এর দুই পাশে ফসলি জমি ও পশ্চিম পাশে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের খুঁটি রয়েছে। নদী থেকে তোলা প্রতি ঘনফুট বালু ইছাপুর গ্রামে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা দরে।
অনাথ রামপুর গ্রামের শিশু মিয়া জানান, ইছাপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা আয়নাল ছয় মাস ধরে মেঘনা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করে আসছেন। বাধা দিলে উল্টো হুমকি দেন তিনি। বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমি মেঘনা নদীতে চলে যাচ্ছে। ইছাপুর গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘আয়নাল অনেক প্রভাবশালী। তাই বাধা দিয়েও কিছু করতে পারছি না।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নালের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, তিনি অল্পস্বল্প বালু উত্তোলন করেছেন। তাতে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। নৌকা দিয়ে বালু নিয়ে জায়গা ভরাট করছেন। এলাকার কিছু লোক মিথ্যাচার করছেন।
সোনারামপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এমরান হোসেন জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি ঢাকায় রয়েছেন। সরেজমিন দেখে এসিল্যান্ডকে জানাবেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান জানান, খোঁজ নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মিলনায়তনে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ৭৩তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। সর্ব সাধারনের জীবন-যাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইষ্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নাসিমুল হাই এফসিএস।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, মাইটিভি ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিকার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আওয়াল, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, জুনিয়র অফিসার শাহজাহান, মোহাম্মদ বাছির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ঋণ বিতরণের পূর্বে এম নাসিমুল হাই এফসিএস বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সাহেব অসহায় অস্বচ্ছল মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। প্রকল্প শুরুর হওয়ার পর থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ ধারাবাহিকভাবে মানুষের কল্যাণে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করছে।
নদী এলাকা বাঞ্ছারামপুরের মানুষ গুলো ঋণ গ্রহণ করে, যেভাবে বিনিয়োগ করছে তারা বেশিদিন আর অস্বচ্ছল থাকবে না। তাদের স্বচ্ছল করে তোলাই গ্রুপের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে ঋণ বিতরণের পূর্বে ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণসহ গরীব অসহায় লোকদের মাঝে ওষুধসহ স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করছে। যাতে অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না যায় এবং উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে। গরীব মেয়েদের মাঝে প্রশিক্ষণসহ সেলাই মেশিন বিতরণ করে।
বসুন্ধরা গ্রুপ এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে করে তৃণমূল মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে পারে। বসুন্ধরা গ্রুপ চাচ্ছে গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষ গুলোর অর্থনীতির চিত্র পাল্টে দিতে।
তিনি বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের টাকা কোনো প্রকার অবৈধ কাজে বিনিয়োগ করা যাবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্লান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
দেশে মহামারি, বন্যাসহ অস্থিতিশীল পরিবেশে বসুন্ধরা সরাসরি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সারা বাংলার বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের মাঝে।
আজ ৪৮১ জন উপকারভোগীর মাঝে ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথমবারে ৫৬ জনকে ১৫ হাজার টাক করে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দ্বিতীয়বারে ৩০৭জনকে ১৫ হাজার টাকা করে ৪৬ লাখ ৫ হাজার এবং তৃতীয়বারে ১১৮ জনকে ২০ হাজার টাকা করে ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। এই ঋণ শুধুমাত্র নারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় যা দিয়ে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল এবং শাক-সবজি চাষসহ ৩২ প্রকার কাজে মহিলারা এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে খুবই উপকার পাচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এর সরাসরি তত্ত্বাধানে নিয়মিত ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। এই ঋণের পরিধি প্রথম দিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা পাশ্ববর্তী উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে।
মিরপুর গ্রামের রোহেলা বেগম (৩০) বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। বসুন্ধরার টেহা নিয়া হাঁস-মুরগি পাইলা অনেক লাভবান হইছি। এখন খাওয়া দাওয়ার কোন সমস্যা নাই। আল্লাহ কাছে দোয়া করি বসুন্ধরারা যেন ভালো থাকে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ইয়াশা সোবহানের নিজস্ব তহবিল থেকে বাঞ্ছারামপুরে পাঁচ দিনব্যাপী অসহায়, ভিক্ষুক, মাদরাসা ও এতিমখানা শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় দুর্গারামপুরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কম্বল বিতরণের আগে আল-আমিন হাফিজিয়া মাদরাসার মাওলানা হাফেজ মো. মহিউদ্দিনের আয়োজনে বসুন্ধরা গ্রুপ পরিবারবর্গ ও দেশবাসীর জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার প্রমুখ।
উপস্থিত আছাদনগরের দুটি মাদরাসা ও দুর্গারামপুরের দুটি মাদরাসার এতিম ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই কম্বল। পর্যায়ক্রমে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক ৬০টি মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই হাজার ৫০০ কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে রয়েছে বাঞ্ছারামপুরের ৫৬টি মাদরাসা, হোমনার তিনটি মাদরাসা এবং নবীনগর উপজেলার একটি মাদরাসা। পাশাপাশি বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষুক, অন্ধ ও পথচারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই শীতবস্ত্র।
কম্বল পেয়ে পথচারী প্রতিবন্ধী ইসমাইল (৬৫) বলেন, ‘হাটতা পারি না, রাস্তার দারে বইয়া বইয়া ভিক্ষা করি। এই কম্বলডা এত শীতে অনেক কামে লাগব। আল্লাহর কাছে যারা দিছে তাগু লাগি দোয়া করি।’
আছাদনগর মাদরাসার এতিমখানার ছাত্র জুনাইদ (৭) বলে, ‘ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা শুরু করি।
অনেক শীত, এই কম্বলটা অনেক কাজে লাগবে। বসুন্ধরার মালিকদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।’
হাফেজ মো. সাজিব (১০) বলে, ‘আমাদের মাদরাসার এতিমখানার সকল ছাত্র কম্বল পাইছে। এখন আর কেহর শীতের কারণে পড়ালেখা সমস্যা হবে না। আমরা সবাই একসাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করমু, যাতে মালিকপক্ষ সবাই ভালো থাহে।’
হোমনার হরিপুর মার্কাযুল জিকির মাদরাসার ছাত্র ইমরান (৮) বলে, ‘বাঞ্ছারামপুর থেইকা আইসা আমাদের হোমনায় বসুন্ধরা গ্রুপের লোকেরা কম্বল দিয়া গেছে। এই শীতে আমরা কম্বলডা গায় দিয়া বেশি কইরা পরতা পারমু। আল্লায় হগলেরে ভালো রাহুক।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, গুজব, অপপ্রচার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসললামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন নেছা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও পৌর বিএনপির মধ্যে বিরোধের জেরে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ।
গতকাল ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সম্মেলনস্থলসহ পুরো পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবুল মুনসুর মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই এ আদেশ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। ওই সময় উল্লেখিত স্থানের মধ্যে কোথাও কোনো ধরণের সভা-সমাবেশ করা যাবে না।
আজ ২০ নভেম্বর বুধবার সকালে এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। এরই মধ্যে সোমবার সম্মেলন বিরোধী পক্ষ মিছিল বের করলে এতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। পরে দু’পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। এক পক্ষ সম্মেলন করার বিষয়ে ও অন্য পক্ষ প্রতিহতের বিষয়ে অনঢ় থাকে। এ অবস্থায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করল।
গত ২৩ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া পৌর ও উপজেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই চারস্থানেই বিএনপি’র একাধিক পক্ষ রয়েছে।