অনলাইন ডেস্ক :
জয়পুরহাটে ভুয়া সৈনিক পরিচয়ে একাধিক বিয়ে করে অবশেষে ধরা পড়েছেন ছদরুল ইসলাম (৪০) নামের এক যুবক। তার সাথে থাকা আব্দুর রহিম (৫৫) নামে ঘটককেও আটক করা হয়েছে। ছদরুল নিজেকে একটি বাহিনীর সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিয়ে করে যৌতুক নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আজ ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ পাঠান পাড়া এলাকায় বিয়ে করতে গেলে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।
আটককৃত ছদরুল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। ঘটক আব্দুর রহিম একই গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে।
ওসি কামাল হোসেন জানান, আটককৃত ছদরুল ইসলাম বিভিন্ন জেলায় গিয়ে একটি বাহিনীর সৈনিক পরিচয়ে একাধিক বিয়ে করেছেন। ছদরুল আসলে একজন প্রতারক। কৌশলে বিয়ে করে যৌতুকের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। বিয়ের পর মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আব্দুর রহিম ঘটক হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় গিয়ে স্থানীয় ঘটকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। পরে তারা ভুয়া সৈনিক ছদরুল ইসলামকে বিয়ে দেন। এইভাবেই চলছিল তাদের প্রতারণা। আজ বৃহস্পতিবার হোপ পাঠান পাড়া এলাকায় একটা মেয়েকে বিয়ে করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তারা আটক করে পুলিশে দেন।
ওসি আরো জানান, ভুয়া সৈনিক ছদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়া সদর থানায় দুটি প্রতারণা মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নালা ভরাট করার দায়ে ২ জনকে কারদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ ৫ এপ্রিল শনিবার দুপুর ৩টার দিকেসরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া খাদ্যগুদামের পাশে অভিযান চালিয়ে এই সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার সূর্যকান্দি গ্রামের আল-আমিন খাঁন ও উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ গ্রামের আশিক মৈশান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কিছু প্রভাবশালী ভূমিখেকু চক্র সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও মালিকানাধীন কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন লাগিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছিলেন। এ নিয়ে ভূমিখেকু চক্রের সদস্যদের বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। পওে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন উপজেলার বড্ডাপাড়া খাদ্যগুদামের পাশে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে দুইজনকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অভিযানকালে মাটি ভর্তি তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন জানান, বড্ডাপাড়া খাদ্যগুদামের পাশে একদল মানুষ কৃষি জমি ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কর্তন করে রাস্তার পাশে পানি চলাচলের নালা ভরাট করার সময় ২ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ জনকে ছয় দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রদান করা হয়। সেখান থেকে তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, পরিবেশ রক্ষার্থে খাল, বিল, নালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো ভরাট করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১৯ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার দেবরাজ গ্রাম থেকে ইয়াকুব আলী শেখের ঘর থেকে এই পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইয়াকুব শেখের বড় ছেলে শাহ্ আলীর বসবাসের জন্য নতুন ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাড়ি পাশের জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করছিলেন। বুধবার বিকেলে ওই মেশিনে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি উঠে আসে। পরে ইয়াকুব শেখের ছেলে ও ভাতিজা পাথর ধুয়ে ঘরে রেখে দেয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে কষ্টিপাথর দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন ইয়াকুবের বাড়িতে ভিড় করে। পরে খবর দিলে মূর্তিটি উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে সদর উপজেলার দেবরাজ গ্রামের ইয়াকুব শেখের ঘর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের যোগাযোগ করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জে বাড়ির উঠান থেকে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুকে শিয়ালে নিয়ে গেছে। পরে জঙ্গল থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের তেরহাসিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ওই শিশুর নাম আরাফ। সে তেরহাসিয়া গ্রামের মো. লিংকনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সাথে ইফতার করে আরাফ। ইফতার শেষে পরিবারের সকলেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় ঘর থেকে উঠানে চলে যায় শিশু আরাফ। একপর্যায়ে একটি শিয়াল আরাফের গলায় কামড় দিয়ে তাকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক পর বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে আরাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরাফের দাদা লালু মিয়া বলেন, ইফতার শেষে ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে খেলাধুলা করছিল আরাফ। হঠাৎ করে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিলনা। বাড়ির আশপাশে সকল জায়গায় খোঁজাখুজির পর এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হয়। এসময় একজন লোক জঙ্গলে শিশুসহ একটি শিয়ালকে দেখতে পেয়ে সামনে যেতেই শিয়ালটি চলে যায়। পরে তার ডাক চিৎকারে আমরা সকলেই গিয়ে দেখি আরাফের গলায় কামড়ের দাগ। বুকের মধ্যে নকের আঁচড়। তাকে উদ্ধার করে গ্রামের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে আরাফকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আরাফের বাবা লিংকন বলেন, সন্ধ্যায় আমি স্ত্রী আর সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ইফতার করি। ইফতার শেষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন আরাফকে খুঁজতে আমার দোকানে যায়। দোকান থেকে এসে আমার ছেলের মরদেহ দেখতে পাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আকছিনা গ্রামে টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ আদায় করায় ৫৪ জন কিশোরকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন পেয়েছেন বাই সাইকেল। বাকিদের দেওয়া হয়েছে স্কুল ব্যাগ। আকছিনা সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শনিবার বিকালে আকছিনা পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই ৫৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবক আলী আজগর ডিলার। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ব্রাহ্মাণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) থেকে মনোনীত প্রার্থী মো. আতাউর রহমান সরকার।
পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোক্তা আবদুস ছাত্তার বলেন, কিশোরদের মসজিদমুখী করতেই এ উদ্যোগ। আমি বিশ্বাস করি, তারা নিয়মিত নামাজে অভ্যস্ত হলে ভবিষতেও এ আমল ধরে রাখবে। এতে আমিও সাওয়াবের অংশীদার হতে পারবো। সকলের উচিত ভালো কাজে এগিয়ে আসা। আলোচনা শেষে ১৭ জনকে বাই সাইকেল ও ৩৫ জনকে স্কুল ব্যাগ উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে নিজ ঘর থেকে সাথী আক্তার নামের এক গৃহবধূর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাথী আক্তার একই গ্রামের চাতাল শ্রমিক মিজানুর রহমান মিন্টুর প্রথম স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে মিন্টু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, আজ সকালে স্থানীয়রা মিন্টুর ঘর বন্ধ দেখতে পায়। পরে তারে সন্দেহ হলে ঘরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সাথীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘটনার পর থেকেই মিন্টু ও তার অপর স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।