জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর:
বিএনপির একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের কিছু লোককে নিয়ে বিএনপির পার্টি অফিস প্রবেশ করায় এক মণ দুধ দিয়ে পার্টি অফিস ধোয়া হয়েছে। দুধ দিয়ে পার্টি অফিস ধোয়ার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিনব এ ঘটনা এলাকায় সাড়া ফেলেছে। ৬ আগস্ট বুধবার রাতে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে দুধ ঢেলে পরিষ্কার করা হয় পুরো অফিস চত্বর। ভিডিও ধারণ করে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ছাত্রদল ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় মিছিলে বিএনপির একাংশ (ইশরাক সিদ্দিকীপন্থী) আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পার্টি অফিসে প্রবেশ করে। তারা বলছেন, এটা শুধুই ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ নয়, এটা ছিল গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে অপমান করার শামিল।
এ ঘটনার প্রতিবাদে `ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রবেশে কলুষিত’ কার্যালয়কে প্রতীকীভাবে শুদ্ধ করতে দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান দিবসের চেতনাকে কলঙ্কিত করেছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আমাদের এই প্রতীকী কর্মসূচি। আওয়ামী লীগের এজেন্টরা পার্টি অফিসে ঢুকে যা করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। তাই এক মণ দুধ দিয়ে আমরা অফিস ধুয়ে পরিষ্কার করেছি। এটাই ছিল আমাদের বার্তা-এই অফিস আর কখনও ফ্যাসিবাদের আস্তানা হতে পারে না।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা বক্তৃতা দিচ্ছেন আর দুধ ভর্তি বালতিতে করে কার্যালয়ের বারান্দা ও প্রবেশপথ ধুয়ে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিএনপি একটি আদর্শিক দল। গণঅভ্যুত্থানের মতো গৌরবময় স্মৃতির দিনে কেউ যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে, সেই বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দলীয় কার্যালয় হলো আমাদের সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র, এটি রক্ষা করা যেমন দায়িত্ব, তেমনি শুদ্ধ রাখাও প্রয়োজন। আমি তরুণদের উদ্দীপনা ও দায়িত্ববোধকে সাধুবাদ জানাই, তবে সবকিছু যেন দলীয় শৃঙ্খলার মধ্যে থেকেই হয়। বিএনপি কখনোই ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্থান দেবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার তিনদিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর বিল এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওহাবকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এ গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি তার ব্যক্তিগত সহকারী রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর স্কুল মাঠে পুলিশের গাড়ি থেকে কর্মী-সমর্থকরা আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আজাহার আলী বাদী হয়ে আব্দুল ওহাবকে প্রধান আসামি একটি মামলা করেন। এতে ওহাবসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো কয়েকশত জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৬ জনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক নারীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকে পুলিশ ও যৌথবাহিনী তাকেসহ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রেখেছিলো। এরই অংশ হিসেবে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযানে মথুরাপুর বিল এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকেসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রাজশাহী ব্যুরোতে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, মাসুমার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়নপুরে। ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামীসহ কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে সিএনজি অটো রিকশা ঠিক করার সময় একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সিএনজি অটো রিকশা চালক, মাসুমা আক্তার ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রাকিবুল হাসান রাজিব জানান, মাসুমার মরদেহ রাজধানীর বাবর রোডে মারকাজুল ইসলামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে গোসল শেষে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নাটোরের গুরুদাসপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নিজ বাসা থেকে রেলওয়ের সহকারী ট্রেন চালক এনামুল হক (৪৭) নামে এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনামুল হক কুষ্টিয়ার মীরপুর বারুইপাড়ার লুৎফুর রহমানের ছেলে।
আখাউড়া রেলওয়ে লোকোসেড সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হক সহকারী ট্রেন চালক হিসেবে আখাউড়া লোকোসেডে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ১৪ জুলাই রাত ১০টা থেকে ১৫ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ডিউটি করেছেন। এরপর আর কর্মস্থলে আসেননি। এনামুল হক মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর তিনি ২য় বিয়ে করেছিলেন। তবে ২য় স্ত্রীও তার সাথে থাকতো না। তার কোন সন্তানও নাই। এ নিয়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, এনামুল হক একাই মসজিদপাড়ায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। গত কয়েকদিন তিনি বাসা থেকে বের হননি। বৃহস্পতিবার রাতে বাসার দরজা বন্ধ ও ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। ৪/৫ দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
দুলাল মিয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাইয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১২ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত মরিয়ম আক্তার (সাড়ে ৩ বছর) সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউপির বিহাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. কাউসার মিয়ার মেয়ে এবং একই উপজেলার ধানসার গ্রামের শাহেদ মিয়ার মেয়ে সাহিদা আক্তার (আড়াই বছর)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর পশ্চিমপাড়া এলাকায় বাড়ির উঠানে খেলা করছিল দুই শিশু। খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে থাকা পুকুরে পড়ে যায় তারা। স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। তখন কোথাও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, শিশু শাহিদা আক্তার তার নানার বাড়ি বিহাইর বেড়াতে আসছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাবেক আমীর মরহুম সৈয়দ গোলাম সারওয়ারের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দোয়া ও কর্মজীবনের উপর আলোচনা সভা ২১ জুন শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘর আল হেরা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমীর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসন এর জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মুহা. মোবারক হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সৈয়দ গোলাম সারওয়ার ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ও সাহসী নেতা। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশে তিনি নিরলসভাবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন, বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সহ্য করেছেন। তাঁর অবদান জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আমিরুল হক শামীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা: নোমান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মো: জোনায়েদ হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও নাসিরনগর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এইচ আরডি সম্পাদক রাজিফুল হাসান বাপ্পি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ডা: এম.এ. হানিফ, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা খুরশিদ আলম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া-প্রচার সম্পাদক মো: রোকন উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মো: হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মরহুম সৈয়দ গোলাম সারওয়ার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আমীর হিসেবে সংগঠনের নেতৃত্ব দেন।