মোহাম্মদ ইসমাইল, আখাউড়া :
গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের পেশাগত ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মুখে কালো ব্যাজ বেঁধে আখাউড়ায় মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট শনিবার দুপুরে পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে আখাউড়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রিপোর্টার্স ইউনিটি যৌথভাবে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন লিটন, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কাজী মফিকুল ইসলাম সহিন (বাংলাদেশ গার্ডিয়ান) জালাল হোসেন মামুন (দৈনিক দেশ রূপান্তর), রুবেল আহমেদ (দৈনিক কালবেলা), মোশাররফ হোসেন কবির (মোহনা টিভি) নাজমুল আহমেদ রনি (দৈনিক সময়ের আলো), সাদ্দাম হোসেন (আর টিভি) ও অমিত হাসান অপু (দৈনিক নবচেতনা) প্রমুখ।
এসময় বক্তারা তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার এবং সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা শুধু ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা নয়-এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের আঘাত। সাংবাদিককে হত্যা করা মানে সত্যকে হত্যা করা। সুতরাং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সমাজে দুর্নীতি, অন্যায় ও অপরাধের খবর প্রকাশ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের ঝুঁকি নেন-প্রভাবশালী মহলের হুমকি, হামলা, মিথ্যা মামলা কিংবা প্রাণনাশের ভয় নিয়েই তারা সংবাদের জন্য কাজ করেন। সুতরাং তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবু আহমদের ছেলে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সকালে ইসলামপুর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরগামী দিগন্ত লোকাল বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালক মুছা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৩ সালের এসএসসিতে আখাউড়ায় বোর্ড বৃত্তি পেয়েছে ১১ জন। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষায় ৫ জন, মানবিক ২ জন, বিজ্ঞান ৪ জন, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড বৃত্তির তথ্য প্রকাশ করেছে। সরকারি নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪জন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন এবং হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে।
সুত্রে আরো জানা গেছে, বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা মাসিক ৩৫০ টাকা পাবে। এছাড়া বইপত্র ও যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রতি বছর এককালীন ৪৫০ টাকা পাবে। বৃত্তির মেয়াদ ২ বছর।
জানতে চাইলে নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক বলেন, ছাত্রীদের কঠোর পরিশ্রম এবং শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদানের কারণে আমাদের ৩ জন শিক্ষার্থী বোর্ড বৃত্তি পেয়েছে। এজন্য ছাত্রী ও তাদের অভিভাবককে অভিনন্দন জানাই। আগামীতেও যাতে আমাদের সাফল্য অব্যাহত থাকে সেজন্য সবার আর্শীবাদ চাই।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলায় দুইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ স১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৬০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাখরাবাদ বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। আজ ৩০ জুলাই বুধবার দুপুরে শহরের ভাদুঘরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান এবং বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ থাকার সুযোগে অসাধু চক্র জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বৈধ পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে অভিযান চালায় বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে ভাদুঘরের এলেমপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬০টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে৷ এসময় গ্যাসের পাইপও উচ্ছেদ করা হয়।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করার কিছুদিনের মধ্যে আবারও অসাধু চক্রটি নতুন করে অবৈধ সংযোগ দেয়। এর ফলে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা যাচ্ছে না। এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বন্দিদের টাকা ছাড়া স্বজনদের সাক্ষাত করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারাগারে বন্দিদের ওকালত নামা সহি, রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে একাধিক বার সাক্ষাতের ব্যবস্থার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বর্তমানে ১৩ শতাধিক বন্দি রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন বন্দির সাথে দেখা করতে আসেন স্বজনরা। কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করতে পারলেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্বজনরা দেখা করতে গিয়ে। টাকা না দিলে বন্দিদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না বলে জানানো হয়।
দূর দূরান্ত থেকে আসা স্বজনরা নিরুপায় হয়ে কারাগারে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আল আমিন (ব্যাচ নং ২২৯৫১) এর শরনাপন্ন হন। কারারক্ষী আল আমিন বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ৩০০/৫০০ টাকা নেন দর্শনার্থীদের কাছ থেকে। আবার অনেকে টাকা দিতে না পারায় সাক্ষাৎ না করেই বাড়িতে ফিরে যান।
রাজনৈতিক বন্দিদের সাথে ডিও নিয়ে ১৫ দিনে একবার সাক্ষাতের নিয়ম থাকলেও আল আমিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে একাধিক বার ব্যবস্থা করে দেন।
আদালত থেকে আসা ওকালত নামা কারাগারের বক্সে জমার বিধান থাকলে অজ্ঞাত কারণে দেখাশুনা করছেন কারারক্ষী আল আমিন। কয়েক মাস পূর্বে কারাগারের ওকালত নামার বক্সটি প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ওকালত নামা বক্সটি কারারক্ষী আল আমিন সরিয়ে ফেলেছেন। ওকালত নামা সহির জন্য স্বজন বা আইনজীবীর সহকারীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। আদালত থেকে জামিন হওয়ার পর কারাগারে আসা কাগজপত্রে ভূল রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে বন্দির স্বজনদের কাছে কাঙ্ক্ষিত টাকা আদায় করেন। কারাগারের সংস্থাপনের দায়িত্বে কারারক্ষী আল আমিন অন্য কারারক্ষীদের অভ্যন্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকেন। এমন কি কারারক্ষীদের ছুটি নিতে হলেও তাকে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে হয়।
কারারক্ষী আল আমিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারাগারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেখানেও সে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারাগারে থাকা এক জেএমবি সদস্যকে গোপনে মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। তখন চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি আলতাব হোসেন কারারক্ষী আল আমিনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
কারারক্ষী আল আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু কারারক্ষীদের ছুটি, কারাগারের অভ্যন্তরে নিয়োগের কাজ দেখাশুনা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার ওবায়দুর রহমান জানান, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার তন্তর এলাকায় মো. হেবজু মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে তার প্রতিবেশি পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটানোর পর ওই প্রতিবেশি পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ সোহেল জানান, প্রতিবেশি শাহ আলম মিয়ার বাড়ির একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
অভিযোগ তোলা হয়, হেবজু মিয়ার স্ত্রীর বিরদ্ধে। বিষয়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে চাইলে প্রতিবেশি বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় কাঠের বস্তু দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বৃদ্ধের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।