মোহনপুর টিটিসিতে আগ্রহী বাড়ছে ভর্তিতে

সারাদেশ, 10 August 2025, 119 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের অধীতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতাধীন রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ASSET) প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ১৬ আগস্ট হতে ১৫ নভেম্বর সেশনে ৩ মাস মেয়াদী ৫ টি কোর্সে ভর্তিতে আগ্রহী বেড়েছে। আজ ১০ আগস্ট রবিবার উপজেলার এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিধি মোতাবেক পরিক্ষা গ্রহণ করেন কর্তপক্ষ।

banner

টিটিসিতে কর্মরত প্রশিক্ষণ শাখার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি ৩ মাস পর পর কম্পিউটার অপারেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স, সিভিল কন্সট্রাকশন (মেশন) ও মোটর ড্রাইভিং এর আওতায় ২৪ জন করে মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী এখান থেকে সম্পূর্ণ ফ্রী তে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।

এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সহিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেকে দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ায় ভর্তিতে আগ্রহী হয়ে মোহনপুর সহ আশে পাশের জেলা ও উপজেলা থেকে এবার ভর্তি ফরম উত্তোলন করেছে ৬২৮ জন।

প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মোহনপুরের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক সংগ্লন্ন আমাদের টিটিসি তে প্রশিক্ষকরা অত্যত্ত গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষণ প্রদান করায় আমরা উপকৃত হচ্ছি। এছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তরা নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে এসে কঠোর ভাবে তদারকি করার কারণে এখানকার সকল কোর্সের মান উন্নত হচ্ছে। তাই আজ এতো বেশি শির্ক্ষার্থী ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। আগামীতে এখানে প্রকল্প বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন কোর্স আসবে ও আগামীতে বেকারত্ব কমবে বলে আমরা আশাবাদী।

মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রশিক্ষণ প্রদানে আমরা কোন ত্রুটি করিনা, অনেকেই এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপকৃত হয়।

তাই এবার আগের তুলনায় অনেকে এখানে ভর্তিতে আগ্রাহ প্রকাশ করেছে। এবার যাদের হবেনা তারা আবার ৩ মাস পর ভর্তির আবেদন করে পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে। ইতিমধ্যে আমরা দেশ-বিদেশ প্রকল্পের আওতায় আরো ৪০ জন কে ৩ মাসের মোটর ডাইভিং কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করাচ্ছি। আগামীতে আমরা চেষ্টা করছি যেন অন্যান্য প্রকল্প আওয়ায় আমাদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারি।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

ফেলে যাওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণ ‍ফিরিয়ে দিলেন অটোরিক্সা চালক

সারাদেশ, 5 April 2025, 292 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকের সততায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ফেলা যাওয়া ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ১৮ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

banner

৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১১টায় বগুড়া সদর থানায় পুলিশের মাধ্যমে স্বর্ণের প্রকৃত মালিককে এসব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ভরি স্বর্ণ ফিরিয়ে দিয়ে শততার আরেক দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন খায়রুল ইসলাম নামের ওই অটোরিকশাচালক।

জানা গেছে, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি হাজীপাড়ার খায়রুল ইসলাম তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ও বাড়তি আয় করতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। খায়রুল বগুড়ার একটি সরকারি কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো ঈদের দুই দিন আগে ২৯ মার্চ অটোরিকশা চালাচ্ছিলেন তিনি। সেই দিন ইফতারের আগে জুয়েলারি ব্যবসায়ী পাবনার ফরিদপুর উপজেলার উত্তর গোপালনগর এলাকার শফিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ শাহিন বগুড়া নিউ মার্কেট থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ১৮ ভরি স্বর্ণ কিনে একটি কালো রঙের ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে খায়রুলের অটোরিকশা করে শাজাহানপুর উপজেলার বনানীতে গিয়ে দ্রুত বাসে উঠে যান। বাসে উঠে ইফতার করার সময় তার মনে পড়ে যায় স্বর্ণসহ নগদ ১৫ হাজার টাকার ব্যাগটি অটোরিকশা ফেলে এসেছেন। বাস থেকে নেমে অটোরিকশাচালককে খুঁজে না পেয়ে শাজাহানপুর থানা ও বগুড়া সদর থানায় গিয়ে আইনগত সহযোগিতা কামনা করেন।

পুলিশের পরামর্শে তিনি শাজাহানপুর থানায় একটি জিডি করেন এবং বাড়ি ফিরে যান। এরপর থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহিন বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় তার হারিয়ে ফেলা ব্যাগটির খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায় সেটি না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

এদিকে, নিজের অটোরিক্সায় ব্যাগটি পেয়ে সেটি না খুলে ওই যাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন খায়রুল। সেদিন ব্যাগটির মালিককে খুঁজে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি গিয়ে খায়রুল তার মাকে সব খুলে বলেন। তার মা তাকে বলেন স্বর্ণগুলো প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে দিতে। পরে পরিচিত এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে বগুড়া সদর থানায় যোগাযোগ করেন খায়রুল।

সর্বশেষ শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীনকে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত স্বর্ণের মালিককে ডেকে নেন। সেদিন রাত ১১টায় প্রকৃত মালিক শাহিনের হাতে ১৮ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ হাজার টাকার ব্যাগটি তুলে দেন।

বগুড়া সদর থানায় ওসির কক্ষে অটোরিক্সা চালক খাইরুলকে দেখেই চিনতে পারেন যাত্রী শাহিন। মালামাল ফিরে পেয়ে যাত্রী শাহিন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দিতে চান অটোরিক্সা চালক খাইরুলকে। অটোরিক্সা চালক খাইরুল পুরস্কারের টাকা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন এবং বলেন ব্যাগে থাকা সোনা ও টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে তিনি দায়মুক্ত হয়েছেন।

আবেগাপ্লুত শাহিন স্বর্ণ ফিরে পেয়ে জানান, তিনি ভেবেছিলেন তার সব শেষ হয়ে গেছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পর থানার ওসির ফোন পেয়ে আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়েন। অটোরিক্সা চালক খায়রুলের সততা তাকে মহিত করেছে। খায়রুলের মতো মানুষ থাকলে সমাজের কোনো ভয় নেই।

সিএনজি চালক খায়রুল জানান, সারা জীবন সৎ থাকতে হবে, সৎ থাকলে পরকালে ভালো হবে। মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সোনার গহনা ও টাকাগুলো ফেরত দিতে পেরে ধন্য মনে করছেন। শিক্ষার উদ্দেশ্য মনুষ্যত্ব অর্জন, অসততা নয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, খায়রুল মূলত একজন শিক্ষার্থী। অটোরিক্সা চালিয়ে নিজের লেখাপড়ার জন্য খরচ বহন করেন। তিনি শুধু সৎ নন, দায়িত্বশীল ও মানবিকও। তার মতো মানুষই আমাদের সমাজে আরও আলো ছড়াবে। এ যুগেও যে হাজারো মানুষের ভিড়ে সৎ মানুষ আছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ খায়রুল।

স্কুলে আগুন, আতঙ্কে নামতে গিয়ে আহত ৩০ : তদন্ত কমিটি গঠন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সারাদেশ, 6 August 2025, 177 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের লাগার ঘটনা ঘটেছে। সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি।

banner

এদিকে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে একটি প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে যান। মাল্টিপ্লাগের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে ১৫-২০শিক্ষার্থী বিজ্ঞানাগারের ভেতরে প্রজেক্ট তৈরির কাজ করছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাল্টিপ্লাগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বের হয়ে হুড়োহুড়ি করে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।

৮ম শ্রেণির আমেনা জাহানা আরিশা, ৬ষ্ঠ শ্রেণির সোহামণি ইতি, ৭ম শ্রেণির তাসনোভা ইসরাত, ৮ম শ্রেণির মাকিয়া আক্তার লামিয়া, ৮ম শ্রেণির ফারিয়া সুলতানা, ৭ম শ্রেণির তানজিনা আক্তার, ৮ম শ্রেণির নোহা ইসলাম, ৮ম শ্রেণির কলি, ৮ম শ্রেণির আরিফা, ৭ম শ্রেণির রুহান, ৭ম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার মীমসহ অনেকে আহত হন।

আহত শিক্ষার্থী সোহামণি ইতি ও ফাতেমা আক্তার মীম জানায়, আগুন লেগেছে শুনে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার সায়েমুল হুদা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তাদের মধ্যে নয়জনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্ডিওলজি ও সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এদিকে দুপুরে সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য এবং সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন।

জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিকেল সায়েমুল হুদা বলেন, শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি। তবে তাদের প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। মাসনিকভাবে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পেয়েছেন।

নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, সামনে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান মেলার একটি প্রজেক্টে কাজ করছিল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে সিড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কারো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নাসিরনগরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাত দলের হামলা

নাসিরনগর, সারাদেশ, 23 May 2025, 425 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সড়কে গাছ ফেলে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতরা লাশের শরীরে আঘাত করেছে বলে জানা যায়।

banner

আজ ২৩ মে শুক্রবার রাত ১টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ডাকাতের হামলায় আহতরা হলেন- গাড়ির চালক মো. ফিরুজ মিয়া, গাড়ির মালিক মো. খলিল মিয়া, নিহতের স্বজন রাসেল মিয়া, ছালেক মিয়া, নাহিদ মিয়া, মো. আলমগীর মিয়া, মো. সালাউদ্দিন, আলেয়া বেগম ও আলী নেওয়াজ মিয়া। স্বজনদের চোখের সামনে মৃত ব্যক্তির ওপর আঘাতের এই দৃশ্য এলাকাজুড়ে সৃষ্টি করেছে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক।

স্থানীয়দের দাবি, এমন জঘন্য ও ঘৃণিত কাজ আগে কখনো দেখেননি তারা। ভুক্তভোগীদের স্বজনদের ভাষ্যমতে, পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুলপুর গ্রামের ছবদর আলী নামে এক ব্যক্তি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মিরপুর আহসানিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মারা যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে ফেরার পথে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় আসলে সশস্ত্র ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে পথ রোধ করে গাড়ি আটক করেন। এরপর গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। মরদেহের সঙ্গে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে ৯টি মুঠোফোন ও নগদ অর্ধলাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ডাকাত দল।

ডাকাতদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ ও মালামাল না পাওয়ায় মরদেহের ওপরও হামলা করা হয় বলে দাবি করেন নিহতের ছেলে পূর্বভাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর মিয়া। তিনি বলেন, ‘ডাকাতরা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে বলে দুঃখ নাই। কিন্তু আমার মৃত বাবার লাশের ওপর হামলা করেছে ডাকাতরা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম জানান, ডাকাতরা কী কী নিয়েছে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। ওই এলাকাটিতে আগেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

সুজন ফকিরের হত্যাকারী আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

কসবা, সারাদেশ, 6 May 2025, 401 Views,

পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জেরে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে সুজন ফকির (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে আজ ৬ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা সদরের পৌর মুক্তমঞ্চে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

banner

নিহত সুজন ফকির কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউয়িনের জাজিজার গ্রামের খোকন ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত ঘাতক শাওন তার আপন চাচাতো ভাই। তিনি লিটন মিয়ার ছেলে। সুজন ফকিরের দুই সন্তানের জনক ছিলেন। বর্তমানে তার স্ত্রী অন্তস্বত্ত্বা।

মুক্তমঞ্চ এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের বাবা খোকন ফকির, মা আবেদা বেগম, স্ত্রী আকলিমা আক্তার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানভীর শাহিন, উপজেলা যুব জামায়াতের সদস্য সচিব মো. শরীফ প্রমুখ।

বক্তারা, সুজন হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার করে শাওনের ফাঁসির দাবি করেছেন এবং অপর আসামীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে আপন চাচাত ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুজন ফকির খুন হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মে সকালে বাড়ির আঙিনায় ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে সুজন ও শাওনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাওন ধারালো ছুরি দিয়ে সুজনকে উর্পর্যুপরি আঘাত করে। এতে সুজন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা খোকন ফকির বাদী হয়ে শাওনকে প্রধান আসামী করে সাতজনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশের থেকে ছিনিয়ে নেয়া আওয়ামী লীগ নেতা তিনদিন পর গ্রেফতার

জাতীয়, সারাদেশ, 5 February 2025, 668 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার তিনদিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর বিল এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওহাবকে গ্রেফতার করা হয়।

banner

জেলা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এ গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি তার ব্যক্তিগত সহকারী রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর স্কুল মাঠে পুলিশের গাড়ি থেকে কর্মী-সমর্থকরা আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আজাহার আলী বাদী হয়ে আব্দুল ওহাবকে প্রধান আসামি একটি মামলা করেন। এতে ওহাবসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো কয়েকশত জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৬ জনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক নারীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকে পুলিশ ও যৌথবাহিনী তাকেসহ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রেখেছিলো। এরই অংশ হিসেবে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযানে মথুরাপুর বিল এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকেসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।