পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
গলাচিপার রতনদী তালতলী ইউনিয়নে ফেয়ার কার্ডের চাল নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান এবং ফেয়ার কার্ড চালের ডিলার সাগর হোসেন দুদা মিয়ার বিরুদ্ধে। ফেয়ার কার্ডের ডিলার ইউনিয়ন শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক।
আজ ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ইউনিয়নের ৮ ও ৪ নং ওয়ার্ডে চাল বিতরণ শুরু হয়। ফেয়ার কার্ডধারীদের জন্য নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে মাত্র ২৬ কেজি ৫০০ গ্রাম করে চাল দেওয়া হচ্ছিল। চালের ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি দ্রুতই জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা হইচই শুরু করলে হঠাৎ করেই সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
সেনাবাহিনী চালের বস্তা পরীক্ষা করে অনিয়ম প্রমাণ পায়। তারা দেখতে পান ৩০ কেজির চালের বস্তায় প্রকৃতপক্ষে ২৬ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তারা তাৎক্ষণিকভাবে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে।
পরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী ডিলার সাগর হোসেন দুদা মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে চাল বিতরণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী জানায়, যেসব কার্ডধারীরা এখনো চাল পাননি, তাদেরকে পরবর্তীতে যথাযথ নিয়মে চাল বিতরণ করা হবে।
সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ যৌথভাবে এ অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইতিমধ্যে উপজেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদ থেকে সাগর হোসেন দুদু মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা অনিয়মের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর নজরদারি চালানোর দাবি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ১১ আগস্ট সোমবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিলেট থেকে আসা ইরফান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বিকেলে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ২৫ জন যাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। বাসটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
‘কাচ্চি ভাই’কে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খাবার তৈরির কাজে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ও কাপড়ে ব্যবহারকৃত লাল রং খাবারের সাথে মিশিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন। ১২ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের আলিপুর মোড় এলাকায় অবস্থিত ওই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে ‘কাচ্চি ভাই’ নামক খাবারের রেস্টুরেন্টে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ও কাপড়ে ব্যবহৃত লাল রং খাবারের সাথে মিশিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইনে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান বলেন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, খাবার তৈরির কাজে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ও কাপড়ে ব্যবহারকৃত রং খাবারের সাথে মিশিয়ে খাবার তৈরি করা হচ্ছে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। এসব অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইনে রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে দুই হাজার কুরআন বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সোসাইটি। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে কুরআন বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম।
আলোচক হিসেবে ছিলেন লন্ডন আল কুরআন অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম।
প্রধান আলোচক হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাত্র সাত ভাগ মানুষ কুরআন বুঝে। বাকী কিছু মানুষ কুরআন পড়ে কিন্তু বুঝে না। তবে অধিকাংশ মানুষের কাছে কুরআনই পৌঁছায়নি। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা কুরআন পড়ায় এবং শিখায়। কিন্তু কুরআন মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে এমন মানুষ বা প্রতিষ্ঠান নেই। আল কুরআন একাডেমির মাধ্যমে সেই কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের কাছে কুরআন বিতরণ করেছি। সকল মানুষের কাছে কুরআন পৌঁছে দিতে চাই।’
প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, কুরআন মানুষের হেদায়াতের জন্য নাজিল হয়েছে। কুরআন মানুষকে সত্য পথ দেখাবে। সকল অন্যায় খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখবে। কুরআন নাজিল হয়েছে বুঝার জন্য। আমাদের মুসলমান মুত্তাকী হওয়ার জন্য কুরআন বুঝা অপরিহার্য। কুরআন বুঝা ছাড়া মুত্তাকী হওয়া যাবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি বিভাগ আছে। আমি আশা করি এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কুরআন শিক্ষা দিবে। কুরআনই একমাত্র কিতাব যেটা মানুষ না বুঝেও পড়ে। এটা কুরআনের প্রতি ভালোবাসা। তোমরা সবাই কুরআন বুঝে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ার শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক মাওলানা ইয়াসিন আলীকে রাজকীয় বিদায় দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৪১বছরের শিক্ষকতা জীবনের শেষদিন আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে সুসজ্জিত ঘোড়ার টমটম গাড়িতে তাকে নিজ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে একই দিন বেলা ১০টায় ওই শিক্ষকের অবসরগ্রহণ উপলক্ষ্যে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন মাদ্রাসাটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এটিকে শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
মাওলানা ইয়াসিন আলী উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ৬ বছর স্থানীয় খামারকান্দি দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিদায় বড় কষ্টের তবুও মানতে হবে। আমাকেও এভাবে একদিন বিদায় নিতে হবে। একজন শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে তাকে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। জমকালো এই ব্যতিক্রমী আয়োজন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বারী, মাওলানা আমানুল্লাহ, আবু জাফর, একে আজাদ, মোহাম্মদ আলী, শাহীন আলম, সমাজসেবক আবুল কাশেম মন্ডল, আবুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।