চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ওমর আলী নতুন কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন। চাতলপাড় ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কার্য-নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর অবসরপ্রাপ্ত “প্রকল্প পরিচালক” প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল বাছিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির নেতা ও চাতলপাড় ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম ভূইঁয়া রেনু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন,উপজেলা বিএনপির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য এডভোকেট আরাফাত উল্লাহ (এডিশনাল পি.পি), অভিভাবক সদস্য নজরুল ইসলাম, এনামুল হক, দাতা সদস্য হুমায়ূন কবির ভূইঁয়া, হিতৈষী সদস্য ওয়াসিম ভূইঁয়া, শিক্ষক প্রতিনিধি রহমত আলী, সালমা আক্তার খানম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওমর আলী।
প্রভাষক কাজী জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চাতলপাড় ওয়াজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আইয়ুব খান, চাতলপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহরাব খান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ মিয়া, প্রভাষক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রভাষক মাসুদুর রহমান শেখ, প্রভাষক শহীদুল ইসলাম সেলিম, প্রভাষক মনিরুল হোসাইন, স্থানীয় যুবদল নেতা মামুন ভূইঁয়া, সোহাগ ভূইঁয়া ও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শিক্ষার্থী কনিকা আক্তার প্রমুখ।
সভায় কলেজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ও কলেজের একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহে আলম ভূইঁয়া, পৌর ও মহানগর থানা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ছোয়াব মিয়া,মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক লিটন রায়, উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান মিয়া, নাসিরনগর সরকারি কলেজের সাবেক আহবায়ক ইয়াছিন মাহমুদসহ শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা, দীর্ঘ জীবন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের কল্যাণ কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ইসলাম শিক্ষার প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ মাসুক মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ভাসমান বেডে আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি ও মসলা ফসলের উৎপাদন কলা-কৌশলের উপর মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণ আজ ১০ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া মাদ্রাসা মাঠে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প (বারি অংগ) সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কুমিল্লার আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বারীর (জয়দেবপুর গাজীপুর) পরিচালক ড. দেলোয়ার আহমেদ চৌধুরী। ভাসমান সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর.এ.আর.এম ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মৌলভী বাজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হায়দার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কৃষিবিদ মোঃ আল মামুন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: সাইদুর রহমান, বৈজ্ঞানিক সহকারী হুসাইন কবির, কৃষক মোঃ আলী আসাদ, আরিচা বেগম ও শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষক-কৃষানিসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ রুমে “ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষের ওপর ”কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ (আরইআর) এর পক্ষ থেকে চেক বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ১২৮ স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা নারীর মধ্যে এ চেক বিতরণ করা হয়।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হলরুমে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ (আরইআর) এর নারী কর্মীদের মাঝে তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থের চেক ও সনদ বিতরণ করা হয়। উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহালম মিয়া।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। বক্তব্যে উপকার ভোগী নারী হেলেনা বেগম ও গীতা রানী সরকার বলেন, আমরা এখন সমাজের অন্য মানুষের মতই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারুম। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য খরচ করার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সবজি চাষ, ছাগল পালন এবং খামারের কাজে ব্যবহার করবো। আমরা অনেক খুশি।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় কর্মরত প্রত্যেক মহিলাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫শহ ৭২ টাকা করে মোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ টাকার চেক পেয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত ও শহীদদের স্মরণে নাসিরনগরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনা নাছরিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাসান জামিল খান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতি মুখলেছুর রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ সাইফুজ্জামান জনি, খালেদ সাইফুল্লাহ সোহাগ, মোহাম্মদ ওয়াসিম উদ্দিন, মোবাস্বির রহমান।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মৃতিচারণ করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি, ছাত্র-জনতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং আহতদের দ্রæত সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুখলেছুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৫ শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ৭দিন কারাভোগের পর জামিনে এসেও পুলিশ আতঙ্কে ভুগছে ভুক্তভোগী শিশু সাকিবুল। সে সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামের উসমান মিয়ার ছেলে। শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভয়ে সাকিবুলের সহপাঠী এবং অন্য শিশুরাও এখন স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলা সদরের টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
গত ৪ জুলাই নাসিরনগর থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী এক শিশুর পিতা মো. জালাল উদ্দিনকে বাদী করে নাসিরনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে নাসিরনগর থানা পুলিশ। যদিও বাদীর দাবি পুলিশ তাকে থানায় ডেকে এনে মামলার বাদী হতে বলেছে।
এবিষয়ে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন বলেন, “আমাকে থানায় ডেকে এনে বলছে তুমি মামলার বাদী হইবা। পরে আমারে বসাইয়া রাইখা মামলা লেইখা এরা আমার সই নিছে। আমার মেয়ে ছোট, নদীতে দল বেধে খেলাধুলা করে, গোছল করে। সময়ে কাপড় পড়ে আবার সময়ে কাপড় ছাড়াই গোছল করে।”
ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী সাকিবুল মিয়া জানান, “আমি সকাল সাতটার সময় সহপাঠীর সাথে প্রাইভেট পড়তে নাসিরনগর যাই। সকালের প্রাইভেট শেষে স্কুলে যাই দশটার সময়। তখন আমাদের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে বিকাল চারটার দিকে অন্য আরেকটা প্রাইভেটে যাই। সেখান থেকে আমার বাবা আমাকে থানায় নিয়ে আসে। আমি কিছুই জানিনা অথচ থানায় নেওয়ার পর পুলিশ আমাকে জেলে দিয়ে দিল।”
সাকিব আরো বলে, “আমি অসুস্থ্য, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। জেলে থাকতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। আমার গ্রামের স্কুলের ম্যাডামরা আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এখন আর স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না। পুলিশ দেখলে ভয় লাগে আবার যদি ধরে নিয়ে যায়।”
মামলার স্বাক্ষী ও টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রওশন আরা বলেন, ঘটনার দিন ছিল বন্ধের পর স্কুল খোলার প্রথম দিন। সকাল ৯টার সময় স্কুলে ঢুকে ৫জন মেয়ে বাচ্চাকে শ্রেণিকক্ষের ভিতরে দেখতে পায় আমার সহকারি শিক্ষক সালমা আক্তার। এদের কয়েকজনের পড়নে পোশাক ছিল না। কিন্তু কোনো ছেলেকে আমরা আশেপাশে দেখিনি।
তিনি আরো জানান, সাকিব আমার সাবেক ছাত্র। সে অনেক ভালো ছেলে। মামলার আরেক স্বাক্ষী সালমা আক্তার জানান, আমিই প্রথম বাচ্চাগুলোকে দেখতে পেয়ে ম্যাডামকে জানাই। আমরা সাকিব তো দুরের কথা, কোনো ছেলেকেই দেখি নাই।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৩ জুলাই সকাল সাড়ে আটটার সময় জাম্বুরার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুদের স্কুলে নিয়ে যায় সাকিব। অথচ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি সেদিন প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে সকাল সাতটার সময় সহপাঠীর সাথে সাকিব নাসিরনগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
এবিষয়ে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. রওশন সিদ্দিক জানান, সাকিব আমার ছাত্র। গত ৩ জুলাই সকাল আটটায় আমার কাছে গণিত প্রাইভেট পড়তে আসে সাকিব। তার বাড়ি থেকে আমার এখানে আসতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগে।
টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা ফাহিমা বেগম বলেন, আমার ছেলে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না, বলে স্কুলে গেলে যদি পুলিশে ধরে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পাঁচ শিশুর একজনের মা বলেন, “ঘটনার দিন আমি দেখেছি আমাদের পাঁচজন বাচ্চা কাপড় ছাড়া নদীতে নেমে গোছল করতেছে। কতক্ষণ পরে দেখছি স্কুলের সিঁড়ি দিয়া উপড়ে গেছে। আমি আমার বাচ্চারে ডাক দিছি নিচে নামার জন্য।”
তিনি আরো বলেন, “আমার মেয়ের বয়স পাঁচ বছর। সে এখনও বিছিনায় প্রস্রাব করে, কাপড় ছাড়া নদীতে গোছল করে। ওসমানের পোলারে আমরা চিনি, হে ইতা করার পোলা না, বয়সও হয়নাই।”
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাকিবকে আটক করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। পুলিশ আতঙ্কের বিষয়টি সত্য নয়।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন জানান, “এরকম হওয়ার কথা না, আমার নজরে এসেছে এখন আমি দেখব।”
চলারপথে রিপোর্ট :
‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা, উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হুসাইন, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা ও বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।
দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।