চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা ঘটেছে আজ ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জের ষোলঘর যাত্রী ছাউনি এলাকায়।
জানা যায়, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হয়েছেন। আরো দুইজনকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরো একজনকে। আহত ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে মাওয়া থেকে ঢাকামুখি লেনে দ্রুতগতির প্রাইভেট কার উল্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয় এক্সপ্রেসওয়েতে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করলে কিছুক্ষণ পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
মাত্রাতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অথবা অজ্ঞাত কোনো গাড়ির ধাক্কায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টিকুমড়া দিয়ে ভেজাল হারবাল ঔষধ তৈরির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। এ অপরাধে তৃপ্তি আয়ুর্বেদিক দাওয়াখানা নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে উপজেলার কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মনিজা খাতুন। অভিযানে সহায়তা করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে তৃপ্তি হারবাল কারখানায় পোড়া তেল, নষ্ট শিরা ও পচা-বাসি মিষ্টিকুমড়া পাওয়া যায়। অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে কারখানাটিতে তৈরি হচ্ছিল আয়ুর্বেদিক ঔষধ।
নির্বাহী হাকিম মনিজা খাতুন বলেন, কেরানীগঞ্জে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হারবাল ওষুধ তৈরীর অপরাধে ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায়, কারখানা মালিক শামীম হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভেজালবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে চাচি ও ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক নারী আহত হয়েছেন। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মাধবপুর প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিমুলঘর গ্রামে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে শিমুলঘর সড়ক বাজারে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ছাতিয়াইন গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা আক্তার (৩২) ও ভাই রুবেল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তারের (১০) মৃত্যু হয়। এ সময় এই পরিবারের শারমিন আক্তার নামে এক নারী আহত হন। তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মাধবপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনজুর আহসান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানী ঢাকাসহ এর আশপাশের কয়েকটি জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ ৫ মে শুক্রবার সকাল ৫টা ৫৭মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দূরে দোহারে। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, সকাল ৫টা ৫৭ মিনিট ৮ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার দোহারে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। ভূমিকম্পের ক্যাটাগরিতে এটি হালকা ধরনের ভূমিকম্প।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল দুপুর চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাউলাইকে।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের দারোগা বাঁধ সংলগ্ন বিলে এ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সোহেল মিরা এবং হেলাল সরদারের দুটি বলি মহিষ অংশ নেয়। দুই মহিষের দুর্দান্ত লড়াই দেখে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলো দর্শকরা।
স্থানীয়রা জানায়, বলি মহিষ দুইটি ছিলো প্রচন্ডভাবে তেজী। প্রথম থেকেই আক্রমণ। যেন একে অপরকে হারানোর জন্য আপ্রান চেষ্ট করছে। থেমে থেমে লড়াই করেছিল। প্রায় ১০ মিনিটের লড়াইয়ে হেলাল সরদারের বলি মহিষটিকে হরিয়ে সোহেল মিরার বলি মহিষ বিজয় হয়। পরে মালিকপক্ষ মহিষ দু’টি নিয়ে চলে যায়।
আগে গ্রামবাংলার প্রায় সব অঞ্চলে মহিষের লড়াই আয়োজন করা হতো। এতে মালিকরা তাদের বলি মহিষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তত করতেন। লড়াইয়ের অংশ নেওয়া মহিষদের গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা হতো। এছাড়া খাওয়ানো হতো পুষ্টিকর খাবার এমটাই জানিয়েছেন প্রবীণরা।
অনেকেই মনে করেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিয়মিত এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। এতে গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
মহিষের লড়াই দেখতে আশা ইমরান বলেন, এক সময় গ্রামবাংলার এমন প্রতিযোগিতা মহিষের লড়াই ছিলো। এখন আর সচারাচর এমন লড়াই দেখা যায় না। অপর এক যুবক বলেন, মহিষের লড়াই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শৈশবে আমরা এমন লড়াই দেখেছি। মহিষের লড়াই হবে তা শুনে দেখতে এলাম। দীর্ঘদিন পর আবারও এই দৃশ্য দেখে দারুণ লেগেছে।
লড়াইয়ে অংশ নেয়া বলি মহিষের মালিক হেলাল সরদার বলেন, তার বাড়িতে অনেক মহিষ রয়েছে। প্রায়ই বলি মহিষের সাথে লড়াই দেয়া হয়। সোহেল মিরা জানান, শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে মহিষের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ লড়াইয়ে তার বলি মহিষটি বিজয় হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিশুদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৯ জুন সোমবার সকালে উপজেলার গড়গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ মা সমাবেশে দেড় শতাধিক মা উপস্থিত ছিলেন।
এ সমাবেশে বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এ মা সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিউল ইসলাম, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, ইউপি সদস্য কবির হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জুলহাস শিকদার, প্রধান শিক্ষক রোকেয়া আক্তার প্রমুখ।