চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া কিন্ডারগার্টেনের এক শিশু শিক্ষার্থীর সাথে অশালীন আচরণ করায় দুলাল মিয়া (৪৫) নামে এক ইজিবাইক চালককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ১১টার দিকে কসবা-আখাউড়া সড়কে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় অভিযুক্ত দুলাল মিয়াকে এই সাজা প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম। দুলাল মিয়া একই ইউনিয়নের চাপিয়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। সকালে তার ইজিবাইক দিয়ে শিশুটি বাড়ি যাওয়ার সময় দুলাল মিয়া শিশুটির শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিলে শিশুটি চিৎকার করে ওঠে।
এসময় আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে শিশুটির মুখে বিবরণ শুনে তাকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছামিউল ইসলাম তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দুলাল মিয়াকে ১ বছরের বিনাশ্রম সাজা ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এর আগেও একই অপরাধে দুলাল মিয়াকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও কর্ণফুলি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেন দুটি এক থেকে দুই ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করেছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা স্টেশনে ও চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পড়ে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনের “গ”-বগি সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া “গ”-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘন্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে কসবা স্টেশন ত্যাগ করে। অপর দিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। পরে ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘন্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ঘন্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগকালীন সময়ে পরিবহন সহায়তায় মহাবীর বিপ্লবী ছাত্র জনতার পাশে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিআরটিসি ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
আজ ৩১ আগস্ট শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদে ঢাকাস্থ কসবা সমিতির আয়োজনে বন্যার্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বিআরটিসি সব সময় সরকারের যে কোন দুর্যোগকালীন সময়ে পাশে আছেন, যেহেতু বিআরটিসি সরকারের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা। ছাত্র জনতা যখন টিএসসিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন আমরা প্রথম দিন থেকে বিআরটিসির ট্রাক সহায়তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্র জনতার পাশে ছিলাম, ছাত্র জনতা যখন যেই পরিমাণ ট্রাক চাচ্ছিল সেই পরিমাণ ট্রাকই কিন্তু বাংলাদেশের ১১টি জেলায় ছেড়ে দিয়েছি। সামনেও যত ট্রাক লাগবে আমরা দিয়ে পাশে থাকবো।
এসময় তিনি আরো বলেন, ২০২১ এর আগে বিআরটিসি ডুবে গিয়েছিল বা ডুবতে বসেছিল। সেই বিআরটিসি এখন কিন্তু তিন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এইটা বিপ্লবী সরকার। এই বিপ্লবী সরকারের নির্দেশনায় আমরা আরো ঘুরে দাঁড়াবো।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, ঢাকাস্থ কসবা সমিতির ত্রান উপ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ সৌকত রেজা রতন, মোজাম্মেল হক লিটল, ইকবাল আহমেদ, মোঃ কবিরুল আজাদ, লায়ন এম. এ. সোহেল আহমেদ মৃধা, আলহাজ হেলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল বাকের সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বন্যাকবলিত কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ১৪০জন, কায়েমপুর ইউনিয়নের ১০জন ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ৫০জন বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মোট দুইশত জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া গ্রামের নোয়াব মিয়ার স্ত্রী পারভীন আসমা (৩৭), একই ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামের পূর্বপাড়ার লতিফ মিয়ার মেয়ে শিরিনা আক্তার বিউটি (২৩) ও ঠাকুরগাঁও জেলার শাসলা পিয়ালা গ্রামের মোতালিব মিয়ার মেয়ে রুমা খাতুন (২০)।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চাপিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও মিথ্যার রাজনীতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, তাদের বিশ্বাস করা যায় না।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছোট ভাই আরিফুল হক রনির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে দেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি ও মিসকিনের দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন।
এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের খেউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসরাফিল (১৮) খেউড়া গ্রামে গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ফুফাতো ভাই বাবু মিয়া (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি একই গ্রামের মজলু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসরাফিলের অটো গ্যারাজে তার ফুফাতো ভাই বাবু মিয়াকে বিভিন্ন সময় অটোরিক্সা মেরামতের কাজ করাতেন। ইসরাফিল মেরামত কাজের ৫শ টাকা বাবুর কাছে পাওনা ছিল। কিন্তু তা পরিশোধ না করায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার ঘাতক বাবু স্থানীয় গ্রাম্য মেলা উপলক্ষে ইসরাফিলের গ্যারাজের সামনে দোকান বসায়। এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবু ইসরাফিলকে মারধর করেন। পরে ইসরাফিল তার বাবাকে নিয়ে মারধরের বিষয়টি জানাতে ফুফুর বাড়িতে গেলে তাকে দেখে ক্ষুব্ধ হন বাবু। একপর্যায়ে বাবু কাঠ দিয়ে ইসরাফিলের বুকে আঘাত এবং বেদম মারধর করেন। এতে ইসরাফিল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘাতক বাবু মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।