অনলাইন ডেস্ক :
অনলাইনে চাকরির প্রলোভন ও টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো মূলহোতা আকাশ (২২), রাশাদ (২৮) এবং তাদের সহযোগী আসাদ (৩০)।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিআইডির সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন অপারেশনের একটি বিশেষ দল ঢাকার ধানমণ্ডি, ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম এবং দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি। মামলার তদন্ত বর্তমানে চলমান।
সিআইডির মুখপাত্র জসীম উদ্দিন খান জানান, তদন্তের মাধ্যমে এই প্রতারণা চক্রের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে এবং জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রটি মানুষের কাছে ভুয়া খণ্ডকালীন চাকরি ও লোভনীয় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিত।
তারা টেলিগ্রাম অ্যাপে স্বল্প সময়ে কয়েক গুণ মুনাফা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা তাদের প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে।
সিআইডি আরো জানায়, এই চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি আরো অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ছদ্মনামে ব্যবহৃত সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। এ প্রতারণার শিকার হওয়া সাধারণ মানুষকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য সিআইডি আহ্বান জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর ফুলবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির চকিয়াপাড়া গ্রামের আইন উদ্দিন এর ছেলে মোস্তাকিম (৪২)। ইতিপুর্বে তার বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার মৃত আজিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে নুর আমিন (২০) তাদেরকে ১৫০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর মালিপাড়া গ্রমের আলাচান মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), একই ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মৃত কুমির উদ্দিন সর্দার এর ছেলে আমিনুল হক সর্দার(৫৯)। পৌর এলাকার পশ্চিম গৌড়ীপাড়া গোমের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৯), একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৭), মোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদ আলম (৩০), মৃত সোলেমান মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪১), হাছান আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৫৫), মৃত কামাল উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম লাল বাবু(৫০)। কাজিহাল ইউনিয়নের বাজনাপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৭)। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর অপারেশন ডেভিল হান্টে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে ১৪টি চুরি-ডাকাতি মামলা রয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বুধবার দিনাজপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যে শেরপুরের নকলায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সারে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বীপ জন মিত্র।
এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, একাডেমিক সুপারভাইজার ফারজানা শিরাজী, সহকারি প্রোগ্রামার সাইমুন শাহনাজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা পক্ষে ও বিপক্ষে স্কুল পর্যায়ে ৬টি প্রতিষ্ঠান ও কলেজ পর্যায়ে ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।