চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুরের অ্যাড. সোহেল রানার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবিতে সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমান খাদেম সুমন। তিনি বলেন, রুমেল ও শিব্বির এর সাথে আমাদের ২/১ জনের কথা কাটাকাটি হলে, পরবর্তীতে বিষয়টি মীমাংসা হলেও অ্যাড. সোহেল রানা সিএনজি এক্সিডেন্টকে, মারামারি সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করেন। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধ্যাপক হীরালাল ভৌমিক, ধীরেন্দ্র লাল ভৌমিক, হারাধন বাবুসহ অনেকের জমি দখল করে রেখেছে। অনেকের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে হুমকির অডিও সাংবাদিকদের শোনান। সাংবাদিক সম্মেলনে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এসব বিষয়ে এড. সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ইসলামি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসের জানালার গ্রিল কেটে ৯ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে অফিস খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে ইসলামি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের একটি শাখা রয়েছে। শাখাটি পরিচালনা করেন হাফেজ মোহাম্মদ আনসার নামে এক ব্যক্তি। তিনি ব্যাংকিংয়ের শাখাটি সোমবার রাতে বন্ধ করে বাড়িতে যান। সকালে এসে দেখেন অফিসে জানালার গ্রিল কাটা। ভেতরে রক্ষিত সিন্দুকটি ভেঙে সেখানে থাকা ৯ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো এই ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ বা সাধারণ ডায়রি করেননি। আমরা ঘটনাটির তদন্ত এরইমধ্যে শুরু করেছি। আশা করছি এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু।
আজ ২১ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সরাইল সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলালসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেট নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, তারেক রহমানের নির্দেশ ও বিএনপির কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বিএনপির অপর নেতাকর্মীরাও দলকে ভালোবেসে হাই কমান্ডের নির্দেশ বাস্তবায়নে অতি দ্রুতই এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এডভোকেট তপু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
২২ এপ্রিল সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার তারিখ। একদিন আগেই রবিবার তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের তরুণ শাহ মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে আসিফ (২৩) ছিলেন সৌদি আরবপ্রবাসী। সাড়ে তিন মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন। এর পর থেকে বাবা-মাকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। রাজি হচ্ছিলেন না মা-বাবা। অবশেষে টাকা দিতে বাধ্য হন মা-বাবা। ৪ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহর থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জাহিদুল একটি মোটরসাইকেল কেনেন।
আজ ৫ জুন বুধবার দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রথম ঘুরতে বের হন। সঙ্গে ছিলেন দুই বন্ধু। বেলা পৌনে একটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জাহিদুল। এ সময় অপর দুই বন্ধু আহত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ওটারটেক করতে গিয়ে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. জাহিদ মিয়া আসিফ (৩৭) সরাইল উপজেলার উত্তর কোড্ডা পাড়া এলাকার লিংকন মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের সরাইল উপজেলার ধরন্তী এলাকায় এক মোটরসাইকেই চালক সিএনজি চালিত অটোরিকসাকে ওটারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না। মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। যেসব আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন সেগুলোর একটি। এখানে জাপা তথা জোটের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (লাঙ্গল প্রতীক)। তবে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা জাপার প্রার্থীর পক্ষে থাকবেন না। তাঁরা এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের (কলার ছড়ি প্রতীক) পক্ষে থাকবেন।
গত সোমবার রাতে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের একটি হোটেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাশেদের নেতৃত্বে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জের একটি হোটেলে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর সভা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁরাও জাপার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন না। তবে তাঁরা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নয়, এ নির্বাচনে কাজ করবেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল প্রতীক) পক্ষে। ওই সভায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়া। জিয়াউল হক মৃধা রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হক মৃধা এ আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনীত (লাঙ্গল) হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ এ আসনে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে মহাজোটের প্রধান শরিক জাপাকে ছেড়ে দেয়। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধার জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেওয়া হয়েছিল লাঙ্গল প্রতীক। তবে সুবিধা করতে না পেরে নির্বাচনের দুই দিন আগে রেজাউল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার কাছে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মঈন উদ্দিন। তিনি এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এবারের সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম। তিনি মাত্র ২ মাস আগে গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মাধ্যমে ৫০ বছর পর এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জয় পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট।
জাপার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে শাহজাহান আলমকে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রত্যাহার করে নিলে লাঙ্গলের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া হন জোটের প্রার্থী। তবে শুরু থেকেই তাঁকে মেনে নিচ্ছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং জাপার একটি অংশ।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাবেক সদস্য জয়নাল উদ্দিন, অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাবিবুর রহমান, পানিশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হাসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন মিয়া, বাবুল হাসেন প্রমুখ।
আবু তালেব বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বর জোটের প্রার্থীর (লাঙ্গল) জন্য আমাদের নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এখানে লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থীর শ্বশুরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের দ্বন্দ্ব শেষ হচ্ছে না। তাঁদের বিরোধের কারণে আমরা জামাই-শ্বশুর কারও পক্ষেই থাকতে পারছি না। এ ছাড়া আমরা ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কেন্দ্র বা জেলা থেকে কোনো নির্দেশনা আসে কি না। এমনকি উপজেলা থেকেও কোনো নির্দেশনা পাচ্ছিলাম না। ২৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা কলার ছড়ির পক্ষে কাজ শুরু করি। এরপর ২৮ ডিসেম্বর উপজেলার তিন নেতা আমাদের বলেন ঈগলের নির্বাচন করার জন্য। তাঁরা আমাদের ওপরের নির্দেশ আছে বলে জানান। আমরা তখন তাঁদের লিখিত নির্দেশনা দেখাতে বলেছি। তাঁরা তখন মৌখিক নির্দেশনার কথা বলেন। আমরা বলেছি, চারটি ইউনিয়নের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে কলার ছড়ির পক্ষে নেমে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। আমাদের এখন ঘোষণা হচ্ছে, আমরা কলার ছড়ির নির্বাচন চালিয়ে যাব।’
আবদুর রাশেদ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের পক্ষে আছি। দলের নেতা-কর্মী এবং এলাকার লোকজন তাঁকে নিয়েই আছেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল থানা পুলিশের হাজতখানা থেকে এক আসামী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। হাজত থেকে পলায়নকারী ওই আসামীর নাম হৃদয় (১৫) ওরফে গিট্টু। সে ময়মনসিংহের বাবুল মিয়ার ছেলে। তবে বর্তমানে বিজয়নগরের জালালপুর গ্রামে নানা বাড়িতে থাকতো।
পলাতক আসামি হৃদয়কে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রাম থেকে মোবাইল চুরি সংক্রান্ত অভিযোগে একটি চুরির মোবাইলসহ গ্রেফতার করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, পুলিশ থাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সে এখনও পলাতক আছে।