সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য :
বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের অভিযানে ১৫ কেজি গাঁজা ও ১টি নোহা মাইক্রোবাস গাড়ী সহ ৬ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার করা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালীন উপজেলার ৮নং আইয়ুবপুর কানাইনগর এলাকার বাঞ্ছারামপুর টু ফেরী ঘাট রাস্তার উপর ৬ মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ১৫ কেজি গাঁজা ও ১টি সিলভার কালারের নোহা মাইক্রোবাস গাড়ী সহ উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে বিধি মোতাবেক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার মৃত মনু মিয়ার ছেলে রিয়াদ হোসেন (৩০), ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া উপজেলার আকবর হোসেনের ছেলে মোঃ সালমান(২৭), ঢাকা জেলার শ্যামপুর উপজেলার আব্দুর রবের ছেলে মোঃ ইমন (২৭), ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া উপজেলার মোঃ হাবিব এর ছেলে মোঃ আরিফ (২৭), ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া উপজেলার মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ মনজু (৩২), বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার (বর্তমান ঠিকানা-ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া উপজেলা) মোঃ আলমের ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, মাদকের ব্যপারে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে ফেনসিডিলসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়
গ্রেফতার ছানাউল্লাহ (৪৫) জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মীরবাড়ী (কালিকাপুর) এলাকার বাসিন্দা।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ হয়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কালিকাপুর এলাকার ছানাউল্লাহর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশি করে ৬৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সে এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দেশের মৎস সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল জব্দের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চরশিবপুর-শান্তিপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন বাঞ্ছারামপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় পৌনে ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ৩৫টি চায়না দুয়ারী ম্যাজিক জাল জব্দ করা হয়। পরে জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ সময় উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দশদোনা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার আইয়ূবপুর গ্রামের মৃত জিলানীর ছেলে মো. নূরে আলম (৩২) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার দামদরোদী গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে রনি দাস (২৪)।
পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না দেওয়ায় আজ ১২ মে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম।
তিনি বলেন, দশদোনা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটর সাইকেল চালক নূরে আলম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীর রনিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটার সাইকেল চালক মারা যান এবং আহত রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় সেও মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদস সদস্য ক্যাপ্টেন(অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনকল্যাণ ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণ সাধন করা। আওয়ামী লীগ রাজপথে জন অধিকার আধায়ের সংগ্রামী একটি রাজনৈতিক দল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দেশ ও দলের অধিকার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তারই বাস্তব প্রমাণ আজকেই সুজলা-সুফলা এই সোনার বাংলা।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরি করতে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যেতে তার কোনো বিকল্প নেই। সামনের নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান একেএম শহিদুল হক বাবুল, পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম মাহবুবুর রহমান উজ্জল, দরিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শফিকুল ইসলাম স্বপন, সোনারামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
এছাড়াও তেজখালী, দরিয়াদৌলত, সোনারামপুর ইউনিয়নে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতি বার্তা পৌঁছে দিতে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আকাশে মেঘ দেখলেই আঁতকে উঠছে শিশু শিক্ষার্থীরা। এই বুঝি ঝড় এলো, নামল বৃষ্টি। কালবৈশাখীতে উড়ে গেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরের চালা। বিকল্প নেই বলে ভাঙা ঘরেই চলছে পাঠদান।
শনিবার রাতে কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরের চালা উড়ে গেছে। চালাবিহীন ঘরে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। রোদ ও বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে ক্লাস করছে তারা। প্রখর রোদে ক্লাস বন্ধ, বৃষ্টি এলে তো কথাই নেই।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরের চালা উড়ে সামনেই পড়ে রয়েছে। অফিস কক্ষের সব মালপত্র লন্ডভন্ড। বিধ্বস্ত টিনের ঘরেই চলছে পাঠদান। স্কুল ভবন বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেকটাই কম শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। বিদ্যালয়ে একমাত্র শৌচাগারটিও বিধ্বস্ত। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পাশের বাড়িতে যেতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান মোল্লা বলেন, ‘স্কুলে আসলে ভয়ে থাকি কখন আবার ঝড় আসে। রোদের মধ্যেই আমরা ক্লাস করছি, বৃষ্টি আসলে আমাদের ছুটি। স্কুল ভবন ভেঙে যাওয়ায় অনেকে স্কুলে আসছে না।’
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া সোমাইয়া বলেন, রোদের মধ্যে ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হয়। আবার ভয়ে থাকতে হয় কখন আবার ঝড়-বৃষ্টি আসে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক রায়হানা ইয়াসমিন বলেন, ‘শনিবারের ঝড়ে আমাদের একমাত্র স্কুল ভবনটির চালা বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের অন্য কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে রোদের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। বৃষ্টি হলে ছুটি হয়ে যাচ্ছে স্কুল।’
প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন জানান, কালবৈশাখীতে স্কুলঘরের চালা উড়ে গেছে। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। বিশেষ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে মেরামত করা হবে। এখন বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চালাবিহীন স্কুলঘরে পাঠদান করাতে হচ্ছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘স্কুল ভবনের চালা বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টা শুনেছি। বিষয়টি ডিপিওকে জানানো হয়েছে। বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে ভবনটি সংস্কার করা হবে। আমরা বলেছি, প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের বিকল্প কোনো জায়গায় পাঠদান করাতে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। তবে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।