চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জ শহরে অভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় নানা অসঙ্গতি থাকায় ৩টি হাসপাতাল- ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুপুরে এই অভিযান চালান হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস।
এসময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মুখলিছুর রহমান সহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়- অভিযানকালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকা, মানহীন রিপোর্ট প্রদান, নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্য রাখাসহ নানাবিধ অসংগতি পরিলক্ষিত হয় দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল, দি স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ও দি এপোলো হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পরে দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা, দি স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা এবং দি এপোলো হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়াও আরো বেশ কয়েক কিছু বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম। এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ঘুষ নেওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে (এস.আই আমিনুল) সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারে ধারণ করা এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন। এই ভিডিওটি ধারণ করেন মামুন হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর শিবপুরে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার আসামী নারায়ণ চন্দ্র পালকে (৬০) গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১। আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর আলীজান জুট মিলে র্যাবের কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, র্যাব ১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং থানার কংশনগর গ্রামে আসামীর মেয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার নারায়ণ চন্দ্র পাল (৬০) শিবপুর থানার কুন্দারপাড়া এলাকার কুমার বাড়ির মৃৃত সুভাষ চন্দ্র পালের ছেলে।
র্যাব ১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম জানায়, গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শিবপুরের কুন্দারপাড়া গ্রামে মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী বাড়ির পাশে গাছ থেকে আম পাড়তে যায়। এসময় একই এলাকার নারায়ণ চন্দ্র পাল (৬০) ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরীর চাচী ঘটনা দেখে ফেললে নারায়ণ চন্দ্র পাল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেন। কিশোরীকে ধর্ষণের পর হতে আসামী নারায়ণ চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার কংশনগর পশ্চিম বাজার এলাকার মেয়ের বাড়ি হতে নারায়ণ চন্দ্র পালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে শিবপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের একটি গরুর খামার থেকে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের বুধাইরহাট বাজারের সৈয়দ তাজুল ইসলামের বাড়ির গরুর খামার থেকে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৈয়দ তাজুল গ্রুপ ও স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির বেপারী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। এ সময় বুধাইরহাট বাজার এলাকায় দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে দুজন পথচারী আহত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সালামের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে সৈয়দ তাজুল ইসলামের বাড়ির গরুর খামার থেকে একটি বালতিতে লুকিয়ে রাখা সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নাসির বেপারী জানান, আমি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। পরে এসে জানতে পারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ছোটভাই সাব্বির লোকজন নিয়ে আমার বাড়ির দিকে হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে তাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির পেছনে গরুর খামারের কাজ চলছে। সেখানে কারা বোমা রেখেছে আমার জানা নেই। তদন্ত করলেই এটা বেরিয়ে আসবে।
জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমরা উদ্ধারকৃত বোমার বিষয়ে তদন্ত করছি। যারা এরসাথে জড়িত তাদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের। এমরান উদ্দিন জুয়েল পৌরসভার তালতলা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। পট পরিবর্তনের পর জেলায় ও কসবা থানায় রুজুকৃত দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে তাকে।
জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর গ্রেফতার হয় অনেক মন্ত্রী, এমপি। গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপনে চলে যায় সারা দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীরা। গ্রেফতার হন কসবা-আখাউড়ার সাবেক সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সারাদেশের ন্যায় কসবা উপজেলার নেতা-কর্মীরাও আত্মগোপনে চলে। এদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মী পাড়ি দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশে। কেউ কেউ আবার আত্মগোপনে ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আত্মগোপনে থাকা তাদেরই একজন সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। ডেভিল হান্টে কসবায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল সহ ১০ জন। এছাড়াও কসবা থানায় রুজুকৃত মামলায় দেশের অন্যন্য থানায় গ্রেফতার হয়েছে আরো ৬ জন। গত ৪ আগষ্ট কসবায় ছাত্র-জনতার সরকার পতন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হামলার অভিযোগে ১৭ নভেম্বর কুটি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ইমু বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ২৩ নং আসামী। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হওয়া একটি মামলার আসামীও তিনি।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, বুধবার রাতে তাকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে। তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তার তথ্য হাতে এসে পৌঁছেনি।
অনলাইন ডেস্ক :
স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। ১৬ জুন সোমবার সকাল থেকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে অনশন করছেন তিনি। ওই তরুণী জানান, ওই গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী জলিল হাওলাদারের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জলিল ২০২৩ সালে সৌদি আরবে যাওয়ার পর, ওই বছরের ১২ জানুয়ারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার একটি কাজী অফিসে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
সাম্প্রতি জলিল দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ নেন। বিষয়টি জানতে পেরে নিজের স্বামীর স্বীকৃতি ও অধিকার আদায়ে অনশন শুরু করেন তিনি। এর আগে জলিল আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন ওই তরুণী।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।