অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খানকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম (Iron Dome) প্রকল্পের নেতৃত্বে নিয়োগ দিয়েছে পেন্টাগন। সম্প্রতি তিনি উক্ত পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। এই নিয়োগের মাধ্যমে তিনি এখন ‘গোল্ডেন ডোম’ নামেও পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির পরিচালক (Director) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অধীনে প্রকল্পের নীতি নির্ধারণ, কৌশল ও প্রযুক্তি উন্নয়নের পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উক্ত প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে জানানো হয়েছে।
শরিফুল খানের নিয়োগের বিষয়টি মার্কিন বিমানবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করা হয়েছে।
শরিফুল এম খান সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। এরপরই তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানায়, ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুন মাসে যেসব সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেন, শরিফুল খান ছিলেন তাদের মধ্যেই। তিনি ছিলেন ৫৫ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনোনীত কর্মকর্তার একজন।
নতুন পদে নিয়োগ পাওয়ার পর গত ২০ আগস্ট শরিফুল খানের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম ওসমান সিদ্দিক বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে নিশ্চিত করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খান ১৯৯৭ সালে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট অপারেশন এবং জাতীয় গোয়েন্দা অভিযানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তার কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে বহুমুখী অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন সামরিক সম্মাননা। সূত্র: জিও নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান প্রশাসনে হোয়াইট হাউস মিডিয়া নীতিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার থেকে প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধি—যেমন পডকাস্টার, ব্লগার এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদেরও সংবাদ ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। গতকাল নিজের প্রথম সংবাদ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ২৭ বছর বয়সী কনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ জনগোষ্ঠী এখন প্রচলিত টেলিভিশন এবং পত্রিকার পরিবর্তে পডকাস্ট, ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদ গ্রহণ করছে। এই পরিবর্তনকে বিবেচনায় রেখে হোয়াইট হাউসের বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।
তিনি আরো জানান, ব্রিফিং রুমে ‘নিউ মিডিয়া আসন’ নামে একটি নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে, যেখানে হোয়াইট হাউসের প্রচলিত প্রেস স্টাফের আসন থাকত। এখন থেকে নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধি এই আসনগুলোতে বসবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে বাতিল হওয়া ৪৪০টি প্রেস পাস পুনর্বহাল করবে বলে জানিয়েছে। একই সাথে, হোয়াইট হাউসের নতুন ওয়েবসাইট (whitehouse.gov/newmedia) থেকে নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা প্রেস ক্রেডেনশিয়াল আবেদন করতে পারবেন।
ক্যারোলিন লেভিট আরো জানান, আমাদের লক্ষ্য, বৈধ সংবাদ তৈরির কাজ যারা করেন, তাদের জন্য মাধ্যম নির্বিশেষে সমান সুযোগ তৈরি করা। হোক সেটা টিকটকের ভিডিও, ব্লগ বা পডকাস্ট। যদি সংবাদবিষয়ক কনটেন্ট হয়, তবে সবাই আবেদন করতে পারবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রথম প্রশ্নটি তিনি কনজারভেটিভ সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্টের একজন প্রতিনিধিকে করার সুযোগ দেন, যা প্রচলিত ধারা থেকে একটি নতুন পদক্ষেপ। তিনি আরও জানান, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে তাদের জায়গা পাবে।
লেভিট বলেন, আমরা প্রথম সংশোধনী (First Amendment) রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এটি নিশ্চিত করা হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বৈধ সংবাদমাধ্যম হোয়াইট হাউসে প্রতিনিধিত্ব পায়।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমান ডিজিটাল যুগের সংবাদ গ্রহণের ধরনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালী এবং স্বাধীন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সুযোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের বাইরেও নতুন মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার দ্বার খুলে দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪১ মিনিট নাগাদ এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
ইউএসজিএস প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৩ কিন্তু পরে তা ৭ দশমিক ১-এ নামিয়ে আনে।
দেশটির কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার। শক্তিশালী ওই ভূমিকেম্পর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। পরে বেশ কিছু সময় পর্যবেক্ষণ শেষে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনএএমএ) কোনো সুনামির শঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করে।
প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ মার্চ একই দ্বীপপুঞ্জে ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই সময় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। যা কিছু সময় পর তুলে নেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীদের স্থানান্তর এবং ওই উপত্যকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা জাতিগত নিধনের সামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরো বলেছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে চিরকালের জন্য অসম্ভব করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে।
তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এটির (গাজার) মালিক হব এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাব, এগুলোকে সমতল করবো এবং সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।
গাজাবাসীর মধ্যপ্রাচ্যের এক বা একাধিক দেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি বলতে চাইছি যে, তারা সেখানে আছে কারণ তাদের কোনও বিকল্প নেই। তাদের কী আছে? এটি এখন ধ্বংসস্তূপের একটি বিশাল স্তূপ।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখল ও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশটির মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়েরই তীব্র বিরোধিতার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: ডেইলি ট্রিবিউন
অনলাইন ডেস্ক :
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দেশটির হানিদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপান সফর করছেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদসচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটনৈতিক কোরের প্রধানরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।