অনলাইন ডেস্ক :
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ একই পরিবারের চারজনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৫ নম্বর এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার ধরড়া গ্রামের রতন হোসেন, তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার, শিশু কন্যা হাবিবা খাতুন এবং এক মাস বয়সী শিশু পুত্র ইমাম হোসাইন।
রতন হোসেন জানান, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তিনি দালালের মাধ্যমে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং সেখানে রাজমিস্ত্রির জোগালের কাজ করতেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবি মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার জানান, ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফ ক্যাম্প ইন্সপেক্টর ধর্মেন্দ্র কুমার পান্ডের নেতৃত্বে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিজিবির কাছে চার বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশি যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো একজন। আজ ১২ জুন সোমবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের নিজ কুরুয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতের নাম জসিম (৩৫), তিনি পেশায় ট্রাক চালক। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাই থানার বাইনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, সিলেটগামী একটি ট্রাক উপজেলার নিজ কুরুয়া নামক স্থানে আসার পর টায়ার পানচার হলে চালক ও সহকারী মিলে চাকা পরিবর্তন করছিলেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে একই দিকে সিলেট গামী আরেকটি ট্রাক এসে পেছন থেকে তাদের ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক, চালকের সহকারীসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ওসমানীনগর স্টেশনের উপ সহকারি পরিচালক খন্দকার সানাউল হকের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটি ট্রাকের চাকা পাংচার হওয়ায় সেটিকে রাস্তার পাশে রেখে চালক ও সহকারী সেটি মেরামত করছিলেন।
চাকা খুলে সেটি পরিবর্তন করে শেষ পর্যায়ে আরেকটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত আরেকজনকে ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নিহতদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি তবে আহতের নাম জসিম। তিনি বুকে মারাত্মকভাবে চাপ খেয়েছেন।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ তামাবিলের ইনচার্য আবুল কাশেমের সঙ্গে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিহত তিনজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরে তোরণ নির্মাণের বাঁশ পড়ে শাহাবুদ্দিন বেপারি (৭৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাবুদ্দিন বেপারি সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকার আহমেদ বেপারি ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক সুমন তালুকদার কুমারটেক এলাকায় ৪ জন শ্রমিক নিয়ে একটি তোরণ নির্মাণ করছিলেন। তোরণটির উচ্চতা কম হওয়ার ওই সড়ক দিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান যাওয়ার সময় এতে ধাক্কা লাগে। এ সময় তোরণের একটি বাঁশ খুলে গিয়ে নিচে থাকা শ্রমিক শাহাবুদ্দিন বেপারির মাথায় পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, তোরণের সাথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা লাগলে বাঁশ খুলে নিচে থাকা শ্রমিক শাহাবুদ্দিনের মাথায় পড়লে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ৬ মামলায় ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় কল্লোলের নেতৃত্বে উপজেলার ভাইটকান্দি বাজার এলাকায় বুধবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ওজনে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ওজন পরিমাপ ও মানদণ্ড আইন- ২০১৮ মোতাবেক ৬টি মামলায় মোট ৫৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় কল্লোলের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিএসটিআই -এর পরিদর্শক খেলা রানী কর, ফুলপুর থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দসহ প্রমুখ। অমিত রায় বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। সংশোধিত আইন কার্যকর হলে কাউকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়ার সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবার বা বন্ধু বা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাতে হবে। আজ ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আইনগত একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা সিপিসি বা দেওয়ানি কার্যবিধি পরিবর্তন করেছিলাম বা সংশোধন করেছিলাম। আজকে আমরা সিআরপিসি বা ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধন করেছি। সুপ্রিম কোর্টের দুইটা সিদ্ধান্ত ছিল, গ্রেফতারে করার ব্যাপারে যাতে স্বচ্ছতা থাকে, জবাবদিহিতা থাকে। গ্রেফতারে পরবর্তীতে গ্রেফতারেকৃত ব্যক্তির যেন অধিকার থাকে। এই রায়গুলোর আলোকে আরও বিস্তারিতভাবে আমরা বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট কনসার্ন এক্সপার্ট সবার সাথে বৈঠক করে সংশোধন চূড়ান্ত করেছি।
আসিফ নজরুল বলেন, কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের কথা বলি, এখন থেকে এই সংশোধন কার্যকর হওয়ার পর থেকে যে গ্রেফতার করবে, যে পুলিশ অফিসার তার ক্লিয়ার আইডেন্টিটি থাকতে হবে, তার নেমপ্লেট থাকতে হবে, তার আইডি কার্ড থাকতে হবে। যে ব্যক্তি গ্রেপ্তার হচ্ছে তিনি চাহিবামাত্র যে পুলিশ গ্রেফতার করছে তাকে আইডেন্টিটি কার্ড দেখাতে হবে, এটা বাধ্যতামূলক। তাকে যখন থানায় নিয়ে আসা হবে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির পরিবার বা বন্ধু বা আইনজীবীকে তারসাথে যোগাযোগ করে জানাতে হবে যে, গ্রেপ্তার করেছি আমরা এই কারণে গ্রেফতার করেছি, এ মামলায় গ্রেফতার করেছি এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এখানে আছে। যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই বারো ঘণ্টার বেশি সময় নেওয়া যাবে না, এরমধ্যে জানাতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তির শরীরে যদি আঘাতের চিহ্ন থাকে বা গ্রেফতার ব্যক্তি যদি বলেন, আমি অসুস্থ বোধ করছি। অবশ্যই সাথে সাথে তাকে নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা দিতে হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা বলেছি প্রত্যেকটা গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে একটা মেমোরেন্ডাম রাখতে হবে, বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে। কাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, কী অভিযোগে কোন আইনে, তার পরিবারের কার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, কে গ্রেফতার করেছে। ডিটেইল একটা মেমোরেন্ডাম থাকবে প্রত্যেকটা গ্রেফতারের ক্ষেত্রে। আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে গ্রেফতার করতো, বলতো আমরা জানি না। র্যাব গ্রেফতার করে বলতো যে পুলিশ জানে, পুলিশ গ্রেফতার করে অন্য এজেন্সির নাম বলতো। আমরা আইনে বলেছি, যে সংস্থাই গ্রেফতার করুক তাদের কনসার্ন অফিসে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কেন গ্রেফতার করেছে, কোথায় গ্রেফতার করেছে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কার সাথে যোগাযোগ করেছে, সমস্ত তথ্য সেখানে থাকতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করেছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ সময় শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারের বিভিন্ন দোকানে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাজারে আলু প্রকারভেদে পাইকারি ৩৭-৩৮ টাকা এবং খুচরা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। সেট অভিযানের আগে খুচরা ও পাইকারি বাজারে ৫-৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতো।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ জানান, গত ১ সপ্তাহের তুলনায় আলু পাইকারি পর্যায়ে ৪ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৫-৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অভিযানের সময় পাকা ক্রয়-বিক্রয় মূল্যে তালিকার হাল নাগাদ রশিদ না পাওয়ায় এবং দাম বেশি নেওয়ার জন্য মেসার্স সিকদার ট্রেডার্সকে ১ হাজার টাকা, মেসার্স মিতা বাণিজ্যালয়কে ১ হাজার টাকা এবং মেসার্স হাবিব স্টোরকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ টানানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে সচেতন হতে বলেন তিনি।
অভিযানের সময় সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও জেলা পুলিশের ১টি টিম এবং বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ।