চলারপথে রিপোর্ট :
বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় পরিচালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সোবহানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আলিম একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উৎসবমুখর পরিবেশে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। নবাগত শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি, ফুলেল সাজসজ্জা ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশে মাদরাসার নিজস্ব হলরুমে এটি ছিল এক অনন্য আয়োজন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন রিপনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস আরা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আবদুল্লাহ, মাদরাসা কমিটির সহসভাপতি জালাল উদ্দীন বাদল প্রমুখ।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষার সনদ ও অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে উপজেলার ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ শামীম নূর ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ তফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন ভুইয়া, শিক্ষা সম্পাদক সামসু উদ্দিন আহমেদ সজল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম ফারুক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দুধ মিয়া মাষ্টার, বাঞ্ছারামপুর সোবহানীয়া ইসলামিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ রুহুল আমিন আবদুল্লাহ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজালাল টিপু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম এমপি।
৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শাহ রাহাত আলী (রহ:) মাজার জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল শেষে দুপুরে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা উপজেলার মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠে এসে জমায়েত হয়।
সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। শেখ হাসিনা এবারও প্রধানমন্ত্রী হবে বাঞ্ছারামপুরের মানুষও নৌকায় ভোট দিবে। দল আমার উপর আস্থা রেখে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে। নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপিসহ কয়েকটি দল দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর অপচেষ্টা করছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনক্রমেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা যাবে না।”
পরে তিনি দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভুইয়া বকুল, বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মেয়র তফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, মাসুদ করিম সাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও নারীনেত্রী সনি আক্তার সূচি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।
এছাড়াও বাঞ্ছারামপুর সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির উপজেলা কমিটির সভাপতি লাঙ্গল প্রতীকে মো. আমজাদ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কবির হোসেন এবং সফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তিতাস নদীর জায়গা দখল করে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই বাঁধের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্বীর মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গিয়ে শেষ হয়েছে। এই নদী দিয়ে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা, মুরাদনগর উপজেলার ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়া করেন। তিতাস নদীর অংশটি দুই বছর আগে নৌচলাচলের সুবিধার জন্য খনন করে বিআইডব্লিউটিএ। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি লঞ্চ ও শতাধিক ট্রলার চলাচল করে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর আড়ালিয়াকান্দি গ্রামের রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তিতাস নদীতে একটি পাকা ঘাটলা রয়েছে। এই ঘাটলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ গোসল করে। ঘাটলাটি থেকে আরো ৩০-৪০ ফুট উত্তরে নদীর মধ্যে মাটি দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য নদীর মধ্যে মুলির (বাঁশ) বেড়া ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে।
নৌকার মাঝি সোলেমান জানান, প্রতিদিন এই নদী দিয়ে শত শত নৌকা চলাচল করে। এই বাঁধের কারণে নৌকা চলাচল সমস্যা হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাঁধ নির্মাণকারীদের একজন মাসুদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘যে জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে, সেটি আমাদের বাড়ির অনেকের জমি। আমারও ৩০ শতক জমি আছে বাঁধের মধ্যে। মাছ চাষ করতে এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।’
চান্দেরচর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, তিতাস নদীতে বাঁধ দেওয়ার খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাঁর সঙ্গে আলাপ করে জায়গাটি পরিমাপ করা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, নদীতে কোনো রকম বাঁধ দেওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে নৌচলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। জমির মালিকরা বলছে এটা তাদের জায়গা, কিন্তু নদীর প্রবাহ ব্যাহত হয় এমন কাজ করা যাবে না। বাঁধ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে সোনারামপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (১৯) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এছাড়া ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুলারামপুর গ্রামের লবিশ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া (২০), হবি মিয়ার ছেলে আলমগীর (২০) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর নানি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনারামপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে থাকতেন এই নারী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ওতপেতে থাকা এলাকার বখাটে মনু মিয়া, আলমগীর, আরিফ তাকে জোর করে মুখ চেপে ধরে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে রাখে।
ঘটনার পর নারী বিষয়টি চেপে গেলেও আসামিরা বিভিন্ন নম্বর থেকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তাদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে বলে। দেখা না করলে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নারী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নুরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আলমগীর ও আরিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।