চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনামূল্যে টাইয়ফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর রবিবার সকালে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. নোমান মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শংকর কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের এস.আই.এম.ও ডা. সুবল চন্দ্র সাহা, হেলথ সুপারিন্টেন্ড মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছরের কম বয়সী ছেলে মেয়েদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে টিকাদান কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. নোমান মিয়া জানান, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় জেলায় ৯ বছর থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ লাখ শিশু, কিশোর ও কিশোরীকে টিকা দেওয়া হবে। কেউ যাতে টিকাদান থেকে বাদ না যায় সেজন্য জন্মসনদ নেই এমন শিশুরাও টিকা পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সদ্য ঘোষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিল করে সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন জেলা বিএনপির একাংশের নেতা- কর্মীরা।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে শহরের কান্দিপাড়ায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড: গোলাম সারোয়ার ভূইয়া খোকনের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য মইনুল হোসেন চপল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৪ নভেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত ঘোষিত কমিটিতে এমন কিছু নাম এসেছে, যাদের নাম দেখে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অনেকটা হতাশ।
এই কমিটিতে আন্দোলন সংগ্রামে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত এবং যাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামে কখনো দেখা যায়নি এরকম অনেক বিতর্কিত নাম এসেছে। তারা ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য ও পরিবারতান্ত্রিক এবং পকেট কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে পুনরায় নতুন আহবায়ক কমিটি করার দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর সভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ঘোষিত কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম মমিুনুল হক ও আলী আজম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নিয়ামুল হকসহ জেলা বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মীগণ।
অনলাইন ডেস্ক :
চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি আপনাদের প্রমিস করছি যদি মিডিয়া চাটুকারিতা করে তাহলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। টকশোতে চাটুকারদের ডাকবেন না। মিডিয়া চাটুকার হবেন না। একটা দেশ ডোবে কখন, যখন মিডিয়া সত্য কথা বলে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়াগুলো ওই সময় যদি সত্যি ঘটনা তুলে ধরতো তাহলে পুলিশের এই অবস্থা হয় না। মিডিয়া বারবার বলেছে কিছুই হয়নি। কিন্তু বিবিসিতে আমি সব দেখেছি।
তিনি বলেন, টকশোতে জ্ঞান-গর্ভ কোনো আলোচনা হয় না। মিডিয়া সঠিক তথ্য তুলে ধরেন। একটা দেশ তখনই ডোবে যখন মিডিয়া সত্যি কথা বলে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী লেখাপড়া জানা লোক, কিন্তু তিনি ছাত্রদের বললেন দুষ্কৃতকারী। এসবের বিচার হওয়া উচিত। মিডিয়ার মালিকদেরও বিচার হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীকে আপনারা প্রশ্ন করেন কী! আপনি অমুক। আপনি অমুক জয় করে আসছেন। এগুলো কেমন প্রশ্ন, যোগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিল্ডিংস অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম-২০২৪ আয়োজিত মিনিস্টারিয়াল রাউন্ড টেবিল বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যায়ক্রমের সবার ওপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে অধিক মাত্রায় প্রভাব ফেলবে। এর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। আর এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হলেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অন্যতম বলে জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে মুজিব প্রস্পারেটিভ প্লান (২০২২-২০৪১) এর আওতায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছেন বলে মন্ত্রী সভাকে অবহিত করেন।
এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স দুর্যোগ সহনীয় স্থাপনা গড়ে তুলতে নিত্য নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। সমীক্ষা মতে, প্রতিবছর দুর্যোগে গড়ে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় দুই শতাংশ সমপরিমাণ কমে যায়।
বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশের জন্য এ ধরনের সেমিনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও সহায়ক ভূমিকা পালনের সক্ষম বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সরকার জিটুজি, বিজনেস টু বিজনেস এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে যেকোনো সহযোগিতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ২০২১ সালে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর ৩৭টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে চারটি স্বর্ণের বারসহ মো. আরাফাত (৩৫) নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় স্বর্ণের বারসহ তাকে আটক করা হয়। আটক আরাফাত টেকনাফের জাদিমুড়া শরণার্থী ক্যাম্প-২৭ এর বাসিন্দা।
শুক্রবার বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে স্বর্ণের একটি চালান অবৈধভাবে টেকনাফ স্থলবন্দরে প্রবেশ করবে- এমন গোপন খবরে কোস্ট গার্ডের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় এক ব্যক্তিকে বন্দরের মেইন গেইট দিয়ে বের হয়ে সড়কে আসতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাকে থামার সংকেত দিলে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজিতে উঠে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাকে আটক করা হয়।’
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে কোমরে পলিথিন মোড়ানো ৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল।’ স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারীকে মামলা দিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করে এবং জব্দ স্বর্ণের বারগুলো কাস্টমস হাউজে জমা দেওয়া হয়েছে জানান তিনি।
টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে একটি শক্তিশালী মহল মাদক, স্বর্ণ ও অবৈধ চোরকারবারের জন্য বন্দরকে ব্যবহার করছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিলে চোরাচালান বন্ধ রোধ করা সম্ভব হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ঈদের মতো এবারও সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
চারটি কাউন্টারে বিক্রি হবে শুধু দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট। ঈদ যাত্রায় কেনা অগ্রিম টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।
২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।
গত ঈদের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দিনের শুরু থেকেই রেলের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা আশানুরূপ টিকিট পায় না। আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। আবার সার্ভারেও অনেক বেশি চাপ তৈরি হয়। তাই এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
২৪ মে বুধবার রেল ভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে ঈদকেন্দ্রিক ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিসংক্রান্ত বৈঠক হয়। এতে রেলের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। আগামী ২৯ বা ৩০ জুন ঈদ ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। আগামী ৩০ মে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা তুলে ধরার কথা রয়েছে।
১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের ও ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।
ঈদ যাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন। সেই হিসেবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে।
আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব: রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচদিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে।
ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এছাড়া আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয়দিন চালানো হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের উদ্দেশে।
এই ঈদকে কেন্দ্র করে এক জোড়া নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা পথে।
শুধু চার কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট: ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।
যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি ইঞ্জিন: রেলের অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ঈদ যাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটার গেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রড গেজ বগি আনা হবে।
এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।