চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। আজ ১৩ অক্টোবর সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাঞ্ছারামপুর কান্দাপাড়ার ইদন মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন ওরফে মেহেদী (২৫), কায়েম মিয়ার ছেলে মো. সোহান (২৫), উজানচর রিফিউজি পাড়ার সাম মিয়ার ছেলে আদিল মিয়া, জগন্নাথপুর উত্তরপাড়ার শহিদ উল্লাহর ছেলে মো. রাসেল (৩৭) এবং কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হারুন মিয়া মুন্সির ছেলে ফারুক মুন্সি (৩৪)। তাদের হেফাজত থেকে পাঁচটি লোহার কিরিচ, একটি স্টিলের চাপাতি, একটি লোহার চাপাতি ও একটি ধারালো ছোরা জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কান্দাপাড়ায় মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ঘরের দরজা ভেঙে পাঁচ লাখ দশ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও টর্চলাইট লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫–২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান জামিল খান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলছে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ জুন মঙ্গলবার বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন উপজেলা শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তাদের দাবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক সম্মান সংযুক্ত করে ১৪ তম গ্রেড প্রদান এবং ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। এছাড়া, তাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা নিশ্চিত করা এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উচ্চতর গ্রেডে উন্নয়ন দিতে হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা অবমূল্যায়নের শিকার। তাদের দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে টেকনিক্যাল কর্মীদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের দাবি পূরণের উদ্যোগ নেবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শাকির মাহমুদ, মেজবাউল আলম, আব্দুল আজিজ, মনির হোসেন, মাইন উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, বশির আহমেদ, আল আমিন, শাহিন কাদির, নুরজাহান, মাহফুজা আক্তার, রোহোনা আক্তার, আজহারুল হক এবং মো. সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সিয়াম ও রমিজ নামে দুইজন টেটাঁবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের মধ্য পাড়ার পোড়া বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্যান্য আহতরা হলেন- আরিফ হোসেন, আক্তার হোসেন, মতিন মিয়া, সুবর্না বেগম, দেলোয়ার হোসেন। আহতদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ফরদাবাদ মধ্যপাড়া পোড়া বাড়ির হানিফ মিয়ার কাছ থেকে পুকুর পাড়ে দুই শতক জমি ক্রয় করেন মতিন মিয়া। এ নিয়ে হানিফ মিয়ার ছেলে রমিজদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে পুকুর পাড়ের আম গাছ থেকে মতিন মিয়া ও তার ভাতিজা আরিফ আম পাড়ার সময় রমিজের ছেলে সিয়াম ও চাচাতো ভাই রমিজ বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিয়াম ও রমিজ টেঁটাবিদ্ধ হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, জাতির জনক সারাজীবন বাঙ্গালীর অধিকার আদায় ও সেবার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। লক্ষ্য ছিল বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অনুদান প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলার মাটিতে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন তার বিকল্প আর বাংলাদেশে কেউ-ই হতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে পূর্বের ন্যায় জনগণ ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য সুযোগ করে দেবেন। জনগণই আমার শক্তি, আমি জনগণের সেবক।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আমির, ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ. বি. তাজুল ইসলামের ভাগ্নে কাজী জাদিদ আল রহমান জনি।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ভোটার এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন।
জনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জনি। পরবর্তীতে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়রা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে তাকে। যদিও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনির নাম ছিল শীর্ষে। নানাদিক বিবেচনায় নির্বাচনে তারই জয় হতো বলে দাবি সমর্থকদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী জাদিদ আল রহমান জনি বলেন, দলীয় নির্দেশনা এবং আমার মামার (তাজুল ইসলাম) প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। একই সঙ্গে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করছি।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন ২ মে। আর ১২ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল ২৯ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৫০ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট, বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের দিন ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজর ৮৮২ জন।